স্পোর্স্ট ডেক্স ॥ অবসরের পর ধারাভাষ্যকার বা ক্রিকেট কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা। তবে এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন যারা অবসরোত্তর সময়ে বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা। যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি স্যার কার্টলে এমব্রজ ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পর গিটারিস্ট হয়ে যান। শচীনের বাল্য বন্ধু সলিল আনকোলা নাম লিখিয়েছেন অভিনয় জগতে।
এই তালিকাতেই নতুন সংযোজন অস্ট্রেলিয়ার তারকা স্পিনার জেভিয়ের ডোহার্তি। ২০১৫ সালে মেলবোর্নের স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী স্কোয়াডের তারকা এখন কাঠ মিস্ত্রি। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে ডোহার্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, “কাঠ মিস্ত্রির শিক্ষানবিশির কাজে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছি। বিভিন্ন বিল্ডিং সাইটসে ঘুরে পরিকল্পনা করতে হয় আমাকে। পুরো বিষয়টি আমি উপভোগ করছি। ঘরের বাইরে বেরিয়ে নিজের হাতে কাজ করছি, নতুন নতুন জিনিস শেখার অভিজ্ঞতা হচ্ছে।”
এরপর তিনি আরও বলেন, “পুরো বিষয়টাই ক্রিকেট থেকে আলাদা। ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পর কী করব, তা নিয়ে সেরকম পরিকল্পনাই করা ছিল না। অবসরের পর প্রথম এক বছর হাতের সামনে যা পেয়েছি করেছি। এর মধ্যে ল্যান্ডস্কেপিং, অফিস ওয়ার্ক, ক্রিকেট সংক্রান্ত কাজ করেছি। তারপরেই কাঠের কাজ শিখতে উদ্যোগী হয়েছি।”
২৮ বছরের জন্মদিনে পা রাখার ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে জেভিয়ের ডোহার্তির। আর জন্মদিনের ঠিক তিন দিন পর ব্যাগী গ্রিন পরে টেস্টের দুনিয়াতেও আত্মপ্রকাশ করেন। সেটা ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্রিসবেন টেস্ট ছিল। সেই সিরিজ যদিও ইংল্যান্ড ৩-১ ব্যবধানে জেতে।
২০১১ সালে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাননি। তবে ২০১২ সালে জাতীয় দলের হয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেন। তিন বছর পরে ২০১৫ সালে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে খেলেন হলুদ জার্সিতে। একমাত্র শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই ম্যাচে কোনও উইকেট দখল করতে পারেননি। জাতীয় দলের হয়ে ৪ টেস্টে প্রতিনিধিত্ব করে ডোহার্তি ৭ উইকেট নিয়েছেন। ওডিআই এবং টি২০-তে তার উইকেটসংখ্যা যথাক্রমে ৫৫ এবং ৬০টি। ২০১৬/১৭ ঘরোয়া মৌসুমের শেষে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন তিনি। গত বছর রোড সেফটি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ান লিজেন্ডস দলের হয়ে ভারতে এসেছিলেন ডোহার্তি।