হেফাজত ইসলামের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে সতর্কবস্থায় কসবায় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজতের নৈরাজ্য সৃষ্টি ও উদ্বুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে হতাহতের ঘটনায় হেফাজতের ডাকা হরতালের কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সর্বত্র সতর্কবস্তায় রয়েছে প্রশাসন ও সরকারদলীয় লোকজন। যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতিদের সহিংসতা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করায় কসবায়ও সাধারন মানুষের মাঝে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার ২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল এবং তাদের সহিংসতা ঠেকাতে প্রশাসনের পাশাপাশি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দাবাদ এবং তিললাখপীর এলাকায় অবস্থান নিয়েছে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। উপজেলার দশ ইউনিয়ন ও পৌরসভার সকল নেতৃবৃন্দ রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। সকালে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন। নেতৃবৃন্দ সৈয়দাবাদ-নয়নপুর সড়ক, কসবা-কুটি সড়কের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে সভা-সমাবেশ করে। রোববার সকাল থেকে জেলা শহরে হেফাজত তান্ডব চালালেও কসবায় রাজপথে হরতাল পালনে হেফাজতের কোনো নেতৃবৃন্দকে দেখা যায়নি। সাম্প্রতিককালে কসবা উপজেলা সদরে প্রায় ৩০টি কওমী মাদরাসা গড়ে উঠেছে। এসকল মাদরাসগুলো ঘিরে কিছু অপরিচিত লোকের আনাগোনা দেখা গেলেও হরতাল বিরোধীদের সতর্ক অবস্থানের কারনে হেফাজতিরা কোনো প্রকার হরতাল বিক্ষোভ করার আলামত দেখা যায়নি । রাস্তায় ট্রাক,সিএনজি চলতে দেখা গেছে। তবে গত শনিবার সন্ধ্যায় কসবা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার অদুরে হেফাজত নেতা জয়নাল আবেদীন জালালী, কামাল উদ্দিন দায়েমী ও ইয়াকুব উসমানীর নেতৃত্বে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের তিনলাখপীর থেকে সৈয়দাবাদ বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত ২৫/৩০ জনের একটি দল বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে সৈয়দাবাদ ষ্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সভা করে তারা। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন জানান, হেফাজতিদের হরতাল প্রতিহত করার জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা যার যার এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন; এ উপজেলায় কোন বিশৃঙ্খলাকারীকে প্রশ্রয় দেয়া হবেনা। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ জানান, হেফাজত ইসলামের ডাকা হরতালে কসবায় কোন সহিংস ঘটনা ঘটেনি। পরিবেশ খুবই স্বাভাবিক রয়েছে। পৌরশহরে এবং উপজেলার গুুরুত্বপুর্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.