আমার খালুজান খুবই অমায়িক মানুষ ছিলেন। তিনি আমাকে সবসময় জামাই বলে সম্বোধন করতেন। ফোনে মাঝে মাঝে কথা হতো। আমার শ্বশুরের খোজ খবর নিতেন। আমিও মাঝে মাঝে আমার শ্বশুর ও শ্বাশুরী থেকে ওনার খোজ খবর নিয়েছি। তবে ঐ মানুষটি আমার খুবই পছন্দের। ওনার সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক গভীর ছিল কিন্তু পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার সময় ওনাকে দেখতে না পাওয়ার বেদনা
আমৃত্যু বহন করবো। তিনি আর আমার শ্বশুর ভালো বন্ধু এবং সম্পর্কে ওনারা বিয়াই ও বটে। গত কিছুদিন আগেও আমার শ্বশুর অসুস্থ থেকে ওনার খবর নিয়েছেন। আর আমি ফেসবুকে এবং আমার শ্বশুরের মাধ্যমে জানতে পারি খালুজ্বান আর নেই।
জনাব সিদ্দিকুর রহমান যিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিজিবির উপ-পরিচালক ছিলেন। তিনি গত ২৩ তারিখ সকল ৯ ঘটিকার সময় ঢাকা সি এম এইচে ষ্ট্রোক করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি বিলঘর গ্রামের সন্তান এবং স্থায়ীভাবে কসবা ঈদগা মাঠের পুর্বপাশ্বে বসবাস করতেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭৩ বছর। তিনি তাঁর স্ত্রী, দুই পুত্র এবং তিন কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গত ২৩ জুলাই বাদ আছর কসবা থানা ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং সকলেই ঐ বিনয়ী এবং অতি উত্তম চরিত্রের মানুষটির জন্য আল্লাহর দরবারে বেহেস্তের সুউচ্চ মাকাম কামনা করেছেন। আল্লাহ ওনাকে বেহেস্তেও সম্মানীত করুন। আমিন।