উন্নয়ন ও অগ্রগতি আমাদের নিত্যনৈমত্তিক কর্মকান্ডের একটি ছক মাত্র। আমরা উন্নয়ন দেখেছি এবং দেখব আর উন্নয়নের জোয়ারে নিজেদেরকে জড়িয়ে সামনে এগুব এই বিশ্বাস নিয়েই আমাদের আগামীর পথচলা। দেশের উন্নয়ন, কর্মক্ষেত্রের উন্নয়ন, শিক্ষার উন্নয়ন, ধর্মের যোগোপযোগী মানোন্নয়ন, যোগাযোগের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, মানবিক উন্নয়ন, মানষিক উন্নয়ন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নয়ন, মোটকথা মানুষের বা সৃষ্টির কল্যাণের জন্য সার্বিক ও সামগ্রিক উন্নয়নই এখন অগ্রগামীতায় পৌঁছেছে। আমরা এইসকল উন্নয়নে এখন দিশেহারা। তবে পথ খোঁজা হচ্ছে যেন সঠিক এবং সার্বিক ও সাবলিল গতিতে সৃষ্টির নিয়মে তালমিলেয়ে যুগের চাহিদায় পরিপূর্ণতা দিয়ে সমান্তরাল গতিময়তা বিরাজমান রাখা যায়। তবে সরকার এবং জনগণ এই ক্ষেত্রে এখনও এক কাতারে এসে পৌঁছাতে পারেনি তবে নিরন্তর চেষ্টা চলছে। যতক্ষন না সরকার এবং জনগন এই এক কাতারে পৌঁছাতে না পারবে ততক্ষন পর্যন্ত টেকসই উন্নয়ন সম্ভবপর হবে না বা লক্ষ্যে পৌঁছার সামর্থ্য পরিলক্ষিত হবে না।
সকল উন্নয়নকে স্তব্দ করে দেয়ার জন্য পৃথিবীতে আবির্ভূত হল করোনা নামক এক অদৃশ্য ভীতি। তবে এই ভীতি যখন কাটিয়ে উঠার সকল সম্ভাবনা উকি দিয়েছে ঠিক তখনই আবার মনগড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেওয়ের ভীতি ছড়িয়ে একটি তরঙ্গ সৃষ্টি করে তরঙ্গায়ীত করে যাচ্ছে। শুধু কি তাই সেই তরঙ্গায়ীতের আরেকটি নতুন রূপ ব্লাক ফাঙ্গাস বা কালো ফাঙ্গাসে পরিণত করতে চাচ্ছে। তবে পৃথিবীর ভাবমূর্তী এর বীপরিতে গিয়ে দাড়াচ্ছে। আর এখানোই সমস্যা হচ্ছে এইসকল ভীতির উন্নয়ন সাধনে। তবে আমরা বা আমাদের মত সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভরশীল ও বিশ্বসী মানুষগুলো প্রতিনিয়ত ঐ ভীতির বিরুদ্ধে একট্টা হয়ে ভীতি প্রতিহতের ভুমিকায় অগ্রগামীতা দৃশ্যমান রাখতে নম্রতা ও ভালবাসা এবং ক্ষমার মিশ্রনে সৃষ্টিকতার সান্নিধ্যে থেকে তাঁর অভীপ্রায় অনুযায়ী দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি ও যাচ্ছে এবং যাবে। এই ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতির কিছুটা বিঘ্রতা পরিলক্ষিত হচ্ছে যা দেখা আমাদের সকলেরই কাম্য। আমাদের সম্পর্ক সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে যথই গভীর হবে ততই ঐ উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ হয়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। আসুন আমরা সৃষ্টিকর্তায় আরো নির্ভরশীল হই এবং নিজেদের কৃতকর্মের জন্য তৌবা করে পরিশুদ্ধ হই।
এই ডিজিটাল যুগে সত্য এখন স্পষ্ট এবং মিথ্যা ও যুক্তিনির্ভর নেতিবাচকতা এখন দৃশ্যমান। তবে সৃষ্টিকর্তা ঐসকল ক্ষেত্রে তাঁর সক্ষমতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন এবং রাখবেন। তবে সুশিক্ষা ও স্বশিক্ষা এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় যুগোপযোগীকরণ অব্যাহত রাখতে সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে এগুতে আহবান জানাচ্ছি। খোদার বানীকে যুগে যুগে যুগোপযোগী করে ব্যবহারযোগ্য করে তেলা এখন আমাদের সকলের সর্বাধিক প্রাধান্যের প্রধান দায়িত্ব যা ফরজে আইন হিসেবে পরিগণিত। শিক্ষা নিয়ে বহু নেতিবচকতা হয়েছে, ভুল ব্যাক্ষা হয়েছে; সকল ইতিবাচকতাকে পাশ কাটিয়ে নেতিবাচকতায় সয়লাভ রেখে আজকের সকল কুকৃত্তির পাশবিকতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে সেই বিখ্যাত উক্তির কথা মনে পড়ে; “আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দিব”। হ্যা সময় এসেছে ভেবে দেখার এবং সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। বাস্তবেও তাই দৃশ্যমান। শিক্ষিত মায়ের দ্বারা স্ব ও সুশিক্ষিত জাতি বহিবিশ্বে বিরাজমান রয়েছে। আর আমরা যতবেশিী এই চর্চায় মনোনিবেশ করতে পারব ততই আমাদের ইতিবাচক শিক্ষার প্রসার বিরাজমান থাকবে আর তাতে দেশ, জাতি ও রাষ্ট এবং সর্বোপরি বিশ্ব উপকৃত হবে।
বাংলাদেশের চমকপ্রদ উন্নয়নে নেতিবাচক মনোভাবের শত্রুরা এখন দিশেহারা। তাই ইতিবাচক মনোভাবের আরো গণজাগরণ ঘটানো প্রয়োজন। আমরা এই ইতিবাচক জাগরণ ঘটিয়ে সকল নেতিবাচকতাকে দূরীভূত করে বিশ্বকেও উন্নয়ন এবং ইতিবাচকতায় ভরপুর করে তুলব এই বিশ্বাসে জাগ্রত থেকে সামনে এগুনোর সকল প্রস্তুতি গ্রহনে বদ্ধপরিকর হয়ে পথচলার অঙ্গিকারে আবদ্ধ হবো। নেতিবাচক কোন বাণিজ্য বা লাভের কাছেই আমাদের বিবেক বা ইতিবাচকতাকে বিসর্জন দিব না এই অঙ্গিকারে আবদ্ধ হয়ে, হাতে হাত, কাঁধে কাধ এবং পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনে নিজেদেরকে আরো সমৃদ্ধ করে চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির গতিময়তাকে তরান্বিত করব। এই হউক আমাদের আজকের শপথ বাক্য।