স্পোর্স্ট ডেক্স ॥ পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন (পিএফএফ) কে নিজেদের সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করেছে ফিফা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে ফিফা। পাকিস্তানকে বহিষ্কারের কারণ সম্পর্কে ফিফা জানিয়েছে, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ। যা সংবিধানের গুরুতর লঙ্ঘণ। এমনকি ফিফার নিয়মেরও বহির্ভূত কর্মকান্ড। ফিফার সদস্যভূক্ত পৃথিবীর প্রতিটি দেশের ফুটবল ফেডারেশনকে চলতে হবে ফুটবলের আন্তর্জাতিক সংস্থাটির নিয়মানুসারে। এই নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটলেই ফিফা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। পৃথিবীর প্রতিটি দেশের জন্যই এই নিয়ম প্রযোজ্য।
ফিফার নিয়ম হলো, প্রতিটি দেশের ফুটবল ফেডারেশন চলবে তার নিজস্ব সংবিধান অনুসারে। সেখানে সরকার কিংবা তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ চলবে না। যে কারণে নানা সময়ে বিভিন্ন দেশের ফুটবল ফেডারেশনকে পড়তে হয়েছে নিষেধাজ্ঞার মুখে। বিবৃতিতে ফিফা বলেছে, লাহোর শহরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের (পিএফএফ) কার্যালয় দখল করে নিয়েছে শত্রুভাবাপন্ন কিছু মানুষ এবং সেখান থেকে তারা ফিফার প্রতিনিধিদের বের করে দিয়েছে। পিএফএফ নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে ফিফা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে একটি সাধারণ কমিটি করে দিয়েছিল, যেটার কাজ ছিল একটি সুন্দর একং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে দায়িত্ব অর্পন করা। এরপরও সম্প্রতি পিএফএফ সদর দপ্তরে হামলা চালায় নেতার আশফাক হোসেনের নেতৃত্বে একদল বিরোধী শক্তির মানুষ। তারা ভাঙচুর চালায় পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের হেডকোয়ার্টারে এবং হারুন মালিককে বের করে দিয়ে পিএফএফ-এর নিয়ন্ত্রণ নেয়।
তারা অবশ্য দাবি করছে, দেশটির এপেক্স কোর্টের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তারা জয়লাভ করেছে এবং দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ফিফা পিএফএফ-এর কাছে নোটিশ পাঠিয়ে নির্দেশ দিয়েছিল, ৩১ মার্চের মধ্যে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের হেডকোয়ার্টার খালি করার জন্য। অন্যথা তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে। কিন্তু ফিফার নোটিশকে সম্পূর্ণ আগ্রাহ্য করেছে পিএফএফ-এর দখলদার শক্তি। যে কারণে দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে ফিফা। তারা বিবৃতিতে বলেছে, এই অপরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যুরো অব দ্য কাউন্সিল পিএফএফকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।