জ্ঞানের অভাবে আমার লোকেরা ধ্বংস হয়ে গেছে
হোশেয় ৪:৬
একদিন আমি একজন বিখ্যাত অভিনেতার পাশাপাশি হাঁটছিলাম, আর হাঁটতে হাঁটতে সৈনিক হিসেবে তার দ্বায়িত্ব পূর্ণভাবে পালন করবার জন্য তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছিলাম। তিনি সামরিক ইউনিফর্ম পড়ে অস্ত্র হাতে যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলেন; আমরা যেমনভাবে মুভিতে দক্ষ সৈনিকদের দেখি যারা যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকে ঠিক তেমনি। কিন্তু কয়েক মুহুর্ত পরেই তাকিয়ে দেখলাম উনি আমার পাশে নেই; আর নিজেকে আবিস্কার করলাম আমি যুদ্ধক্ষেত্রে একদল জলজ্যান্ত সেনাবাহিনীর পিছনে গিয়ে অবস্থান নিয়েছি । আবিষ্কার করলাম আমি সামরিক ইউনিফর্ম পরে আছি, স্থীরদৃষ্টি কোন নড়াচড়া নেই এবং প্রয়োজনীয় সবরকম অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমি একেবারে প্রস্তুত! প্রথম সারির সৈন্যদের মাথার উপর দিয়ে আমার দৃষ্টি আরও সামনের একটি অন্ধকার আয়না সদৃশ কাঁচের দেওয়ালে গিয়ে থমকে দাঁড়াল। আর সময়ের চাকা আরও সামনের দিকে এগিয়ে গেলে আমি দেখলাম যে আর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চালাবার প্রস্তুতি চলছে। আমি দেখলাম প্রতিপক্ষ শত্রুরা তাদের সামরিক যানবাহন নিয়ে সেই কাঁচের দেওয়াল ভেদ করে ভেঙ্গে চূড়ে আমাদের সামরিক বাহিনীর দিকে গুলি বর্ষণ করতে করতে সোজা এগিয়ে আসছে! শত্রু পক্ষ এমনভাবে দেওয়ালের পিছনে নিজেদেরকে লুকিয়ে রেখেছিল যে আমাদের সামরিক বাহিনী কোনভাবেই বুঝতে পারেনি যে তাদের একেবারে সামনে ভয়ানক আক্রমন অপেক্ষা করছে। অভিজ্ঞ, এবং যেকোন হামলার জন্য প্রস্তুত তেমন একজন সৈনিকের স্বভাবের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক হলেও আমি আসন্ন আতর্কিত হামলার ব্যপারে আমার সম্মুখের সেনাদলকে সতর্ক না করে বরং নিজেকে নীচু করে আড়াল করবার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং যুদ্ধের ঝড় না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকলাম। যেই মূহুর্তে আমি আড়াল থেকে বেড়িয়ে অস্ত্র হাতে গুলি করবার জন্যে উঠে দাঁড়ালাম, আর তখন আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল।
এই স্বপ্ন আমার হৃদয়কে এতোটাই বিচলিত করলো যে আমি আর মুখ বন্ধ করে থাকব না সিদ্ধান্ত নিলাম, কারণ সবাইকে আমার সতর্ক করতেই হবে কারণ অতর্কিত হামলা যেকোন সময়ই শুরু হতে পারে, যদিও এরই মধ্যেই আমাদের বিপক্ষে আক্রমন চলছে। এই আক্রমন ছোট আকারে শুরু হতে পারে, কিন্তু ক্রমান্নয়ে এই আক্রমন ভীষন তীব্র থেকে আরও তীব্র হতে পারে যা বীভিষিকাময়, এবং পরিণতিতে প্রচন্ড ধ্বংসলীলায় রূপ নিতে পারে। মুখ খুলবার সময় এসে গেছে, সতর্ক করবার সময় হয়ে গেছে। আমি এই স্বপ্নের ব্যাখ্যার জন্য বিনতি প্রার্থনা করেছি, এবং বেশ কয়েকজন নির্ভরযোগ্য আধ্যাত্বিক ব্যক্তিত্বের সাথে এপ্রসঙ্গে কথা বলেছি, এর ব্যাখ্যা জানবার জন্য। তারা আমাকে ভীষণভাবে এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা ও বিষয়বস্তু প্রসঙ্গে মতামত দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। আমি বিশ্বাস করি এই স্বপ্নের মূল বচনটির উৎস ঐশ্বরীক (খোদায়ী) এবং (আল্লাহর সঙ্গে ঈমানী) খ্রীষ্টিয় সহভাগিতার (মন্ডলী/জামাত) জন্য প্রেরিত। আমি পিতরের নিকট প্রাপ্ত একটি (আয়াত) পদ স্বরণ করে এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু করব,”যদি কেউ কথা বলে, তবে (আল্লাহর) ঈশ্বরের কথা বলার মতো করে তা করা উচিত (১ পিতর ৪:১১ পদ –(আয়াতে))।” অতএব, এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে আমি যা লিখব, ঐ স্বর্গীয় বানীটি আমার প্রতিটি শব্দের বিচারের মানদন্ড হউক।
আমার এই সতর্কবাণীটি আজকে আমরা যারা খ্রীষ্টের দেহের (আল্লাহর) সঙ্গে সংযুক্ত আছি তাদের প্রতিই বর্তায়। বন্ধুগন, জ্ঞানের অভাবে আমরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি! হিতোপদেশ ২৫:২ পদে (আয়াত) লেখা আছে, “কোন কোন বিষয় গোপন রাখা (আল্লাহর) ঈশ্বরের পক্ষে গৌরবজনক; কোন কোন বিষয় অনুসন্ধান করা রাজাদের পক্ষে গৌরবজনক।” এমন জ্ঞান আছে যা ঈশ্বর (আল্লাহ) গোপন রেখেছেন, তিনি চান যেন আমরা মন প্রান খুলে সেই গোপন জ্ঞান অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে আবিষ্কার করি। শত্রু একটি ধোঁয়াশে পর্দা (আয়না সদৃশ কাঁচের দেওয়াল) তৈরী করে মন্ডলীর/জামাতের বহু লোকের আত্মীক চোখ অন্ধ করে রেখেছে, এবং মানুষের সর্ব্বপ্রকার কর্মকান্ডের মধ্যে একটি করে ট্রোজান হর্স বা ট্রয়ের ঘোড়া আড়ালে লুকিয়ে রেখেছে। মিডিয়া, রাজনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সিনেমাজগৎ এমনকি সার্বজনীন (বিশ্ব মন্ডলী) মন্ডলী বা জামাতও এই মহা প্রলয়ংকারী বা ধ্বংসাত্বক আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। আয়না সদৃশ কাঁচের দেওয়ালটির তাৎপর্য হল আমরা যেন ভাবি যে আমরা আমাদের মতই দেখতে ও দক্ষ কোন শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করছি, কিন্তু বস্তুত অন্তরালে এটি একটি ফাঁদ এবং খুবই গোপন কুচক্রান্ত। এই যুদ্ধ আমাদের হৃদয় এবং মনের সঙ্গে যুদ্ধ, কিন্তু আমরা এই আক্রমণের প্রকৃত আধ্যাত্মিক বা আত্মীক শক্তি ও প্রকৃতি সম্পর্কে অজ্ঞ, অসচেতন ও আনমনা হয়ে আছি। এই স্বপ্নে আমি দেখেছি যে, আমরা একটি ফাঁদের দিকে হেঁটে চলেছি। যদি আমরা এভাবেই সেই ফাঁদের গোলকধাঁধাঁয় চলতে থাকি, তবে বিপক্ষ শক্তি একে একে আমাদেরকে অপহৃত করতে থাকবে।
“কোন কোন বিষয় গোপন করা
ঈশ্বরের (আল্লাহর) পক্ষে গৌরবজনক;
কোন কোন বিষয় অনুসন্ধান করা
রাজাদের পক্ষে গৌরবজনক।”
ইফিষীয় ৬:১২ পদে (আয়াতে) প্রেরিত পৌল আমাদের সতর্ক করে বলেছেন যে, “কারণ দেহ এবং রক্তের সঙ্গে নয়, কিন্তু পরাক্রম সকলের সঙ্গে, কর্তৃত্ব সকলের সঙ্গে, এই অন্ধকারের জগতপতিদের সঙ্গে, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্ট আত্মাদের সঙ্গে আমাদের মল্লযুদ্ধ হচ্ছে।” শত্রু পক্ষ সংখ্যায় অগনিত ও বিশাল ও শক্তিশালী, তারা পৃথিবীব্যাপি ছেয়ে গেছে। প্রতারণা করাই দিয়াবলের (শয়তানের) স্বভাব, এবং এই বাহিনী এমনভাবে সুকৌশলে ’সত্য’–কে বিকৃত করে মিথ্যা দিয়ে সাজিয়ে আমাদের কাছে উপস্থাপন করছে যেন আমরা প্রতারিত হই এবং সে তার ঐ মিথ্যা প্রবঞ্চনার প্রভাব নিয়ে ভীষণ দক্ষতায় মন্ডলী/জামাতে অনুপ্রবেশ করছে, আর আমরাও তাকে সুযোগ করে দিয়ে প্রতারিত হচ্ছি, পরাজিত হচ্ছি, এবং এতে মন্ডলীর/ জামাতের/ ঈমানদারদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ও বিভক্তি তৈরী হচ্ছে। আর সে মূলত বর্তমানযুগের প্রেক্ষাপটের ধ্যান-ধারণায় অপ্রাসঙ্গিক হিসেবে আমাদেরকে উপস্থাপন করছে। দু:খজনকভাবে আমরা চশমায় যে ছলনার লেন্স পরেছি যা দিয়ে আমরা কোনটি প্রকৃত প্রেম তা বুঝতে বিভ্রান্ত হচ্ছি। এই পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবার কারণে মন্ডলী/জামাতগুলি / ঈমানদারদলগুলি দূর্বল এবং নিষ্প্রাণ হয়ে পরেছে। অনেকেই আবার একবারে নিদ্রামগ্ন হয়ে পরেছে। ঈসা (যীশু) বলেছিলেন যে, শেষকালে পিতামাতা ও তাদের ছেলেমেয়েরা একে অপরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠবে এবং মানুষের প্রতি মানুষের প্রেম-ভালবাসা অসাড় হয়ে পরবে। আমরা এর বাস্তবতা সর্ব্বত্র পদে পদে দেখতে পাচ্ছি, কারণ আমরা (আল্লাহর) ঈশ্বরের প্রজ্ঞা ডিঙ্গিয়ে মানুষের প্রজ্ঞা আমাদের দৈনন্দিন জীবনচক্রে প্রয়োগ করবার মধ্য দিয়ে বিপক্ষ শত্রূর সাজানো মিথ্যার জালে জড়িয়ে পরছি। যীশু (ঈসা) প্রার্থনায় বললেন, “পিতা, তারা যেন সবাই এক হতে পারে, ঠিক যেমন তুমি আমার মধ্যে আছো এবং আমি তোমার মধ্যে আছি। তারাও আমাদের মধ্যে থাকুক, যাতে জগৎ বিশ্বাস করে যে তুমি আমাকে পাঠিয়েছ” (ইউহোন্না) যোহন ১৭:২১। “তোমরা যদি একে অন্যকে প্রেম কর, তবে তার মাধ্যমে সব লোকেরা জানবে যে তোমরা আমার শিষ্য” (যোহন (ইউহোন্না) ১৩:৩৪)।
“আমাদের মল্লযুদ্ধ দেহ এবং রক্তের সঙ্গে নয়….”
সত্য কোথায় খুঁজে পাব?
জ্ঞানের ভান্ডার (বাদশাহ সোলেমান) শলোমন হিতোপদেশ ২৩:২৩ পদে (আয়াতে) বলেছেন, “সত্য কিনে নাও, বিক্রয় কর না; প্রজ্ঞা, শাসন ও সুবিবেচনা কিনে নাও”। আসুন আমরা সত্য খুঁজি যেহেতু তা এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে এবং অনুধাবন করা যাচ্ছে, যেন আমরা অনিশ্চিয়তার মাঝেও টিকে থাকতে পারি।
আমি যখন ছোট ছিলাম, যীশুর (ঈসার) এই কথাটি বিশ্বাস করেছিলাম, তিনি বলেছিলেন, “আমিই পথ ও সত্য ও জীবন। আমার মাধ্যম ছাড়া কেউ পিতার (আল্লাহর) কাছে আসতে পারে না।” আমি যখন খ্রীষ্টে নিজেকে সমর্পণ করেছিলাম আমি পাপের দাসত্ব বন্ধন খেকে মুক্ত হয়ে এসেছিলাম। কিন্তু, যখন খ্রীষ্টের সঙ্গে আমার দৈনন্দিন সম্পর্কে এবং পূর্ণ বিশ্বাসের জায়গায় ভাটা পরতে থাকে, আমার জীবনে ছলচাতুরির শিকড় গেড়ে বসতে শুরু করে। মনে পরে কত সহজেই না তা আমাকে ছলনার আচ্ছাদনে ঢেকে রেখেছিল। কারণ তা মিথ্যার আবরণে সত্যের ছদ্মবেশ ধারণ করে আমার মাংসিক ও মানসিক সত্বাকে বিপথে টেনে হিঁচরে নিয়ে যাচ্ছিল। সত্যে’র দৃষ্টিভঙ্গি যদি সামান্যতম বিকৃত হয়, তবে সেটাই মিথ্যার রূপ নেবে। সেই কারণেই, আমাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন আমরা পরীক্ষা করে দেখি আত্মাগন (আল্লাহ) ঈশ্বর প্রদত্ত কিনা। আমার স্বপ্নে দেখা সেই আয়না সদৃশ কাঁচের দেওয়ালটি ছলনা বা ছদ্মবেশ বা প্রতারণার প্রতিচ্ছবি। এই ছলনার জালে আটকে পরা অনেকেই বর্তমানে আমাদের বুদ্ধি, জ্ঞান ও সত্যের উৎস। যেমন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা; সামাজিক গনমাধ্যম, যোগাযোগ, বিনোদন, সংবাদ ও তথ্য মাধ্যম, প্রশাসন, রাজনীতি, স্বাস্থ্য সংস্থা, বুদ্ধিজীবি বা “অভিজ্ঞ” মহল ইত্যাদি আরও অনেক মাধ্যম আছে যার মধ্য দিয়ে আমরা মিথ্যার প্রবঞ্চনার বর্শিতে আটকা পরে যাই। আরও একটি মাধ্যম বা উৎস আছে যাদের কথা বলতে আমি আঁতকে উঠছি, সাহস পাচ্ছি না, আর তারা বোধ হয় মন্ডলী বা জামাতের (ইমানদার) সদস্যরা, পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবরা। যিহুদা তার পুস্তকে সেই প্রকার লোকদের সম্পর্কে কিছু কথা লিখেছেন, বলেছেন "...এরা গোপনে মন্ডলী/জামাতের
(ঈমানদারদের) মধ্যে ঢুকে পড়েছে, এরা (আল্লাহভক্তিহীন) ঈশ্বরভক্তিহীন, এরা ঈশ্বরের (খোদাতালা’র) অনুগ্রহকে অনৈতিকতার ছাড়পত্রে পরিণত করে…তারা তোমাদের প্রীতিভোজে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী- যারা নির্ভয়ে কেবল নিজেদের উদরপূর্তি করে… এরা বচসাকারী, নিজের নিজের ভাগ্যকে দোষ দেয় ও খারাপ কামনা-বাসনার অনুগামী; আর তাদের মুখ মহাগর্বের কথা বলে এবং তারা লাভের জন্য মানুষদের পক্ষপাত করে” (যিহুদা ১ অধ্যায়ের ভগ্নাংশ)। সেই বচসাকারীর দলে কি আমিও আছি? আপনি কি সেই দোষারোপকারীদের মধ্যে একজন? আমাদের অবশ্যই অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে এবং আত্মার বশে জানতে হবে যে আমরা খ্রীষ্টের সঙ্গে জোটবদ্ধ, সমজোঁয়ালীতে আবদ্ধ।
আমি একটি সহজ কিন্তু নিগূঢ়তম নীতিমালা আবিষ্কার করেছি, আর তা হলো… যে কোন বিশ্বাস, কর্মকান্ড, মনোভাব, আচরণ এবং কথা যা (আল্লাহর) ঈশ্বরের বাক্যে’র (কালাম) সাথে পুরোপুরি সামন্জস্যপূর্ণ না, যদিও আপাতদৃষ্টিতে সম্পূর্ণ সত্য বলেই মনে হয়, তথাপি তা কিন্তু আসলে প্রতারণার উদ্দেশ্যে অবলম্বিত কৌশল, আর তা সত্যের ছদ্মবেশে মিথ্যা। যাহউক, যদি কিনা আমি বাক্য মাংসে মূর্তিমান হলেন উপলব্ধিটি একান্ত ঘনিষ্ঠভাবে নাই জানি, তাহলে সত্যের আত্মা কীভাবে আমাকে সমস্ত প্রজ্ঞা, জ্ঞান এবং স্বচ্ছ চিন্তাশক্তিতে পরিচালিত করতে পারে? এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই আমার ঐ উপলব্ধিটি হয়েছে। পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করলেও, স্বর্গে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা “সবকিছু” পেতে পারি না, কিন্তু আমরা যখন পবিত্র আত্মার সঙ্গে নিবিড় ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করি তখন তিনি নিরন্তর আমাদের মধ্যে বিরাজ করেনি এবং পর্যায়ক্রমে সত্যে’র রহস্য আমাদের কাছে প্রকাশ করেন। আমাদের প্রভু যীশু (ঈসা) যোহন (ইউহোন্না) ৪:২৪ পদে (আয়াতে) বলেছেন, (আল্লাহর রূহ) “ঈশ্বর আত্মা; আর যাহারা তাঁহার ভজনা করে, তাহাদিগকে আত্মায় ও সত্যে ভজনা করিতে হইবে”। ১ করিন্থীয় ২:৯-১০ পদে (আয়াতে) লেখা আছে,
“চক্ষু যাহা দেখে নাই, কর্ণ যাহা শুনে নাই,
এবং মনুষ্যের হৃদয়াকাশে যাহা উঠে নাই,
যাহা (আল্লাহর) ঈশ্বর, যাহারা তাঁহাকে প্রেম করে,
তাহাদের জন্য প্রস্তুত করিয়াছে “।
“কারণ আমাদের কাছে ঈশ্বর (আল্লাহ) তাঁহার আত্মা দ্বারা তাহা প্রকাশ করিয়াছেন, কেননা আত্মা সকলই অনুসন্ধান করেন, (আল্লাহর) ঈশ্বরের গভীর বিষয় সকলও অনুসন্ধান করেন”।
(আল্লাহর প্রতি ঈমান ও বিশ্বাসে) খীষ্টেতে আমার প্রিয় ভাই/বোন, (অল্লাহ) ঈশ্বর তাঁর আত্মার মাধ্যমেই কিন্তু সেইসত্য ’কে প্রকাশ করে থাকেন।
প্রভু যীশু (ঈসা) তাঁর শিষ্যদের এবং সমস্ত বিশ্বাসীদের জন্য যে প্রার্থনাটি করেছেন, সেখানে তিনি পবিত্রতার অভিজ্ঞতার পূর্বশর্ত হিসেবে সত্য’কে জানার বিষয়টি এবং বাক্যের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। যোহন (ইউহোন্না) ১৭:১৭ পদে (আয়াতে) পিতার কাছে প্রার্থনায় তিনি বলেন, “তাহাদিগকে সত্যে পবিত্র কর; তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ।” আমার চিন্তায় আপনি যেন বিভ্রান্ত না হন, সেই কারণে বিষয়টি তুলে ধরছি আমার এই আলোচনায় যে, ফরীশীরা (আল্লাহর) ঈশ্বরের বাক্যের আদ্যপ্রান্ত শিখলেও তারা সত্য’কে অন্তরঙ্গভাবে উপলব্ধি করতে তাদের অন্তর্নিহীত চোখ খুলে দেয়নি। তাদের অন্তরের অন্দরমহলে সত্যে‘র আত্মার অপূর্ণতা ছিল। যোহন (ইউহোন্না) ১৬:১৩ পদে (আয়াতে) যীশু (ঈসা) বলেন, “পরন্তু তিনি, সত্যের আত্মা, যখন আসিবেন, তখন পথ দেখাইয়া তোমাদিগকে সমস্ত সত্যে লইয়া যাইবেন; কারণ তিনি আপনা হইতে কিছু বলিবেন না, কিন্তু যাহা যাহা শুনেন, তাহাই বলিবেন, এবং আগামী ঘটনাও তোমাদিগকে জানাইবেন।”
যোহন (ইউহোন্না) লিখিত সুসমাচারের প্রথমদিকে ৮:৩১-৩২ পদে (আয়াতে ঈসা) যীশু তাঁর ইহুদি অনুসারিদের বলেছিলেন, ….যদি তোমরা আমার বাক্যে জীবনযাপন কর, তাহলেই তোমরা হবে আমার প্রকৃত শিষ্য। তখনই তোমরা সত্যের স্বরূপ জ্ঞাত হবে এবং সেই সত্যই তোমাদের স্বাধীন করবে”। যোহন (ইউহোন্না) ১৮:৩৭-৩৮ পদে (আয়াতে) লেখা আছে, “পীলাত তখন বললেন, “তাহলে তুমিও একজন রাজা”। যীশু (ঈসা) বললেন, “আপনিই বলছেন আমি রাজা। সত্যের পক্ষে সাক্ষ্যদান করতেই আমি জন্মেছি এবং এই উদ্দেশ্যেই জগতে আমার আগমন। সত্যাশ্রয়ী যারা, তারা আমার কথা শুনবে।” বাক্য’কে চূড়ান্ত সত্য হিসেবে গ্রহণ করা উচিত এই উপলব্ধিটি আমি ঈশ্বরের (আল্লাহর) বাক্য নিজের জীবনে প্রয়োগের মধ্য দিয়ে শিখেছি। (আল্লাহর) ঈশ্বরের বাক্য জানলে পৃথিবী নামক যে গ্রহে আমরা বাস করছি সেই পৃথিবী সম্পর্কে বিশদ ধারণা লাভ করা যায়, এবং এই পৃথিবী কীভাবে বর্তমানে আলোর ছদ্মবেশধারী দূত, বা মূল প্রতারকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সে সম্পর্কে আরও সম্যক জ্ঞান পাওয়া যায়। যেখানেই আমরা প্রতারণা দেখব, চলুন আমরা এর মুখোমুখি হবো এই ব্রত নেই। আমাদের অবশ্যই বিশ্লেষণ করতে হবে আমরা যা বিশ্বাস করি তা আসলেই সত্য কিনা। আমরা হয়তোবা এমন একটি বিশ্বাসকে অবলম্বন করে আছি যা প্রতারণার ছলনায় পরিপূর্ণ, এবং তা আমাদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে চলেছে ।
আমরা অনেকেই হলিউডের সিনেমা দেখে প্রকৃত যোদ্ধার স্বরূপ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা করি, এবং মিথ্যা প্রতিচ্ছবি আমাদের মনের পর্দায় আঁকি। র্যাম্বো’র কথাই ধরুন, আমার সবচেয়ে প্রিয় কিশোর বয়সের একটি মুভি। একাই একশো শক্তির যোদ্ধা র্যাম্বো প্রতিপক্ষের সমস্ত অসম্ভব প্রতিকূলতাকে পরাজিত করে একাই জয় ছিনিয়ে নিয়ে আসে। স্বপ্নে দেখা সেই বিখ্যাত অভিনেতার কথাই মনে করুণ – জগতের মানদণ্ডে সে একজন বীরযোদ্ধা। কিন্তু, স্বপ্নে আমি যোদ্ধাদের একেবারে পিছনে ছিলাম, সামনে ছিলাম না, ভেবেছিলাম সমরযোদ্ধা হিসেবে তো সামনেই থাকা উচিৎ ছিল। আমার ভীষণ অনুশোচনা হয়েছে, কারণ আমি সম্মুখ বিপদ সম্পর্কে অন্যদের সতর্ক করিনি তাই। কিন্তু আমি এখন সবাইকে সতর্ক করছি। আমি যখন বেশ কয়েকজন আধ্যাত্মিক বিশ্লেষকদের সাথে স্বপ্নের এই বিশেষ জায়গাটি নিয়ে আলোচনা করি তখন তারা সবাই একইরকম বিকল্প ব্যাখ্যা দেন, এবং আপাতত তারা সকলেই নিশ্চিত করেছেন যে, সৈন্যদলের পিছনে অবস্থান সম্পর্কীত আমার ব্যক্তিগত ব্যাখ্যাটি ঠিক না। ঐ বিশ্লেষকদের কেউ কাউকে না চিনলেও তারা কিন্তু সকলেই স্বপ্নের আমার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ভিন্ন মত দিয়েছেন, eলতে চেয়েছেন যে (আল্লাহ) ঈশ্বর এর মধ্য দিয়ে অন্য কিছু বলতে চান! তারা বলছেন যে আমার অবস্থান নাকি সঠিক জায়গাতেই ছিল! বাইবেল (কিতাবুল মোকাদ্দস) কিন্তু সত্যিকারের আত্মীক যোদ্ধাদের স্বরূপ সম্পর্কে ভিন্নতর চিত্র তুলে ধরে, জগতের ধ্যান ধারণার একেবারে উল্টো পিঠ। লুক লিখিত সুসমাচারের ১৩:৩০ পদে (আয়াতে (ঈসা) যীশু বলেছেন, “বস্তুত, যারা শেষে থাকবে তারা প্রথমে যাবে, যারা প্রথমে থাকবে তারা শেষে যাবে”। একইভাবে লূক ১৪:১১ পদে ( আয়াতে — ঈসা) যীশু জোর দিয়ে বলেছেন, “যারা নিজেদের উচ্চ সম্মানে ভূষিত করে, তাদের অবনত করা হবে, এবং যারা নিজেদের নত করে রাখে, তাদের উচ্চ সম্মানে ভূষিত করা হবে ।” ঈশ্বর (আল্লাহ) অহংকারীকে প্রতিহত করেন, কিন্তু নম্রদের অনুগ্রহ দান করেন। হিতোপদেশ (মেসাল) ১৮:১২ পদে (আয়াতে) লেখা আছে, “ধ্বংসের আগে মানুষের চিত্ত হয় গর্বিত, কিন্তু নম্রতার পুরস্কার হয় সম্মান ।”
আমার প্রিয় ভাই/বোনেরা, আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই অন্ধকারময় বিষাদে ভরা পৃথিবীতে নম্রতা এবং সাহসিকতার বিকল্প আর কোন গুণগত মানসিক শক্তি নাই, এবং এই নম্রতা এবং সাহসিকতা অতিব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যুদ্ধক্ষেত্রের যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমাদেরকে ধৈর্য ধরে সহ্য করবার এবং প্রচন্ড শক্তিতে দৃঢ় থাকবার ক্ষমতা দেয়। ১ করিন্হীয় ১৬:১৩ পদে (আয়াতে) প্রেরিত পৌল বলেছেন যে,“তোমরা সজাগ থাক, বিশ্বাসে অটল থাক, সাহসী ও শক্তিমান হও।” পৌল তখন প্রভু যীশু’র (ঈসার) একটি কথা পুনরায় ব্যক্ত করে বলেন যে, “আমার অনুগ্রহই তোমার পক্ষে যথেষ্ট, যেখানে দুর্বলতা সেখানেই আমার শক্তি পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়।” প্রেরিত পৌল আরও বলেন যে, “সেইজন্য আমি আমার দুর্বলতা সম্পর্কে সানন্দে গর্ব করব যেন খ্রীষ্টের শক্তি আমার মধ্যে সঞ্চারিত হয়। সুতরাং খ্রীষ্টের জন্য সর্বপ্রকার দুর্বলতা, অপমান, অনটন, নির্যাতন ও বিপদ-আপদ আমি হৃষ্টচিত্তে বরণ করি, কারণ যখন আমি দুর্বল, তখনই শক্তিমান” (২ ((করিন্থীয়) করিন্হীয় ১২:৯-১০)। এই হলো একজন সদা প্রস্তুত এবং অভিজ্ঞ ঈশ্বরের (আল্লাহর) যোদ্ধার প্রকৃত মনোভঙ্গিমা।
খ্রীষ্টে বিশ্বাসী হিসাবে, আমরা সকলেই একই ভাবাপন্ন যোদ্ধা হতে পারি যদি আমরা খ্রীষ্টে থাকি এবং তাঁর সত্য আমাদের মধ্যে থাকে। তিনি আমাদের কাছে প্রত্যাশা করেন যেন আমরা মিথ্যা এবং সত্য’কে পৃথক করবার বিচারবুদ্ধি লাভ করি, প্রতিপক্ষের কুচক্রান্ত ও দূরভিসন্ধিবুঝবার শক্তি লাভ করি এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ তা অনুধাবন করবার ক্ষমতা লাভ করি। মিথ্যার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে এবং মুখ খুলে কথা বলতে হবে, আর বিশাসী ভাই/বোনদেরকে এই যুদ্ধ মোকাবেলা করতে আহ্বান করতে হবে এবং মিথ্যাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাতে প্রেরণা জোগাতে হবে, আর তারা যেন মন্দ আত্মায় চালিত এজেন্ডা নিয়ে কাজ করবার সময় মানুষ্য জ্ঞানের পিছনে না দৌড়ায় তৎপ্রযুক্ত সচেতন করতে হবে।
লূক (ইউহোন্না) লিখিত সুসমাচারের ২১: ৩২-৩৬ পদে (আয়াতে) প্রভু (ঈসা) যীশু আমাদেরকে সতর্ক করে যে উপদেশ দিয়েছেন চলুন আমরা মনোযোগ সহকারে দেখি তিনি কি বলছেন, “তোমাদের আমি সত্য সত্যই বলছি, এই যুগ শেষ হওয়ার আগে এই সমস্ত ঘটনা ঘটবে। স্বর্গ ও মর্ত্য লোপ পেতে পারে কিন্তু আমার বাক্য লোপ পাবে না। তোমরা সতর্ক থেকো, যেন ভোগ-লালসা, মত্ততা ও সাংসারিক চিন্তা-ভাবনা তোমাদের মনকে অধিকার করে না বসে, কারণ সেই দিনটি ফাঁদের মত তোমাদের এবং পৃথিবীর সমস্ত অধিবাসীর উপরে হঠাৎ এসে পড়বে। তাই সব সময়ে সতর্ক থেকো এবং প্রার্থনা করো যেন যা কিছু ঘটবে সেই সবের হাত থেকে উদ্ধার পেতে পার এবং মানুষ্যপুত্রের সামনে দাঁড়াবার শক্তিলাভ কর।”
প্রার্থনায় নিজেকে এমনভাবে মনোনিবেশ করুণ যেন আগে কখনও আপনি এতো শক্তিশালী প্রার্থনা করেননি। এমনভাবে বাক্য ধ্যান করুণ যেন এর আগে কখনও বাক্য এভাবে পড়েননি। ঈশ্বরের (আল্লাহর) উপস্থিতিতে এমনভাবে সময় কাটান যেন এর আগে কখনও তেমনিভাবে সময় কাটাননি। সত্যের আত্মায় ঈশ্বর (আল্লাহ) যেন আপনাকে আশীর্বাদ করতে পারেন সেই প্রত্যাশা নিয়ে সবকিছু করুণ, যেন আপনি ঈশ্বরের (আল্লাহর) একজন যোগ্য এবং প্রকৃত যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন যে যোদ্ধা ঈশ্বরের (আল্লাহর) সমস্ত যুদ্ধসজ্জা পরিহিত হয়ে প্রতিপক্ষ দিয়াবলকে (শয়তানকে) আক্রমন করতে পারে এবং মন্দ আত্মার যেকোন দিক থেকেই আক্রমন আসুক না কেন প্রবল পরাক্রমে প্রতিহত করতে পারে।
পরিশেষে চলুন আমরা যিহূদা (এহুদা) পুস্তকের ১: ২২-২৫ (আয়াতগুলি) পদগুলি দেখি:
“যারা সন্দেহপ্রবণ, তাদের প্রতি করুণা করো; অপর ব্যক্তিদের বিচারের আগুন থেকে টেনে এনে রক্ষা করো; আরও অন্যদের সভয়ে করুণা প্রদর্শন করো, কিন্তু সাবধানতাপূর্বক কোরো, যা তাদের পোশাককে কলুষিত করে, সেইসব পাপকে ঘৃণা কোরো। যিনি তোমাদের পতন থেকে রক্ষা করতে সমর্থ ও যিনি নিষ্কলঙ্করূপে মহা আনন্দের সঙ্গে তাঁর মহিমাময় উপস্থিতিতে উপস্থাপিত করবেন, সেই একমাত্র (আল্লাহ) ঈশ্বর, আমাদের পরিত্রাতা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের (ঈসা মসীহের) মাধ্যমে মহিমা, রাজকীয় প্রতাপ, পরাক্রম ও কর্তৃত্ব, সকল যুগের পূর্ব থেকে বর্তমানে ও যুগপর্যায়ের সমস্ত যুগেই হোক! আমেন।”
একজন বিদেশী লেখকের লিখার হুবহু প্রকাশ করা হলো; পাশাপাশি বাংলায় অনুবাদকৃত অংশও দেয়া হলো।
MY PEOPLE ARE DESTROYED
FOR A LACK OF KNOWLEDGE——–Hosea 4:6
I was walking alongside a famous actor and commending him for the way he had performed his role
as a soldier. He was in full military uniform with weapon in hand, the picture of the prototype soldier,
experienced and seasoned. Moments later the actor was no longer at my side and I found myself taking
up the rear position of a company of real-life soldiers, in military uniform myself, locked and loaded! I
gazed forward beyond the lead soldiers toward a dark reflective glass wall. Propelled forward in time, I
could see that an ambush was about to take place in mere seconds. I saw the enemy and their military
vehicles crashing through the glass wall with guns blazing at our group of soldiers. They were heading
straight toward us! The enemy had been concealed so well behind the wall, that our company of soldiers
were oblivious to the danger that lay directly ahead. Uncharacteristically for an experienced and seasoned
soldier, I did not warn of the impending ambush but instead decided to protect myself and wait for the
dust to settle. I awoke from my dream when I stood up to fire my weapon.
The dream awakened me to the fact that I must not be silent,
but to speak a warning of the ambush just around the corner and
yet, a battle that is already upon us. Battles can start out small
but then rise up into something terrifying and catastrophic. It is
time to speak this warning. I have prayed for interpretation of
this dream and also shared it with trusted Godly people who have
helped me immensely with interpretation and content. I believe
it to be a word of the Lord for the Church today. As I begin, I am
also reminded by Peter’s words in 1 Peter 4:11 that, “If anyone
speaks, he should do it as one speaking the very words of God.”
This verse holds me accountable for the things I am about to write.
My warning shout today is directed toward us, each one of us in the body of Christ. We are being
destroyed for a lack of knowledge! It is written in Proverbs 25:2, “It is the glory of God to conceal a
matter; to search out a matter is the glory of kings.” There is knowledge that God has concealed that
requires that we, with an open mind, search for and discover. The enemy has blinded many in the Church
by creating a smokescreen (or reflective glass wall) that conceals a Trojan horse in every facet of human
activity. Media, Politics, Education, Health, Hollywood and yes, even the Church universal, have not been
spared this full-frontal attack. I believe the reflective glass wall signifies the fact that we’re deceived into
thinking we’re fighting an enemy that looks like us when in fact, it’s much more insidious. The battle for
our hearts and minds is upon us but we’re oblivious to the spiritual nature of the attack. As in my dream,
we are walking into a trap. Not knowing this gives the enemy the advantage. If we remain on the same
trajectory, we will be picked off by the enemy, one by one.
The apostle Paul tells us in Ephesians 6:12 that, “Our struggle is
not against flesh and blood, but against the rulers, against the
authorities, against the powers of this dark world and against
the spiritual forces of evil in the heavenly realms.” There is an
enemy so numerous, so vast and powerful who has swept over
the earth. The enemy is deception, and this twisted ‘truth’ has so
efficiently deceived us, that we allow ourselves to be defeated by
lies, lies that are so pervasive they divide the Church and make us
essentially irrelevant in the context we’re living in today. Sadly, we
have put on glasses with lenses called conformity that we confuse
with love. Conformity to the world has caused the Church to grow
“If anyone
speaks, he
should do it as
one speaking
the very words
of God.”
MY PEOPLE ARE DESTROYED
FOR A LACK OF KNOWLEDGE
Hosea 4:6
“Our struggle
is not against
flesh and
blood…”
cold. Many are asleep. Jesus said in the end times
that children and parents will be against each other
and the love of many will grow cold. We are seeing
this come true everywhere because we have reacted
to the enemies’ lies by employing man’s wisdom
and not the wisdom of God. Jesus prayed, “That all
of them may be one, Father, just as you are in me
and I am in you. May they also be in us so that the
world may believe that you have sent me.…all will
know you are My disciples if you have love for one
another.” John 17:21
BUT WHERE IS TRUTH?
Solomon in all his wisdom says in Proverbs 23:23, “Buy the truth and do not sell it; get wisdom,
discipline and understanding.” Let us seek truth while it may be found and understand that we live
in precarious times.
When I was young, I believed the words of Jesus when he said,
“I am the Way and the Truth and the Life. No one comes to the
Father except through me.” When I gave my life to Christ, I was
no longer a slave to sin. However, in my lack of abiding daily in
Christ and trusting in him fully, I allowed deception to take root in
my life. Oh, it was very easy for deception to take root, because
deception looks so very much like the truth, and does so because
it carries aspects of truth that disguise the lies, which in turn
entice the flesh. Any aspect of truth that is twisted even a little bit
becomes a lie. For that very reason, we are told to test the spirits
to see if they are from God. The reflective glass wall highlights the
deception; Many of those deceived are currently our sources for
knowledge and truth, such as our educational institutions, media outlets, social media, the government,
health organizations and ‘experts’, to name a few. Another source that I dare to mention, can be church
members and our family and friends. Jude speaks to this when he writes about certain people… “…who
have secretly slipped in among the church, godless men, who change the grace of God into a license
for immorality…They are blemishes at our love feasts, eating with you without the slightest qualm –
shepherds who feed only themselves…They are grumblers and fault finders; they follow their own evil
desires; they boast about themselves and flatter others for their own advantage.” Could that grumbler be
me? Could that fault-finder be you? We must become introspective and know by the Spirit that we are
aligned with Christ, equally yoked.
I have discovered a simple yet profound principal…that any belief, action, attitude, behavior, and word
that does not measure up fully to God’s Word, which is altogether true, is deception. It is a lie. Based on
this premise, however, is the realization that unless I know the Word-Who-Became-Flesh intimately, how
can the Spirit of Truth, guide me in all wisdom, knowledge and understanding? Even fully surrendered,
we won’t have “all” until we go to heaven but we have the ever-present help of the Holy Spirit to reveal
truth moment by moment as we live a lifestyle of intimacy. Jesus says in John 4:24 that God is Spirit, and
his worshipers must worship in the Spirit and in truth. It is written in 1 Corinthians 2:9-10 that, “No eye
has seen, no ear has heard, no heart has imagined, what God has prepared for those who love Him.” But
God has revealed it to us by the Spirit. The Spirit searches all things, even the deep things of God.” God
reveals truth by and through His Spirit.
“Father, just as you are
in me and I am in you.
May they also be in us
so that the world may
believe that you have
sent me.”
“… test the
spirits to see if
they are from
God.”
Jesus’ prayer for his disciples and all believers describes truth as a prerequisite for sanctification and
highlights the importance of the Word, when he prays to the Father in John 17:17, “Sanctify them by
the truth; your word is truth.” Lest I confuse you, the Pharisees knew the Word of God backwards and
forwards but that alone didn’t open their eyes to the truth. They lacked the Spirit of truth. In John 16:13
Jesus says, “But when he, the Spirit of truth, comes, he will guide you into all the truth. He will not speak
on his own; he will speak only what he hears, and he will tell you what is yet to come.”
Earlier in the book of John, chapter 8 verse 31-32 Jesus tells the
Jews who believed in him, “If you abide in my word, you are truly
my disciples, and you will know the truth, and the truth will set
you free.” In John 18:37-38 it is written, “You are a king, then!”
said Pilate. Jesus answered, “You say that I am a king. In fact,
the reason I was born and came into the world is to testify to the
truth. Everyone on the side of truth listens to me.” I have learned
through the application of God’s Word that the Word should be
taken as absolute truth. Knowing His Word brings us into a more
comprehensive understanding of where we live, this place called
Earth, and how it is currently under the control of a masquerading
angel of light, the great deceiver. Where we see deception, let us
confront it. We must assess whether what we believe is actually
true. We may be holding to a belief that is replete with deception
that can lead us to destruction.
Many of us have been deceived by Hollywood’s image of the true
warrior. Take Rambo, one of my favorite late-teen movies. This
one-man army overcame overwhelming odds to defeat the enemy.
The famous actor in my dream reminded me of him – a hero by
the world’s standards. In my dream, however, I was at the back
of the column and not at the front where I thought I should be. I
also felt remorse because I didn’t alert others to the danger. I am
alerting everyone now. When I shared this dream with several
spiritual advisors, they all gave a similar alternative interpretation,
seemingly confirming that I had interpreted my rear position in
the company incorrectly. All of them, without knowing how others
had interpreted the dream shared that God was saying something
else through it! I was in the right place! The Bible describes a true
warrior much differently than the world. Jesus says in Luke 13:30,
“Indeed there are those who are last who will be first, and first who
will be last.” Similarly in Luke 14:11, Jesus exclaims, “For all those
who exalt themselves will be humbled, and those who humble
themselves will be exalted.” God resists the proud but gives grace
to the humble. Proverbs 18:13 says, “Before his downfall a man’s
heart is proud, but humility comes before honor.”
Brothers and Sisters, it is my firm belief that humility and courage are vital attributes during these dark
days. Even as important as humility and courage are to our posture in battle, is knowing our
capacity to withstand and be strong in the face of adversity. Paul says in 1 Corinthians 16:13, “Be on
your guard; stand firm in the faith; be courageous; be strong.” Paul then quotes Jesus, saying, “My
grace is sufficient for you, for my power is made perfect in weakness.” Paul goes on to say, “Therefore,
I will boast all the
“… the reason
I was born and
came into the
world is to
testify to the
truth.”
“Before his
downfall a
man’s heart
is proud, but
humility comes
before honor.”
more gladly about my weaknesses, so that Christ’s power may
rest on me. That is why, for Christ’s sake, I delight in weaknesses,
in insults, in hardships, in persecutions, in difficulties. For when I
am weak, then I am strong.” (2 Cor 12:9-10) This is the posture of
a seasoned, experienced warrior of God.
As believers in Christ, we are protype soldiers – if we abide in
him and his truth is in us. We are expected to discern a truth
from a lie, to understand the enemies’ schemes and battle
against them. We are to speak against the lies and challenge
our brothers and sisters not to condone lies, nor run after
human wisdom when dealing with evil spirit-driven agendas.
Let us heed Jesus’ warning in Luke 21:34-36 when he says, “I tell you the truth, this generation will
certainly not pass away until all these things have happened. Heaven and earth will pass away, but my
words will never pass away. Be careful or your hearts will be weighed down with dissipation, drunkenness
and the anxieties of life, and the day will close on you unexpectedly, like a trap. For it will come upon all
those who live on the face of the whole earth. Be always on the watch, and pray that you may be able to
escape all that is about to happen, and that you may be able to stand before the Son of Man.”
Pray like you have never prayed before. Read the Word like you have never read before. Spend time in the
presence of God like you have never done before. Expect God to bless you with the Spirit of Truth so that
you will be equipped as a true warrior of God, having the full armor of God to withstand the attack of the
enemy and to resist him at every turn.
Lastly, in Jude 1:22-25:
“Be merciful to those who doubt; snatch others from the
fire and save them; to others show mercy, mixed with
fear – hating even the clothing stained by corrupted
flesh. To him who is able to keep you from falling and to
present you before his glorious presence without fault
and with great joy – to the only God our Savior be glory,
majesty, power and authority, through Jesus Christ our
Lord, before all ages, now and forevermore. Amen.”
Anonymous
“For when I
am weak, then
I am strong.”