কসবার সৈয়দাবাদে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ॥ দুই জন আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আধিপত্য নিয়ে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষে দুই জন আহত হয়েছে। গত সোমবার রাতে তারাবীহ’র নামাজের সময় উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত দু’জন ওই গ্রামের বাদল ভূইয়ার ছেলে হৃদয় ভ’ইয়া (২০), রফিকুল ইসলামের ছেলে সবুর খান। প্রচুর রক্তক্ষরণে আহতদের মধ্যে হৃদয় ভূইয়ার অবস্থা আশংকাজনক হওয়া তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দবাদ গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় দীর্ঘদিন যাবত একই মহল্লার দুই যুবক আশিকুল ইসলাম ও ইসমাইল খানের নেতৃত্বে মহল্লার উঠতি বয়সের কিশোরদের সমন্বয়ে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়ে আছে। এই দুই গ্রুপের মাঝে আধিপত্য টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ছোট খাট মারামারি হয়ে আসছে। দ্ইু গ্রুপই মহল্লার কিশোরদের ফুসলিয়ে বাগে আনার তৎপরতায় ব্যস্ত। আশিকুল ইসলাম ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ও ইসমাইল খান ছাত্রদল নেত। ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে এক পক্ষ অপর পক্ষকে উস্কানীমুলক স্ট্যাটাস দিচ্ছে। বিগত ছয় মাসের মধ্যে দুই কিশোর গ্যাং এর মাঝে কয়েকবার রক্তক্ষয়ী মারামারি হয়েছে এবং থানায় মামলাও হয়েছে। গ্রামের সাহেব সর্দারগন সমাধান করে দিলেও পুনরায় সংঘর্ষে জড়ায় তারা।
সর্বশেষ গত রবিবার রাতে ইসমাইল খানের চাচাতো ভাইকে মারধোর করে আশিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার রাতে তারাবীহ’র নামাজের সময় আবারো ইসমাইল গ্যাংয়ের ছেলেদের উপর দা,চাপাতি দিয়ে হামলা করে। তাদের চাপাতির কোপে হৃদয় ভ’ইয়া নামক এক কিশোরের একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুমিল্লা সরকারী হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেও তাকে রাখা হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। প্রচুর রক্তক্ষরনে তার অবস্থাও আশংকাজনক। এ ঘটনায় গ্রামের মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। গ্রামের সচেতন লোকজন বলছে শহর ছেড়ে এখন গ্রামেও তৈরি হচ্ছে কিশোর গ্যাং। অল্প বয়সী ছেলেদের হাতে মরনান্ত্র তুলে দিয়ে তাদের হিং¯্রতা শেখাচ্ছে। নেপথ্যে থেকে এদেরকে যারা অল্প বয়সে নৃশংসতা শেখাচ্ছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা দাবী জানান সচেতন মহল। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মো.আলমগীর ভ’ইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন; গত সোমবার রাতে উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামে দুটি গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ হয়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়েছি। এখনো কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানূগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.