ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবা উপজেলার হাতুরাবাড়ি গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ১২টি ঘর নির্মানে নি¤œমানের ইট-বালি দিয়ে কাজ করায় অবশেষে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত সোমবার ( ৫ জুলাই) বিকেলে ওই কাজ বন্ধ করে দেন। তিনি ঠিকাদারকে নি¤œমানের ইট গুলো সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন।
জানা যায়, হাতুরাবাড়ি এলাকায় সরকারী জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান কালে স্থানীয়দের অভিযোগে নিবার্হী ম্যাজিস্টেট ও কসবা সহকারী কমিশনার ( ভ’মি) হাছিবা খান প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে নি¤œমানের ইট দিয়ে ঘরের কাজ হচ্ছে দেখে ক্ষুব্দ হন এবং কাজ বন্ধ করে তিনি সিডিউল মোতাবেক কাজ করার নির্দেশ দেন । ঠিকাদার সুমন মিয়া সাময়িক কাজ বন্ধ করলেও বিকেলেই আবার কাজ শুরু করে দেন।
বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিক, ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার লোকজন জানাজানি হলে গত সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কাজ বন্ধ রাখেন। তিনি খারাপ ইটগুলো তাৎক্ষনিক সরিয়ে ভালো ইট এনে কাজ করতে নির্দেশ দেন।
ঠিকাদার সুমন মিয়ার সংগে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি ভালো ইট-বালি দিয়েই কাজ করছেন। সিডিউলে বালি ও ইটের প্রকৃতি নির্ধারন করা নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি খারাপ ইট সরিয়ে নিতে বলেন এবং ভালো ইট দিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর ব্যতয় ঘটলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানূগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সহীদ মিয়া, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, ইউপি মেম্বার আতিকুর রহমান জানান, নি¤œমানের ইট-বালি দিয়ে বেইজ ও দেয়াল নির্মান করা হয়েছে। এখন এর উপর ভলো ইট দিয়ে কাজ করলে কি কাজ মজবুত হবে ? যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে।