কসবায় আইনমন্ত্রীর সভা চলাকালে দুই মেয়র মনোনয়ন প্রত্যাশী সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসিট দাখিল

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবায় দুই মেয়র মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমএ আজিজের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে চার্জসিট দাখিল করেছে কসবা থানা পুলিশ। ৮৮ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা দেখিয়ে চার্জসিট দাখিল করা হয়। প্রকাশ; গত ৫ মার্চ উপজেলা প্রশাসন আয়োজনে ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে জাতীয় স্মার্ট পরিচয় পত্র বিতরন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি আসার পূর্বে এবং পরবর্তীতে মন্ত্রীর সভা চলাকালে আওয়ামী লীগ’র দুই মেয়র মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমএ আজিজের সমর্থকদের মাঝে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এসময় মন্ত্রী বক্তব্য শেষ না করেই ক্ষুব্দ হয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন। পরে মন্ত্রী উপজেলার পানিয়ারুপ তাঁর নিজ বাড়িতে চলে যান। উভয় পক্ষের ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৪টি মোটর সাইকেল পুড়ানো হয়। বেশ কিছু মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। ফুটপাতে গড়ে উঠা আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের ৩টি দলীয় কার্যালয়ের শতাধিক চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়। লুট করে নিয়ে যাওয়া হয় দলীয় কার্যালয়গুলোর টিনের চাল। বেশ কয়েকটি ব্যাংক, বীমা অফিসের সাইনবোর্ড ও গ্লাস ভাংচুর করা হয়। দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়। এতে বৃহৎ দুটি বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক সৃষ্টি হয়। উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে প্রায় ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় পরদিন ৬ মার্চ সন্ধ্যায় কসবা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো প্রায় আড়াইশো জনকে অজ্ঞাত আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা রুজু করেন। ওই রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পৌর শহরের তেতৈয়া গ্রামের ৬ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত গ্রেপ্তারকৃতদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই মামলাটি দ্রুত বিচার আইন অনুযায়ী গত ১৩ মার্চ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ বিজ্ঞ আদালতে চার্জসিট পেশ করেন। বিজ্ঞ আদালত চার্জসিটটি গ্রহন না করে পুনরায় অধিকতর তদন্তের জন্য কসবা থানাকে নির্দেশ দেন। ফলে কসবা থানা পুলিশ এই মামলায় আরো ২৩ জনসহ মোট ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে চার্জসিট প্রদান করেন। কিন্তু উভয় পক্ষের নেতাদের কারো নামই চার্জসিটে অন্তর্ভূক্ত হয়নি। ফলে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসংগে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়ার দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন; আমাকে দয়া করে মাফ করুন। এই মামলা প্রসংগে আমি কিছুই বলতে চাইনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.