প্রশান্তি ডেক্স ্্বিয়োং চইকে হারিয়ে তার পরিবার যন্ত্রণায় কাতর ছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। তার হাড়ের মজ্জায় যক্ষ্মারোগ হয়েছিল। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক। করোনা মহামারির কারণে গত ১৯ মার্চের আগে তার পরিবার কোনো অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করতে পারেনি। মৃত্যুর আগে তিনি চার কন্যা ও স্ত্রীকে রেখে গেছেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিনটি স্বজন হারানোর পাশাপাশি আরেকটি কারণে বেদনাদায়ক হয়ে থাকবে। দিনটি তাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়াবিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়েছে ক্যানসারের মতো।
পরবর্তী গত সোমবার প্রয়াত বিয়োং চইয়ের স্ত্রী হাতে লেখা একটি চিঠি পেয়েছেন। এতে গোটা গোটা অক্ষরে তাদের লেইজার ওয়ার্ল্ড সিল বিচের ঠিকানা লেখা। পাঠানো হয়েছে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিনেই। চিঠিতে লেখা—বিয়োং চই চলে যাওয়ায় লেইজার ওয়ার্ল্ডকে একজন কম এশীয়কে সহ্য করতে হবে। তোমরা বিরক্তিকর এশীয়রা আমেরিকানদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছ। যখন ২১ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ তরুণ আটজনকে হত্যার কয়েক দিন পর এ চিঠি এসেছে। নিহতদের মধ্যে ছয়জনই ছিলেন এশীয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রে এশীয় কমিউনিটির মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর বিয়োং চইয়ের কন্যা ক্লোডিয়া বিরক্ত প্রকাশ করলেও অবাক হননি। তিনি বলেন, আমার বাবার মৃত্যুকে তারা উদযাপন করছে। যেদিন বাবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, সেদিনই এটি পাঠানো হয়েছে। ক্লোডিয়া বলেন, চিঠিতে একটি স্ট্যাম্প বসানো বিশেষভাবে নৃশংস। এর মানে হচ্ছে তারা হুশিয়ারি করছে। তিনি আরও বলেন, এর আগে আমাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে বলতে শুনেছি। প্রতিনি বর্ণবাদীর মনেই এ ধরনের চতুর অবজ্ঞা থাকে।
এশীয় বিদ্বেষী অপরাধের ঘটনায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।