প্রশান্তি ডেক্স ॥ ‘‘এটা আসলেই ঠিক নয়। অনেক সময় ভয় লাগে। বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দিই। ২ টাকা, ৫ টাকা দিলে নেয় না, ১০ টাকা দিলে নেয়। এটা এক ধরনের চাঁদাবাজি। চাঁদাবাজি না করে ধূপখোলা মাঠে হাতির খেলা দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করলেই পারে’’। অনেকটা ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে এভাবেই কথাগুলো বললেন পুরান ঢাকার নারিন্দার একটি সেলুনের কর্ণধার। মূলত কিছুক্ষণ আগে হাতির মাধ্যমে ১০ টাকা নিয়ে গেল মাহুত। তাই এভাবেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন এই ব্যক্তি।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই হাতি দিয়ে টাকা তোলা করা হয়। হাতির মাহুত বিভিন্ন যানবাহন ও দোকানের সামনে হাতিকে দাঁড় করিয়ে দেন। এরপর হাতি তার লম্বা শুঁড় এগিয়ে দেয়। টাকা না দিলে শুঁড় নামায় না। হাতির অবাধ চলাচলের কারণে যানবাহন আটকে প্রায় সময় যানজট তৈরি হয়। লোকালয়ে হাতির অবাধ চলাচলের কারণে অনেকেই আতঙ্কিত থাকেন। বিশেষ করে এ চিত্রটা পুরান ঢাকায় বেশি পরিলক্ষিত হয়।গত বৃহস্পতিবার দুপুরেও নারিন্দা এলাকায় হাতির মাধ্যমে টাকা তুলতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাতির কারণে আতঙ্কে থাকি। প্রায় হাতি নিয়ে টাকা তোলা হয় এখানে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো গাড়ির তীব্র হর্ন ও অন্য কোনো কারণে হাতির মেজাজ বিগড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। শরিফুল নামের এক ব্যক্তি জানান, দোকান, গাড়ি থেকে টাকা তোলার পাশাপাশি অনেক সময় বাড়ির সামনেও গিয়েও টাকা তোলা হয়। লোকালয়ে হাতির এমন অবাধ বিচরণের কারণে পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। হাতির খাবার ও রক্ষণাবেক্ষণে অনেক ব্যয় হয়। কিন্তু সেই অর্থ সংগ্রহে এভাবে লোকালয়ে না এসে ফাঁকা স্থানে খেলা দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। তাতে দুর্ঘটনারও কোনো আশঙ্কা থাকে না।