ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মনকাশাইর গ্রামে আবু কাওসার ভুইয়া নামক এক ব্যক্তি বাড়ির গেইট সংলগ্ন কাচা রাস্তা পাকা করতে চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়। এসময় স্বামীকে বাঁচাতে এসে কাওসারের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিনকেও টানা হেঁচরা ও শরীরের কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানী করে। নিলুফা ইয়াসমিন ৯ জনকে আসামী করে কসবা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত মো.ইসমাইল (৩২), শওকত হোসেন সবুজ (৩৪) ও শাকির মিয়া (৩০) কে গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে দুপুরে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুলাই উপজেলার মনকাশাইর গ্রামের মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মোহাম্মদ আবু কাওসার ভু’ইয়া বাড়ির গেইট সংলগ্ন কাঁচা রাস্তায় পাকা করার জন্য ইট বালি সিমেন্ট নিয়ে এলে পাশ্ববর্তী বাড়ির বিল্লাল হোসেন নুরু মিয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ৫ লাখ চাঁদা দাবী করে। কাওসার চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নুরু মিয়া তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এসময় আবু কাওসারকে লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করতে থাকলে তাঁর স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও সন্ত্রাসীরা কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে তাকে মারধোরসহ শ্লীলতাহানী করে। স্থানীয় লোকজন এসে তাদের কবল থেকে স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এব্যাপারে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সাড়াঁিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর ভ’ইয়া বলেন; চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতন মামলায় সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা মামলা রুজু করা করেছেন। এদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সেবন ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।