প্রশান্তি ডেক্স্ ॥ ফাতেমা খাতুন (২০) নামে এক প্রসূতিকে পুরো চিকিৎসা না দিয়েই বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (হাসপাতাল) কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়ে অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন। এরপর দ্বিতীয় তলা থেকে হাসপাতাল চত্বরে যেতেই ফাতেমার পুনরায় প্রসববেদনা শুরু হয়। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভেতর উঠতেই তিনি একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। জানা গেছে, ফাতেমা খাতুন উপজেলা সদরের উল্লাপাড়া গ্রামের আসাদুল ইসলামের স্ত্রী। এটি ফাতেমা খাতুনের প্রথম সন্তান, এই নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে আলী আকবর। এই অমানবিক ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসে। ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে সন্তান নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ফাতেমা খাতুন। তবে শিশুটি সুস্থ থাকলেও তার মা ফাতেমা খাতুন উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগে কাতরাচ্ছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলছে, ফাতেমা খাতুনের প্রসববেদনা উঠলে গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনরা। তাকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করান। মাত্র ২০ মিনিট পর নার্সদের পক্ষ থেকে জানানো হয় তাকে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেলিভারি করানো সম্ভব না। একপর্যায়ে হাসপাতাল থেকে ফাতেমাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তখন হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে বসতেই সেখানে সন্তান প্রসব করেন ফাতেমা।ফাতেমা খাতুনের স্বামী আসাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ছাড়পত্র দিয়ে আমাদের হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেন। নিরুপায় হয়ে চিকিৎসার জন্য টাকা ও গাড়ি জোগাড়ের চেষ্টা করতে থাকি। এ সময় হাসপাতাল চত্বরেই আমার স্ত্রী সন্তান প্রসব করে। আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা অমানবিক।