ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবায় গত ২১ জুন রাতে নিজ বাড়ী থেকে রহস্যজনক নিখোঁজ হওয়া সেলিম মিয়া (৪৫)কে গতকাল সকালে কসবা থানায় হাজির করেছেন পরিবারের লোকজন । শ্বশুরবাড়ীর লোকজন ও স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় নিজেই আত্মগোপন হয়ে শ্বশুরবাড়ীর লোকজনদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বরিশাল গিয়েছিলেন সেলিম।সেলিম মিয়া কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
জানা যায়; ১৬ বছর পূর্বে একই উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামের আবু সামার কন্যা মুন্নি আক্তারের সাথে তার বিয়ে হয় সেলিমের। বিবাহিত জীবনের অধিকাংশ সময় সেলিম প্রবাসে ছিলেন। স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কয়েকবছর যাবত ঝগড়া বিবাদ চলছিলো । মনোমালিন্যের কারনে কন্যাপক্ষ সেলিমের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলাও করেছিলো। তাদের এসমস্ত ঘটনা নিয়ে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে লক্ষ্মীপুর গ্রামের গন্যমান্য লোকজন জানায়। গত ৫ মাস পূর্বে সেলিম দেশে আসে। গত ২১ জুন পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রীর বড় বোনের বাড়ি গানপুর গ্রামে সেলিমকে মারধোর করে স্ত্রী ও ভায়রা ছোট মিয়া। ক্ষুব্দ সেলিম তার নিজ বাড়িতে এসে রাতেই সে মুরগীর রক্ত ঘরে ছিটিয়ে দিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। ২২ জুন সকালে তাকে খুঁজে না পেয়ে তার বড় ভাই থানায় অভিযোগ করেছিলো। পরে গতকাল সে নিজেই বাড়িতে চলে আসে। সেলিমের পরিবারের লোকজন থানায় নিয়ে আসলে বিষয়টি মিমাংসা পর্যায়ে শেষ হয়।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর ভ’ইয়া জানান; তাদের দুটি সন্তানের কথা বিবেচনা করে মানবিকভাবে থানায় বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়া হয়।