বিমসটেক মাস্টার প্ল্যান হচ্ছে

প্রশান্তি ডেক্স ॥ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি বৃদ্ধির জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে বিমসটেক। গত বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এটি অনুমোদনের পর পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিষয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন মাল্টি-মোডাল কানেক্টিভিটি ব্যবস্থা না হলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানুষে মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় না। এর জন্য আইনি চুক্তি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দরকার।’
এই অঞ্চলের মানুষের আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য অধিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দরকার বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেক কানেক্টিভিটি মাস্টার প্ল্যান তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহযোগিতায় এই স্টাডি করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিনেস শুনাবর্ধনে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে সহায়তা করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বৈঠকে দেশের মধ্যে আইনগত সহায়তা (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স) সংক্রান্ত চুক্তি, সব দেশের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সহায়তা সেন্টার স্থাপন চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়াদী গৃহীত হয়। শীর্ষ সম্মেলনে এই মাস্টার প্ল্যান গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এবছর কলম্বোতে শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা আছে। তবে তা হবে কী হবে না, করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কাঠমান্ডুতে শেষ শীর্ষ সম্মেলন হয়েছিল, এ বছর শ্রীলঙ্কায় হওয়ার কথা আছে। আগামী শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেক চার্টার, কয়েকটি চুক্তি, পরিবহন খাতে মাস্টার কানেক্টিভিটি পরিকল্পনাসহ অন্যান্য বিষয়াদী উপস্থাপন করার বিষয়ে সব দেশের ঐক্যমত্যের প্রয়োজন।
বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে— বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.