ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ গত সোমবার (২২ মার্চ) সকালে গোপিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এস.এম.এ মান্নান জাহা্গংীর। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন; তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা জনৈক আবদুল হক ও তার স্ত্রী নারগিছ আক্তারকে শিখন্ডী করে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৮ মার্চ কসবা আলতাফ প্লাজার কমিউনিটি সেন্টারে বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া গ্রামের আবদুল হক ও তার স্ত্রী নারগিছ আক্তার আমার কাছে ২০০৫ সালে ১৮ লাখ টাকা পাবে বলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন। গুড়িয়ারুপের সিরাজ মিয়া ও চকচন্দ্রপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম নামে কাউকে আমি চিনিনা। অথচ আবদুল হক দাবী করেছেন আমার কাছে টাকা পাবে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মিথ্যা অভিযোগ করে। যাহা সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি বলেন ২০০৫ সালে ইরাকে যুদ্ধ ছিলো। অথচ ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ওই সময় ইরাকে লোক পাঠানোর জন্য জাবের ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির নিকট টাকা প্রদান করেছেন। প্রকৃত অর্থে ওই সময় আমি এই প্রতিষ্ঠানের মালিক নই। আমি ২০১০ সালে জাবের ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুুটিং এজেন্সির মালিক হই। মান্নান জাহাংগীর আরো বলেন; আবদুল হক ও নারগিছ আক্তার ২০০৫ সালে আমার মাধ্যমে মাত্র তিনজন লোক বিদেশে পাঠিয়েছে। এরা বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে কাজ করতো। এরা স্বামী-স্ত্রী মুলত দীর্ঘদিন যাবত আদম ব্যবসায় জড়িত। তারা মানুষ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে প্রতারনার দায়ে একাধিক মামলা মোকাদ্দমায় জড়ায়। স্বামী-স্ত্রী দজনই ওইসকল মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল খাটে। এ ছাড়াও আবদুল হক মামলায় জেতার জন্য নিজের ছেলেকে ভারতে লুকিয়ে রেখে ভুক্তভোগী পাওনাদারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে ও ফায়দা লুটে। আগামী ইউপি নির্বাচনে আমি যাতে প্রার্থী হতে না পারি এবং আমার মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন আবদুল হক। সংবাদ সম্মেলনে গোপিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যগন ছাড়াও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে চেয়ারম্যানের পক্ষে কথা বলেন এবং তারা দাবী করেন পুরো ঘটনাটিই একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ক্যাপ্টেন (অবঃ) কফিল উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মো.আমজাদ হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সৈয়দ মাহবুব হোসেন রুবেল, প্রবীন ব্যক্তিত্ব হরমুজ আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন তারু । তারা সকলেই বলেন মান্নান জাহাংগীর একজন সৎ চেয়ারম্যান তাই তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ বিষয়ে আবদুল হকের সাথে তার মুঠোফোনে (০১৮১৭৬০৩৩২৩) যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলাম। তাই এতবছর পাওনা টাকার জন্য মামলা করতে পারিনি। আমার স্ত্রী তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও সে পাত্তা দেয়নি।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post