‘মোদির সফর সামনে রেখে এ অনভিপ্রেত ঘটনায় আমরা দুঃখিত’…

প্রশান্তি ডেক্স॥‘সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হিন্দু ধর্মালবম্বীদের বাড়ি-ঘর মন্দিরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় যারা জড়িত, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর সামনে রেখে এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনায় আমরা সত্যি দুঃখিত। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। যারাই জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিফিংকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ফেসবুক স্ট্যাটাসের কথা বলা হয়েছে।
এর সঙ্গে যে জড়িত তাকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপরেও কেন এভাবে অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘর, মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর করা হলো। এ ঘটনায় নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। দেশ কঠিন সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে- বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশ নয়, কঠিন সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে বিএনপির রাজনীতি। বিএনপির রাজনীতি এখন জনমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন।
‘বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ বক্তব্যের নামে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে, রাজশাহীতে তাদের এক নেতা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর হুমকি দিচ্ছেন। বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছিলাম এ বক্তব্য দলীয় বক্তব্য কিনা? কিন্তু বিএনপি নেতারা জবাব না দিয়ে মৌন থেকে প্রকারান্তরে দলীয় সমর্থনের বিষয়টিই স্পষ্ট করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার হুমকি বিএনপির ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ। ’ এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
সাক্ষাৎ শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও কথা হয় বলে জানান মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কৃত্রিম দেওয়াল রচিত হয়েছিল উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর সম্পকের নতুন সেতুবন্ধ রচিত হয়। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের সীমান্ত চুক্তিসহ ছিটমহল বিনিময় ছাড়াও দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে এবং তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনে ইতোমধ্যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে কাদের বলেন, নরেন্দ্র মোদি বিজেপি নেতা হিসেবে নন, তিনি বাংলাদেশ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা দেওয়া প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আনন্দিত বলে মনে করেন তিনি। এর মাধ্যমে দু’দেশের সরকারের পাশাপাশি পিপল টু পিপল কন্ট্রাক্ট নতুন উচ্চতা লাভ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.