ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার শিকারপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে আনা হলে সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার জের ধরে দু’ঘন্টা পরই কামাল ও শফিকের লোকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকের বাড়িতে হামলা করে ঘরের মালামাল ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং মুক্তিযোদ্ধাকে ঘরে তালা দিয়ে আটক করে রাখে।
পরে গ্রামবাসী ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা তাকে উদ্ধার করে। গত শুক্রবার (২১ মে) রাতেই উভয় পক্ষ থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে কসবা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কসবা থানায় কামাল মিয়ার দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের সফিক মিয়া (৩৫), বাবুল মিয়া (৬০) গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মাছ বিক্রি করে বাড়ি আসার পথে মিজান মৃধা, সাফায়েত মৃধার নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ব্যক্তি দুলাল মিয়ার বাড়ির সামনে সফিক ও বাবুলকে মারধোর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে । তাদের কাছে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ও ১২ হাজার টাকা মুল্যের একটি টর্চ লাইট ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে কামাল মিয়া বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কামাল মিয়া জানান, তার ভাই সফিককে মাথার পেছন দিকে আঘাত করা হয়েছে। কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার ভাইকে রাখেনি। বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়ে শুক্রবার রাতে গুরুতর আহত সফিকের লোকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুূল হকের বাড়িতে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসকল দুবৃত্তরা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হককে নিজ বাড়িতে প্রায় ৩ ঘন্টা ঘরের ভিতর তালাবদ্ধ অবস্থায় অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের নেতৃত্বে গ্রামের লোকজন ফজলুল হককে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ফজলুল হক ৭জনকে আসামী করে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে মিজান মৃধার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মারামারি ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেননা। এ ছাড়া তিনি গ্রামেও বসবাস করেননা। তাকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে কামালের মামলার আসামী করা হয়েছে। বাদৈর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু জামাল খান জানান; তিনি রাতে ঢাকা থেকে এসে পৌছে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর ভ’ইয়ার সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দুপক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।