ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি ইউনিয়নের কাঠেরপুল খাদ্য গোদামে অন্য জেলা থেকে ধান এনে গুদামে সংরক্ষন করার ১৬৬ বস্তা ধান ও একটি বড় ট্রাক জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত শনিবার বিকেলে এই মালামাল জব্দ করা হয়। নিয়ম বহির্ভুত কাজ করার অপরাধে পুলিশ কাঠেরপুল গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন ও ট্রাক চালক সৈকত (২২)সহ দুইজন আটক করেছে । এ ঘটনায় কুটি ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. উজ্জল মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, কসবা উপজেলায় এই মৌসুমে এক হাজার ৮৫৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করার কথা । ধান সংগ্রহের নিয়ম অনুযায়ী উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে লটারীর মাধ্যমে কৃষকের তালিকা তৈরী করা কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার কথা রয়েছে। লটারীতে বিজয়ী কৃষকদের কাছ থেকে এক হাজার ৮০ টাকা মণ দরে ধান ক্রয় করার ঘোষান দিয়েছে সরকার। তা না করে কুটি কাঠেরপুল খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত করে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ না করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে ধান কিনে আনেন। শনিবার দুপুরে কুটি কাঠেরপুল খাদ্য গোদামে বড় ট্রাক দিয়ে ২৩০ বস্তা ধান এনে গোদামে প্রায় ৬৪ বস্তা ধান তুলে রাখেন। এ সময় স্থানীয় লোকজনের কাছে ঘটনাটি ধরা পড়ে। খবর পেয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পান। ট্রাকটিতে থাকা আরো ১৬৬ বস্তা ধানসহ ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন ও ট্রাক চালক আশুগঞ্জের চরচারতলা এলাকার সৈকত মিয়াকে আটক করেছে। আটককৃতদের থানা হাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম বলেন, লটারীর মাধ্যমে নির্ধারণ করা কৃষকদের কাছ থেকেই ধান কিনতে হবে। এক উপজেলার ধান অন্য উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা যাবে না। নিয়ম না মেনে অন্য উপজেলা থেকে ধান এনে গুদামজাত করার সময় ট্রাকটিকে আটক করা হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন, অবৈধভাবে ধান সংগ্রহ করায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও চালকসহ কয়েকজনকে আসামী করে কসবার কুটি ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. উজ্জল মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আটককৃতদের গত রবিবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি দুদকে হস্তান্তর করা হবে।