আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ উত্তর কোরিয়া এখনই আমেরিকার সঙ্গে সংলাপে বসার দরজা বন্ধ করে দিতে চায় না; তবে সেই সঙ্গে যুদ্ধের দরজাও খোলা রাখতে চায়। গত বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টি অফ কোরিয়ার সেন্ট্রাল কমিটির বৈঠকে ভাষণ দিচ্ছিলেন কিম। সেখানেই তিনি আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের কৌশলগত দিক নিয়ে বলেন। তার বক্তব্য, নতুন মার্কিন প্রশাসন কী নীতি নিচ্ছে, তা মাথায় রাখতে হবে।
কিম বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে আলোচনা এবং সংঘাত দুয়ের জন্যই তৈরি থাকতে হবে। বিশেষ করে সংঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ, দেশের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। তবে তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশের উপরই জোর দিচ্ছেন। তার মতে, পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে। তাই ওই অঞ্চলে পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। সে জন্য দরকার, পরিস্থিতি এলেই দ্রুত প্রতিক্রিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে আমেরিকার ঘনিষ্ঠতার ফলে পূর্ব এশিয়ায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা বর্ণনা করে কিম বলেন, কোরীয় উপদ্বীপের সার্বিক পরিস্থিতি দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে এবং এ অবস্থায় পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য পিয়ংইয়ংকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, বাইডেন একটা সামগ্রিক নীতি নিয়ে চলছেন। এটা ডেমোক্র্যাটদের বিশাল ভুল। তার উচিত, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু প্রকল্প যে বিপদ ডেকে এনেছে, কূটনৈতিক পথে এবং কড়া হুমকি দিয়ে তার মোকাবিলা করা।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দৃশ্যত উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার সংঘাতপূর্ণ সম্পর্কের ইতি ঘটাতে কিম জং-উনের সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু সেসব সাক্ষাৎ করমর্দন ও ছবি তোলা ছাড়া অন্য কোনো ফল বয়ে আনেনি। এরপর চলতি বছরের গোড়ার দিকে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর পিয়ংইয়ং ঘোষণা করেছে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্বেষী নীতি পরিহার না করা পর্যন্ত আমেরিকার সঙ্গে সংলাপে যাবেন না কিম জং-উন। কিন্তু বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসতে উৎসাহী নন, যদি না আলোচনার শর্ত বদল হয়। সূত্র, ডিডাব্লিউ, এএফপি, রয়টার্স, পার্সটুড