হতাশ হওয়ার কিছু নেই… দেখুন কারা আজ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে…

হতাশ হওয়ার কিছু নেই বরং আছে জীবন উপভোগ করার এবং আশা সঞ্চারিত করে এগিয়ে যাওয়ার অদম্য প্রত্যয়। তিনের নেতৃত্বে একের সহায়তাই এখন বিশ্ব তোলপাড়। দেখুনতো বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়া মানুষগুলোর অতীত: শৈশব থেকে ছাত্র জীবন, তারপরের অধ্যায় এবং আজকের বর্তমান। কি কঠিন সময় পার করে আজকের অবস্থানে তারা। আরো একটু গভীরে গিয়ে বিশ্লেষণ এবং দৃশ্যমানতা অবলোকন করেই সমস্ত হাতাশা থেকে ফিরে আসা যায় এবং আগামীর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিজেকে নিয়োজিত রাখা যায়।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানটুকু একটু ভাবুনতো; আপনি কি প্রথম সারির বেঞ্চে বসতেন। ছাত্র হিসেবে আপনি এ গ্রেডের না বি অথবা সি গ্রেডের ছিলেন? বিশ্ব পর্যালোচনায় এবং বাস্তবের রসায়নে দেখা যায় যারা ছিল এ গ্রেডে বা প্রথম সারির বেঞ্চের তারা আজ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রশাসনিক ক্যাডার (বিচারপতি, ডিসি, এসপি, ম্যাজিষ্ট্যাট, সচিব, ইঞ্জিনিয়ার সহ আরো কতকি)। আর যারা দ্বিতীয় সারির বেঞ্চে আসনধারী তারা হয়তোবা ব্যবসায়ী, চাকুরীজিবী, অথবা নেতৃত্বের কোন স্তরে অধিষ্ঠিত। তৃতীয় সারির বেঞ্চে আসনধারীরা কি ব্যর্থ না তারা আজ রাষ্ট্র পরিচালনায়, সমাজ পরিচালনায় এমনকি নেতৃত্বে

র সর্বোচ্চ শিখরে। তারা স্বপ্ন দেখেছেন ও বাস্তবায়ন করেছেন। অর্থ, বিত্ত, বৈভবে ভরপুর মানুষগুলোই হলো ঐ তৃতীয় সারির বেঞ্চে আসনধারীরা। তবে এর কি কারন বলতে পারেন?
কারন একটাই আর তা হলো ঐ তৃতীয় সারির আসন ধারীরা বা শেষ বেঞ্চে বসা সি গ্রেডের ব্যক্তিরা ছিল ভিশনারী এবং বিশাল পরিসরে দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়নকারীর সম্মুখ সারির কারিঘর। তারা সবকিছুই দেখেছেন, বুঝেছেন এবং করণীয় ঠিক করার পরিকল্পনা এটেছেন। তাও আবার দেখে দেখে অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে। দিত্বীয় সারির তারা কম দেখেছেন এবং ভেবেছেন আর যা ভেবেছেন তাও ঐ পাঠ্যপুস্তুকের আর্ধালোকে এবং বাকী অর্ধালোক ছিল পারিপাশ্বিক বাস্তবতা। আর এ গ্রেডের বা প্রথম বেঞ্চের অধিকারীগণ শুধু পাঠ্যপুস্তক এবং জ্ঞান অর্জনের লিস্পায় মত্ত আর সেই জ্ঞান বিলিয়ে দেন তৃতীয় সারির নেতৃত্বের সুদুর প্রসারী বিশ্বময় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে। ভাবুনতো আপনি এখন কোথায় এবং অতিতে ছিলেন কোথায়?
নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুন এবং হতাশা থেকে বের হয়ে এসে নিজ দায়িত্ব পালন করুন। সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। কোম্পানীর এমডি থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানুষগুলো নিজ নিজ আসন পাকাপোক্তকরণে সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনায়ই হয়েছে। আপনি, আমি ও আমরা কেউ-ই এখন আর অবহেলিত নন, বরং খোদার দৃষ্টিতে মূল্যবান। আর সেই মূল্যবান হিসেবেই নিজেকে স্ব স্ব অবস্থানে নিয়োজিত রেখে সামনে এগিয়ে যাই। নতুন দিনের নতুন আঙ্গিকে পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিয়ে যার যার অবস্থান থেকে প্রস্তুতি নিয়ে কাজে নেমে পড়–ন। সময় নষ্ট করার উপায় এখন আর অবশিষ্ট নেই। আপনার, আমার সকলের মধ্যেদিয়েই সৃষ্টিকর্তা মঙ্গলময় এবং তাঁর কাজ চলমান রেখেছেন ও রাখবের। নিজেকে ছোট ভাবার দিন শেষ এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার দিন শুরু এই প্রত্যাশায় আগামীর সমৃদ্ধি সমুজ্জ¦ল হউক ইতিবাচক সকল কর্মকান্ডে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.