ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে কসবায় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রতিবাদ ও নিন্দা

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত ইসলাম গত ২৮ মার্চ হরতালের নামে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে কসবার দশ বিশিষ্ট ব্যক্তি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে এ সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিগন বলেন; সেদিনের হরতালে হেফাজত ইসলাম ; ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমী, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, সুরসম্্রাট আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল,আবদুল কুদ্দুস মাখন মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদকের কার্যালয়,সদর ভ’মি অফিস, ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়ীঘর সহ যে সকল সরকারী -বেসরকারী স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে ভস্মিভূত ও ভাংচুর করেছে এর নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। এ ধ্বংসলীলা ১৯৭১ সালের পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর আলসামস এর ধ্বংসযজ্ঞ ও লুটপাটের কথা মনে করিয়ে দেয়। ধ্বংসলীলার নমুনা দেখে আঁচ করা যায়, কারা এর নেপথ্যে। তাঁদের চিহ্নিত করা হোক। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে এবং বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে আমাদের যে ধারনা জন্মেছে এতে এই হামলা ও ধ্বংসলীলা আমাদের বাঙালী জাতীয়তাবাদ, সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর সুদূরপ্রসারী আঘাত। প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারেনা। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং দোষিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী জানাচ্ছি। বিবৃতিদাতাগন হলেন ; সাংবাদিক ও সংগঠক মো.সোলেমান খান, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী নেপাল চন্দ্র সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রব ফিরোজ, অধ্যাপক ও সাংবাদিক রুহুল আমিন টিটু, আলোকচিত্রী সাংবাদিক ভজন শংকর আচার্য্য, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ও সাংবাদিক রুবেল আহমেদ, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ও সাংবাদিক শিমুল আহমেদ চৌধূরী, সাংবাদিক ও নারী নেত্রী তাছলিমা আক্তার , সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.