ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার রাইতলা গ্রামে এক হেফাজত নেতার ধর্ষনের শিকার হলেন ১২ বছরের এক ছাত্রী। এ বিষয়ে কসবা থানায় মামলা হলে টের পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন হেফাজত নেতা মাওলানা নুরুল্লাহ ওরফে নুরুল হক। মাওলানা নুরুল হক রাইতলা গ্রামের মৃত মাওলানা আবদুল হামিদের পুত্র। গ্রামের লোকজন জানায় মাওলানা নুরুল্লাহ ও তার ভাই ছফিউল্লাহ স্থানীয় হেফাজত নেতা। ওই ছাত্রীর মায়ের করা মামলা ও থানা সুত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল উপজেলার রাইতলা গ্রামের দক্ষিন পাড়ায় অবস্থিত ফোরকানীয়া মাদরাসার সুপার মাওলানা নুরুল্লাহ ওরফে নুরুল হকের নিকট গ্রামের অন্যান্য ছাত্রীর সংগে প্রতিদিনের মতো আরবী পড়তে যায় ওই ছাত্রী। ওইদিন সকালে আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে ছুটি শেষে ওই ছাত্রীকে ডেকে এনে কক্ষটি ঝাড়– দিতে বলে হুজুর নুরুল্লাহ। এসময় ওই ছাত্রীর সাথে থাকা অন্যান্য ছাত্রীরা বাড়িতে চলে গেলে একা পেয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ করে ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা ওই ছাত্রী কান্নাকাটি করে বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাছে এ ঘটনা জানালে পরিবারে আতংক সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর নুরুল্লাহর ভাই ছফিউল্লাহকে বাড়িতে ডেকে এনে ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানালে এর কঠিন বিচার করার নামে সময়ক্ষেপন করতে থাকে। পরে বিষয়টি গ্রামের সাহেব সর্দারদের জানালেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি তারা। ফলে নিরুপায় হয়ে গত ১৩ এপ্রিল ওই ছাত্রীর মা কসবা থানায় হেফাজত নেতা ধর্ষক মাওলানা নুুরুল্লাহ ওরফে নুরুল হক ওরফে নুরুল্লাহ’র বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় কসবা থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা করেন। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। ওই দিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রথম শ্রেনীর বিচারিক আদালতে ধর্ষিতার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। ওই ছাত্রীর বাবা জানায়, ধর্ষক মাওলানা নুরুল্লাহর পরিবারের লোকজন আমাদের হুমকি দিচেছ মামলা তুলে নিতে। এ বিষয়ে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা গ্রহন করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আসামী মাওলানা নুরুল্লাহকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত আছে।