আমাদের দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে ঠিকই কিন্তু এর প্রতিবন্ধকতাও এই উন্নয়ন নিজেই। তবে এতে উন্নয়নকে দোষারূপ না করে বরং উন্নয়ন পরিকল্পনাকারীকে এবং অনুমোদনকারী ও দ্রুত কার্যসম্পাদনকারীকেই করা উচিত। তবে এর ক্ষেত্রে ভিন্নতাও পরিলক্ষিত হচ্চে এবং হয়েছে ও হবে বৈকি। আমরা উন্নয়ন নিতে মাতামাতি করি এবং উন্নয়ন বিমুখতা নিয়েও মাতামাতি করি। কিন্ত একটি বিষয় নিয়ে কেউ মাতামাতি করিনা আর তা হল উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা উন্নয়ন নিজেই। কিভাবে; আসুন আমরা একটু চিন্তা করি এবং সময় নিয়ে সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা করি আর সেই চিন্তা ও পরিকল্পনার দৃশ্যমান ফল ভোগ করার আগে অদৃশ্যমান ফলের ইতি ও নেতিবাচকতাকে যাচাই বাছাই করে দেখি। যদি সবই ঠিকঠাক হয় তাহলে সেই উন্নয়ন কাজের যাত্রারম্ভ করে গতিশীলতা আনয়ন করি।
এই বিষয়ে একটি দৃষ্টান্ত দিতে চাই, তবে ভুল হলে আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি ভুল ধরার জন্য বা কাউকে ছোট করার জন্য বলছি না বরং বলছি উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার জন্য অথবা একই কাজে দ্বীগুন অর্থ নষ্ট না করে অর্থ সাশ্রয়ের জন্য। তবে এই দৃষ্টান্তে উদাহরণ যেন কোন রাজনৈতিক না হয় সেইদিকে বিনয়ী অনুরোধ রাখছি। কুড়িল বিশ^রোড থেকে ৩০০ফিটের রাষ্টাটি একটি যুগোপযোগী সফল উদ্যোগ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের উন্মুক্ত দৃষ্টান্ত। আর এই দৃষ্টান্তের স্থায়ীত্ব একবছরের বেশী সময় হতে না হতেই নতুন পরিকল্পনায় নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরু হল বিশালাকৃত্রির উন্নয়ন কর্মকান্ড। যা দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এই কাজটি গত একবছর আগে শেষ হয়ে জাতির উপকারে পরিণত হয়েছিল আর সরকার জনতার বাহাবা কুড়িয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে উন্নয়নের দ্রুতলয়ে জনদূর্ভোগের চরমে পৌঁছেছে। তবে একবছর আগে শেষ হওয়া উন্নয়ন পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে কি বর্তমান উন্নয়ন কর্মকান্ডের পরিকল্পনাকারীর অথবা অনুমোদনকারীদের অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরসহ সরকারের কোন সমন্বয় ছিলনা? যদি না থাকে তাহলে দু:খজনক আর যদি থাকে তাহলে তাড়াহুড়া করে অর্থ অপচয়ের দায় এখন কার? একটু সময় নিয়ে যদি জনগুরুত্ব ভেবে বর্তমান সংস্কারের সঙ্গে নতুন পরিকল্পনা যুক্ত করার কাজটি পুর্বের কাজের সঙ্গে যুক্ত করে শুরু করা হতো তাহলে জনদুর্ভোগ লাগব হতো, অর্থ সাশ্রয় হতো, সময়ের গুরুত্বানুয়ী আরো নতুন কাজে মনোনিবেশ করা যেত। এতে সরকার ও দেশের বাহাবা কুড়ানোতে সমৃদ্ধি অর্জিত হতো। বর্তমানে নতুন পরিকল্পনায় যে কাজ চলছে তাতে পূর্বের কাজের সকল অর্থ অপচয়ে পরিণত হয়েছে বৈকি। তবে নতুনত্বের বেড়াজালে হয়তো অপচয়কৃত অর্থের কথা ভুলেগিয়ে নতুনকেই আমরা স্বাগত জানাব। তবে ঐধরণের অপচয় রোধের চেষ্টায় সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে এগুতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্ব নেতৃত্বের দ্বাড়প্রান্তে পৌঁছাতে আর বেশীদিন লাগবে বলে মনে করি না। তবে আমরা এখন বিশ^কে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত তবে নিজের দেশের অপচয় রোধে আরেকটু মনোযোগী হলে হয়ত যে কোন চ্যালেঞ্জ বা প্রতিকুলতা মোকাবিলা বাংলাদেশের জন্য সহজে সম্ভবে পরিণত হবে। আমার বিশ^াস অল্প লিখাতে বিশালত্ব বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং উপযুক্ত মহল বিবেচনায় নিয়ে সামনে এগুনোর পথ প্রসস্থ করবেন।