রিপোর্টার,মন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের পূর্ব শীলমন্দি গ্রামে হত্যার আড়াই মাস পর নিজ বাড়ির বান্নাঘরের মেঝের মাটি খুড়ে স্বামীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে হত্যার দায় স্বীকার করা স্ত্রী এবং লাশ গুমে সহায়তাকারী এক যুবকে। গত শুক্রবার বিকালে পুলিশ স্ত্রীর দেওয়া তথ্য মতে নিজ বাড়ির বান্নাঘরের মেঝের মাটি খুড়ে স্বামীর আরাফাত মোল্লার লাশ উদ্ধার করে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর গত ২ মে সকাল ৯টার দিকে জবাই করে স্বামী আরাফাত হোসেনকে হত্যা করে স্ত্রী আকলিমা। হত্যার পর রাতে প্রতিবেশী রিয়াজ হোসেনের সহযোগিতা নিয়ে বসতঘরের সাথে লাগঘেষা রান্না ঘরের মেঝে খুড়ে সেখানে লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখে। এরপর ১৫ মে মুন্সীগঞ্জ থানায় স্বামীর নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি করে স্ত্রী আকলিমা বেগম। পরবর্তীতে ৩০ মে একই থানায় তার স্বামীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবী করার মামলা দায়ের করেন তিনি। তিনি গ্রেফতারকৃত আকলিমার বরাত দিয়ে আরও জানায় আকলিমার স্বামীর সাথে একটি মেয়ের পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। সে কারণে স্বামী আকলিমার সাথে খারাপ ব্যবহার করতো। এসব কারণে ক্ষদ্ধ হয়ে স্বামীকে হত্যা করে আকলিমা।
ওসি আরও জানান কয়েকদিন ধরেই আকলিমা বেগমের আচরণ সন্দেজনক মনে হয় এলাকাবাসীর। নানাভাবে তাকে প্রশ্ন করা হলে এক পর্যায়ে একজনের কাছে গোপন রাখার শর্তে ঘটনা স্বীকার করে। তিনি স্বীকারোক্তি মোবাইলে গোপনে রেকর্ড করে ফেলে। পরে এটি মুন্সীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ শুক্রবার আকলিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পর শুক্রবার বিকালে তার দেখানো স্থান থেকে গলিত লাশ উদ্ধার করে। এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেছে স্বাজন ও এলাকাবাসী। আরাফাত মোল্লার দুই ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে।