ছয় দফার উন্নয়ন

ছয় দফার বাস্তবায়নে পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। আর এর উন্নয়নে পেয়েছি আজকের বাংলাদেশ। তবে দিনে দিনে এই ছয় দফার উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে এবং বহি:বিশ্বে এর পুনজাগরণ শিখরিত হয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে। আমাদের আজকের বাংলাদেশ রূপদান করার ক্ষেত্রেও সেই ছয়দফার কারিঘররাই কিন্তু নিয়োজিত। মাঝখানে যারা ছিল তারা মাত্র দেশের খোলসটাকে কোনরকমে টিকিয়ে রেখেছিল। তবে মৃতপ্রায় দেশটিকে পেছনে প্রবাহিত শ্রোতের বিপরীতে গিয়ে সামনে এগিয়ে নিতে যারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেই তারাই কিন্তু দেশ স্বাধীনে এবং ছয় দফা প্রকাশ ও বাস্তবায়নে ছিল। তবে মাঝখানের মানুষগুলি নিজের উন্নতিতে অবদান রেখেছেন এবং দেশের বারোটা বাজিয়ে অন্ধকারের দিকে নিমজ্জ্বিত করেছেন। সেই মাঝখানের কুশিলবরা বাংলাদেশের চলমান গতি ও উন্নয়ন এবং গতিশীলতা এমনকি স্বাধীনতার সুফল অথবা সফলতা কোনটিই গুরুত্ব দিয়ে কার্য্যে পরিণত করেননি। সকল নেতিবাচকতাকে উষ্কিয়ে দেশকে মৌলবাদি এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের আখড়ায় পরিণত করেছিলেন। সেখান থেকে টেনে তুলতে গিয়ে স্বাধীনতাকামী জনতাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু তনয়া অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ত্যাগ ও দুরদর্শী পরিকল্পনা আর আকুন্ঠ সাহসকে পুঁজি করে জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন; তারই ফলশ্রুতিতে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে; যা এখন ঐতিহাসিকভাবে দৃশ্যমান।
সৃষ্টিকর্তা শেখ হাসিনাকে বেঁছে নিয়েছেন এই দেশের মানুষকে ইতিবাচক অর্জনে সম্বৃদ্ধ করার জন্য; নতুন দিশায় আশার প্রদিপ জালিয়ে দিগন্তের চূড়ায় পৌঁছার জন্য। বঙ্গবন্ধুকে বেঁছে নিয়েছিলেন জাতিকে উদ্ধার করে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দেয়ার জন্য এমনকি সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে একটি রূপরেখা রেখে যাওয়ার জন্য। সেই রূপরেখায়ই এখন জাতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগুচ্ছে। মডেল মসজিদ উদ্ভোধনও একটি ছয়দফার রূপরেখার উন্নয়ন যা এখন মানুষের প্রত্যক্ষ দৃষ্টিসীমায় এসেছে। ধর্ম নিয়ে ইতিবাচক মনোভাবের চর্চায় এগিয়ে যেতে সকল ধর্মের অনুসারীদেরই অগ্রাধীকার ভিত্তিতে জ্ঞানের চর্চা করতে হবে। সেইক্ষেত্রে ধর্মীয় জ্ঞানই শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে ভুমিকা রাখতে পারে। ধর্মীয় জ্ঞানের প্রচলন সমাজে যত বেশী চর্চায় আনয়ন করা যাবে তত বেশী সমাজ, সংস্কৃতি ও দেশ সম্বৃদ্ধ হবে। নিশ্চয়তা, নিরাপত্তা এবং শান্তি ও স্থীতিশীলতার একমাত্র মাধ্যই হলো ধর্মীয় জ্ঞানের ব্যবহার। আর এই ব্যবহারের ফলই বিশ্বকে আগামীর নেতৃত্বে নিশ্চিত স্থীতিশীলতা এনে দেবে। সকল অন্যায়, কুসংস্কার, ভয়-ভীতির উদ্ধে উঠার হাতিয়ার হলো ধর্মীয় জ্ঞানের চর্চার উন্নয়ন এবং এর ফল। আমাদের সকলকে আরো মনযোগী হয়ে স্ব স্ব ধর্ম অনুসন্ধান এবং গভেষনায় আনয়ন করে প্রতিনিয়ত ব্যবহারের নিমিত্তে চর্চা চালিয়ে যেতে হবে। ধর্মীয় সহনশীলতা একটি সর্বোৎকৃষ্ট উপাদান; যা দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে নিজের হৃদয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করা যায়। আর সৃষ্টিকর্তার অবস্থান আমাদেরকে সবসময় নম্র এবং বিনয়ী ও পরোপকারী আর নির্লোভ হতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমেই পৃথিবী টিকে থাকার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হয়, হবে এবং হয়েছে।
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর কঠিন সত্য হলো শয়তান বিতারিত করে সৃষ্টিকর্তাকে মানুষের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করা। আর এই শয়তান এখন মানুষের অন্তরের গহীনে অবস্থান করে তার রাজত্ব কায়েমে ব্যতিব্যস্ত কিন্তু সেই শয়তানকে বিতাড়িত করতেই স্ব স্ব ধর্মের ব্যবহার জরুরী হয়ে পড়েছে। যাতে ধর্মীয় শান্তির অস্ত্রে শয়তান বিতাড়িত করে সৃষ্টিকর্তায় মনোনিবেশ করে সকল ঝঞ্জালকে দুর করে বেহেস্তের আদলে পৃথিবীকে সাজানো যায়। সেই দিকে মনযোগী হওয়ার জন্য বিনিত আহবান জানাচ্ছি। সৃষ্টিকর্তা এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর সঙ্গে কারো তুলনা চলে না আর সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে সৃষ্ট বিভেদ ভুলে যার যার অবস্থান থেকে ঐক্য এবং নিশর্ত ভালবাসার মেলবন্দনে আবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। যদি এই ঐক্যের মেলবন্দন সুচিত হয় তাহলেই শয়তান বিতাড়িত হবে এবং শান্তি, স্থিতিশীলতা, নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা পুরোপুরি কার্যকর হবে। লোকে বলে শিক্ষার্থীরা আজ ভবিষ্যতের শঙ্কায়; কিন্তু আমি বলি সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যের শঙ্কায়। কারণ প্রকৃত জ্ঞান আসে উপর থেকে (সৃর্ষ্টিকর্তার কাছ থেকে)। উপর থেকে আসা জ্ঞান “সম্পূর্ণ সত্য, খাঁটি, ভন্ডামীশুন্য; মমতা এবং ভালবাসায় পূর্ণ্য, ক্ষমায় পূর্ণ্য, লোভ এবং লালসাবিহীন; অপরের উপকারের জন্য সর্বদা নিয়োজিত।” তাই শিক্ষার্থীদের ঐ সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত জ্ঞানে সমৃদ্ধকরণের ব্যবস্থা উন্মুক্ত করুন এবং সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সম্পর্কন্নোয়নের কাজে অব্যাহত চেষ্টা চর্চায় জাগ্রত রাখুন।
সেনাপ্রধান পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় নতুনত্ব আনয়ন করে এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। পুর্বের চেয়ে আরো বেশী মনযোগী হয়ে গতানুগতিক গতিশীলতা থেকে বের হয়ে নতুন কিছু একটা (ইতিবাচক) করে দেখানোর সুযোগ দানে সহায়তা অব্যাহত রাখুন। আগামীর কল্যাণের তরে সেনাবাহীর ভাবমূর্তী সমুজ্জ্বলে কাজ করুন এব্ং জনমনের সকল প্রশ্নের উদ্ধে উঠে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকুন। ব্যবসা এবং অর্থ উপার্জনের হাতিয়ারে আর পরিণত না হয়ে বরং দেশের এবং দশের কল্যাণের তরে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখুন। ছয়দফার রূপরেখায় ফিরে আসুন। ছয়দফাকে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে নিজেরা দেশের তরে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করুন। জনগন বিমুখতা নয় বরং জনসম্পৃক্ততা আরো উদার এবং সেবার মনোভাবাপন্নতা দৃশ্যমান রাখতে কার্যকর ভুমিকা বাস্তবায়ন করুন।
মানব কল্যানের তরে কাজ করতে গেলে কে কি ভাবল বা বলল তাতে কান দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই বরং কাজের মনযোগের গতিশীলতা বৃদ্ধি করে সামনে এগিয়ে যান। পাশ্ববর্তী দেশ অথবা নিন্দুকদের আচরণ ও বাক্যবানের প্রতিও কর্ণপাত না করার আহবান জানাচ্ছি। ছন্দ ও গতিময়তা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান আর দেশের উন্নয়ন আর লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্থির থেকে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিমজ্জ্বিত থাকুন। ছয়দফাকে আরো গভীরভাবে জানুন এবং বর্তমানের উন্নয়নকে ছয়দফার উন্নয়ন রূপরেখার কর্মকান্ড মনে করে সামনে এগিয়ে যান। স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভুমিকা রাখতে ছয়দফার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মুল্যায়ন এবং গভেষনা এমনকি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিযোগে অগ্রসর হউন। ভালো থেকে আরো ভালো অর্জন এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপভোগে মনোনিবেশ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.