নিরাপত্তা বলয়ে আমরা

নি:ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে এখন ঢাকা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিদেশী অতিথীদের আগমনে উল্লসিত ঢাকা এবং এর অধিবাসীরা সাথে দেশবাসিরাও। তবে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের অস্বস্তি এই স্বাধীনতা আজর্নের সুফল এবং স্বনির্ভরতার এক সুউজ্জ্বল দৃষ্টান্তের মাঝখানে জাতির এই সুখস্মৃতি। তবে সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন ঢাকা কেন্দ্রিক এবং ঢাকাকে রক্ষার কবজে পরিণত না হয় সেদিকে নজর দেয়া জরুরী। সেদিনের সেই শাল্লার আক্রমন জাতিকে নি:ছিদ্র নিরাপত্তায় এক বড় ধরণের ধাক্কায় জর্জরিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় এই ধরণের নি:শংস সহিংসতা কাম্য নয়। সাম্য ও সৌম্য এবং নিরপেক্ষ সম্প্রীতিতে এই কলঙ্ক কোন ভাবেই কাম্য নয় এমনকি মেনে নেয়া যায়না। যে বা যারাই এই ঘৃণীত কর্মে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা ও জোড় দাবি করছি। এই আঘাতের মূলে কুঠারাঘাত অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে। এই ধরণের আক্রমনের স্বীকারে পরিণতরা যেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং জীবন যাপনের যাবতীয় উপকরণ ও উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে হাতে নগদ পায় সেই ব্যবস্থা দৃশ্যমান রাখতে হবে। আর ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করণে তরান্বিত ভূমিকা রাখতে হবে।
ঢাকার নিরাপত্তা এক ধরনের আতঙ্কও বটে। তবে এই আতঙ্ক যেন জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করে সেইদিকে মনোনিবেশ করতে হবে। পুলিশী হয়রানি বা অতিরঞ্জিত বাড়াবাড়িতে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাধাগ্রস্ত বা শৈথিলতা এমনকি জনজোয়ারে ভাটার কারণে পরিণত না হয়। পুলিশ বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেবকের ভুমিকার বাইরে কোন ক্ষমতার দু:ব্যবহার কাম্য নয়। ঢাকার রাস্তা ঘাট এবং খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি মারার সকল ঘৃণিত প্রচেষ্টা বন্ধ করা হউক। কারো ঘরে এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করাতে বাধা বা চালান হয়রানি বন্ধ করা হউক। নতুবা জনমনে মানবতার মা ও জননেত্রী এবং বিশ্ব মডেল নেত্রীর সকল কর্মকান্ডে প্রশ্নবোধক চিহ্ন যুক্ত হবে। তাই আমাদের কোন ঔদ্যত্তে বা কাজের কারণে শেখ হাসিনাকে কলুষিত করা থেকে বিরত থাকতে সকলকে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। অনেক অহরহ এই ধরনের ঘটনার স্বাক্ষীহিসেবেই এই অনুরোধ জানাচ্ছি। সবিস্তারে ঘটনা উল্লেখ না করে দায়িত্বে আরো সচেতন হতে অনুরোধ রাখছি। এই দেশের জনগন এবং জনগণের দ্বারা অর্জিত অর্জনেই আজ বাংলাদেশ উদ্ভাসিত, উদ্বেলিত এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বায়ী মর্যাদার আসনে দন্ডায়মান। তাই কাজে কর্মে এবং সততায় বাধা হিসেবে আর প্রতিবন্ধকতা তৈরীতে নয় বরং সহযোহিতায় মনোনিবেশ করুন।
বর্তমানে নিরাপত্তা দুই ধরনের। এক হচ্ছে বিশেষ নিরাপত্তা এবং দুই হচ্ছে করোনা নিরাপত্তা। তাই দুইয়ে মিলে যখন একে রূপ নিয়েছে তাই একটু বেশীই পরিলক্ষিত হবে এবং হচ্ছে বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। জাতিকে এই কাজে সহযোগীতা করে মানিয়ে নিতে হবে বৈকি। বইমেলা চলছে আর এতেও করোনা এবং নি:ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে আবৃত্ত থাকবে এবং রাখতে দেশবাসির সহযোগীতা কামনা করছি। প্রশাসন এবং জনগন উভয়েই এই জায়গাই কাজ করতে হবে। উভয়ের সহযোগীতাই এই কাজে সফলতা আসবে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রতিক্ষায় আবসান কল্পে সকলের সহযোগীতা অব্যাহত রাখতে হবে। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে উভয়েরই স্ব স্ব অবস্থান পাকাপোক্ত করতে হবে। প্রশাসন এবং ছাত্র-শিক্ষক এমনকি সংযুক্ত জনগণকে দুটি নিরাপত্তা বলয়ের একটিতে রূপান্তর ঘটতে যা যা প্রয়োজন তাই করে এগিয়ে যেতে হবে। ভয়ের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে জয়ের সংস্কৃতিতে পদার্পন করতে হবে। এখনই সময় এগিয়ে যাওয়ার। তাই সকলে মিলে এই জয়ের সংস্কৃতির যাত্রায় যাপিয়ে পড়ে সামনে এগিয়ে যায়।
স্বাধীনতার মাসে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে সামনে এগিয়ে যায় আগামীর কল্যাণের তরে। সকল অপসংস্কৃতির অবসানকল্পে ভয়ের সংস্কৃতি দূর করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড বেগবান করতে নিরাপত্তার বলয়ে থেকে জোড়ালো পদক্ষেপে এগিয়ে যায় এবং এগিয়ে নেয়। এই প্রতিশ্রুতি অর্জনে এবং বাস্তবায়নে সদা প্রস্তুত থেকে আগামির বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে গর্ববোধ করার জায়গায় অধিষ্ঠিত হই। জয় আমাদের সুনিশ্চিত হবেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.