ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মবাড়িয়ার কসবায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মার্কেটের মালিক এবং এক ব্যবসায়ী থানায় পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ মার্কেটের মালিক অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করলেও ফার্নিচার ব্যবসায়ী জনৈক জুয়েল দুজনের নাম উল্লেখ করে কসবা থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীরা বলছেন পরিকল্পিতভাবে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী মার্কেটের মালিক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, অজ্ঞাত শত্রুরা পরিকল্পিতভাবে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। ফার্নিচারের শোরুমে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয়ার পর দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো মার্কেটে এবং অল্প সময়ের মধ্যে ভয়াভহ রুপ নেয় আগুনের লেলিহান শিখা।
সিমরান শোরুমের মালিক মো.জুয়েল মিয়া বলেন, অভিযুক্ত শ্যামল বর্মন এবং সাদ্দাম দুজনই মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। তার শোরুমের আশপাশে যেন মাদক ব্যবসা ও টাকা পয়সা লেনদেনের না করে এ বিষয়ে নিষেধ করলে জুয়েলের সাথে শ্যামল এবং সাদ্দামের সাথে কদিন পূর্বে ঝগড়া হয়েছিলো। তিনি বলেন, মার্কেটের মালিকের ছেলে মেহেদি হাসান অগ্নিকান্ডের রাতে প্র¯্রাব করতে বাহিরে বের হয়ে দেখতে পায় শ্যামল এবং সাদ্দাম চলে যাচ্ছে। চলে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফার্নিচার শোরুমের পেছনের কোণ থেকে আগুন জ্বলছে। তখন মেহেদীর চিৎকারে লোকজন ছুটে আসে। মেহেদীর সংগে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত শ্যামল দাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন; ষড়যন্ত্রমুলকভাবে কেউ অভিযোগ দিলে আমার কিবা করার আছে। তিনি হতবাক হয়ে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন; তার পুকুর থেকেই ফায়ার ব্রিগ্রেড দুটি পাইপ লাগিয়ে পানি সরবরাহ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
প্রকাশ; গত ১৬ মে গভীর রাতে কসবা উপজেলার নয়নপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আনুমানিক রাত ২ টায় ফার্নিচারের দোকান থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটেছে । খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডের কসবা ইউনিটের একটি দল প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার আগেই ১টি ডিজেল ও মবিল তেলের দোকানের দাহ্য পদার্থের মাধ্যমে আগুন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। গ্যাসের প্রায় শতাধিক সিলিন্ডার ব্রাষ্ট হয়ে আগুনের লেলিহান শিখা ও বিকট শব্দে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন, নয়নপুর বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মার্কেটের মালিক এবং ফার্নিচার ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।