সৃষ্টিকর্তার কাছে ফিরে যেতে কি কোন শাটডাউন…

বৈশ্বিক মহামারির কবলে পড়ে মানুষ নিজস্ব ভাবনায় শাটডাউন / লকডাউন এমনকি আংশিক ঘরবন্ধির এমনকি জেলবন্ধির পদ্ধতি আবিস্কার করেছে এবং বাস্তবায়নও করে যাচ্ছে। এখানে আমার প্রশ্ন যে, মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে কিন্তু যেখানে স্থায়ী সমাধান সেখানে যাওয়ার জন্য কি কোন স্থায়ী শাটডাউন ব্যবস্থা চালূ করা যায়? যদি করা যায় বা হয় তাহলে পৃথিবী থেকে সকল নেতিবাচকতা, লোভ-লালসা; হিংসা-বিদ্ধেস এবং সর্বোপরী পাপ দূরীভুত হবে। পাপটুকু সড়ে গেলেই খোদায়ী রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজমান থাকবে। উল্লেখ্য যে, মানুষ গর্ব করে বলতে পারবে দুনিয়া থেকেই বেহেস্তের যাত্রা শুরু হয়েছে।
বেহেস্তের নিশ্চয়তাসহ আগমণী বার্তা নিয়ে যারা এসেছিলেন এবং পথ দেখিয়ে গেছেন তাদের অস্থিত্ব এবং দেয়া দায়িত্ব এখনও চলমান রয়েছে। লজ্জ্বা-শরম এবং লোকে কি ভাববে এইসব না ভেবে নিজের স্থায়ী আবাস পাকাপোক্ত করতে চোখ-কান খোলা রেখে কবুতরের মাত সরল হয়ে এবং সাপের মত চালাক হয়ে আল্লাহকে খুঁজুন এবং তাঁকে নিজের অন্তরে আসীণ করান। তাহলেই আল্লাহ এবং আপনার ও আমার সম্পর্ক গভীর হবে। আমার কথা আল্লাহ শুনবে নিশ্চিত এবং আমি আল্লাহর কথা শুনব। ভাবুনতো এই করোনাকালীণ সময়ে আরো কি কি করলে আল্লাহকে কোন কিছুর বিনিময় ছাড়া বিনামূল্যের দান হিসেবে পাওয়া যায়। সেই রাস্তায় অগ্রসর হওয়ার জন্য সবাইকে আমি বিনিত আহবান জানাচ্ছি।
চারিদিকে যে হা হা কার রব উঠেছে তার থেকে বাঁচানোর জন্য আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ঠ। তাই আল্লাহর কাছে ফিরে আসুন এবং তাঁর সান্নিধ্যে থেকে দুনিয়াকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনুন। দুনিয়াকে দেখা-শুনা করার যে দায়িত্ব আল্লাহ পূর্ব থেকে দিয়ে রেখেছেন সেই দায়িত্ব পালনে নিজের অবস্থান পরিপূর্ণতায় পূর্ণ করুন। আমরা এখন শুধু একটি কথার ভুল ব্যাখ্যায় নিয়োজিত রয়েছি। আর সেটি হলো তোমরা দুনিয়াকে এবং এর অধিনের সকলকিছুকে নিজেদের শাসনের অধিনে আন। হ্যা আমরা শাষণে অধিনে এনে দুনিয়া ও তাঁর অধিবাসী সকল কিছুকেই নিষ্পেষণ করে যাচ্ছি। যা সৃষ্টিকর্তা অসন্তুষ্ঠ হয়ে আমাদের উপর বিরাগভাজন হচ্ছেন। তবে তাঁর দয়া, ক্ষমা ও ভালবাসার বিশালতার কারণে তিনি আমাদের দিকে হাত বাড়িয়ে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন; যেন আমরা অতি তাড়াতাড়ি তার কাছে তৌবা করে ফিরে যাই আর তিনি আমাদেরকে গ্রহণ করে খুশিতে নিজের অবস্থান জানান দিবেন।
খোদা/ আল্লাহ/ সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আমাদের কোন গতি নেই। এই কথাটি বা বিষয়টি কি এখনও বুঝতে বা অনুধাবন করতে পারেন নি? সময় এখনও হাতছানি দিচ্ছে.. .. সময় থাকতে ফিরে আসুন/ সময় পাবেন কিনা তা জানি না। আর দুনিয়ার সকল সম্পদ এবং আত্মীয় পরিজন- বন্ধু-বান্দব, ক্ষমতা কিছুই আপনার পাশে থাকবে না/ অথবা আপনার কোন কাজে আসবে না বরং ঐ সকল আপনার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী হিসেবে শেষ বিচারের দিন প্রমানসহ স্বাক্ষ দিবে। তাই সেই স্বাক্ষমর বা প্রমানসহ স্বাক্ষ্য বহন করা থেকে বা করার কাজ থেকে বিরত থাকুন। ভাবুন এবং ফিরে আসুন আল্লাহর দরবারে। সকল সৃষ্টিকে বা আশরাফুল মাখলুকাতকেই বলছি। আসুন আমরা আল্লাহর দরবারে ফিরে যায় এবং তাঁর গুনগান করে অন্যদেরকে উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে আসি। সকল ভেদাভেদ ভুলেগিয়ে এখন খোদায়ী ঐক্যের সম্মিলন ঘটাই। পৃথিবীকে খোদায়ী ঐক্যের সম্মিলনে আবদ্ধ করে খোদায়ী বিচারের আওতায় রেখে খোদার ইচ্ছার বহি:প্রকাশের পরিপূর্ণতা দান করি।
পৃথীবির ভারসাম্য রক্ষায় খোদা তায়ালা তাঁর স্বকিয়তায় এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে এই এগিয়ে যাওয়াকে সুন্দরভাবে ভারসাম্য বজার রাখার কাজটুকু করতে খোদার বাহিনী নিয়োজিত; তবে সংখ্যায় খুবই কম। তাই মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে খোদা তাঁর কাজটুকু করে থাকেন। কিন্তু এটি খোদা তায়ালার ইচ্ছা নয় বরং ইচ্ছা হলো খোদার সিফতে সৃষ্টি; সৃষ্টির সেরাজীব আশরাফুল মাখলুকাত দ্বারা তিনি পৃথিবীর কাজ সম্পন্ন করবেন এবং করছেন। তাই আমরা সতর্ক হয়ে খোদার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেই অসম্পুর্ণ দায়িত্বটুকু সুসম্পন্ন করি। প্রকৃতির উপর আর নির্ভর না করে এমনকি নিয়তির উপরও নির্ভর না করে বরং নিজেরা নিজেদের অধিকার পুরোপুরি প্রয়োগ করার জ্ঞান ও আল্লাহর সাহায্য নিয়ে অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করার চেষ্টায় নিয়োজিত থাকি। আল্লাহ আমাদেরকে ব্যবহার করে তাঁর আশ্চর্য্যকাজ সম্পন্ন করবেন এটা নিশ্চিত। কারণ সমস্ত অসম্ভবকে একমাত্র আল্লাহ নিজেই সম্ভবে পরিণত করেছেন। যার অজস্র নজির এখনও পৃথিবীতে বিরাজমান রয়েছে।
প্রথিবীতে এখন মানুষ নিজের উপর ভরসা করছে অথবা বিজ্ঞানের উপর ভরসা করে এগুচ্ছো। আসলে নিজের বা মানুষের অথবা বিজ্ঞানের উপর ভরসা করে আর কত অনিষ্ট করব তা এখন ভেবে দেখার বিষয়। বিজ্ঞান এবং মানুষের সৃষ্টি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সৃষ্টির ক্ষতি সাধিত করে যাচ্ছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা এবং অভিপ্রায় ও তাঁর পরিকল্পনা মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাই তিনি আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর আগেই বলে রেখেছেন “তোমাদের জন্য আমার পরিকল্পনার কথা আমিই জানি; সেই পরিকল্পনা তোমাদের মঙ্গলের জন্য (উপকারের জন্য); আপকারের জন্য নয় (ক্ষতির জন্য নয়) ; আর সেই পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই তোমাদের ভবিষ্যতের আশা পূর্ণ হবে।”। হ্যা তাই যেন হয় সেই দিকে দৃষ্টি দিয়ে সামনে এগুতে হবে। নিজেদের উপর বিশ্বাস ও নিজেদের চিন্তা ও কর্মের উপর আস্থা রেখে না এগিয়ে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তাঁর সাহায্য কামনা করে সামনে এগুতে হবে এমনকি আল্লাহর পরিকল্পনা জানার জন্য আল্লাহর সঙ্গে সম্পোর্কন্নয়ন করে সামনে এগুতে হবে। আর তাতেই মঙ্গল নিশ্চিত হবে।
আসন্ন লকডাউন/ শাটডাউন’র প্রয়োজনীয়তা এবং এর উপর নির্ভরতা কিভাবে কমানো যায় সেইদিকে দৃষ্টিপাত দেয়া খুবই জরুরী। তবে আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করছেন এবং করবেন তাই আল্লাহর কাছে ফিরে আসার জন্য যদি কোন লকডাউন / শাটডাউন দেয়ার ব্যবস্থা করা যায় তাতে দু’কুলেই শান্তি নিশ্চিত। তাই আসুন আমরা আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে নতুন লকডাউনের কথা ভাবি। সমস্ত কিছু উন্মুক্ত করে আল্লাহর সাহায্য নিয়ে পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েই যেন আল্লাহর ক্ষমতা, ক্ষমা, ভালাবাসা, সুরক্ষা, নিয়ন্ত্রণ এবং উপযুক্ত সকল যোগান পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ অবস্থানে দৃশ্যমান থাকে সেই ব্যাবস্থার দিকে দ্রুতলয়ে অগ্রসর হই। এই প্রত্যাশায় এবং বাস্তবায়নের আশাই অধির আগ্রহে অপেক্ষারত রইলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.