প্রশান্তি ডেক্স ॥ একটি থার্মোমিটার, পালস অক্সিমিটার ও ব্লাড প্রেশার পরিমাপের মেশিন এবং কিছু ওষুধ থাকলেই বাড়িতে করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গণস্বাস্থ্য ভ্রাম্যমাণ করোনা চিকিৎসা সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাড়িতে বসে করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হলে একটি থার্মোমিটার, একটি পালস অক্সিমিটার ও ব্লাড প্রেশার পরিমাপের মেশিন থাকলেই যথেষ্ট। ব্লাড প্রেসার মাপতে হলে শুধু তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে। দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণ ক্ষমতা ও ইংরেজি সংখ্যা পড়ার সক্ষমতা। এটা কঠিন কিছু নয়। মূল কাজটা হলো একটা লোককে ট্রেনিং দেওয়া। প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো আমরা বিনা পয়সায় সরবরাহ করবো। কেবল পরীক্ষার খরচটা তাকে দিতে হবে।
তিনি বলেন, করোনার ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবার উদ্যোগটি সবাইকে দেখানোর জন্য যে, কত সহজে অল্প খরচে বাসায় বসেই করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া যায়। সম্মিলিতভাবে এই উদ্যোগ না নিলে এটি সফল করা সম্ভব নয়। সরকারকেও সহযোগিতা করতে হবে। শুনেছি দিল্লিতেও করোনা রোগীদের জরুরি সেবা দিতে একই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনলাইন মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ করোনা চিকিৎসা সেবার উদ্বোধন করেন।