ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চলতি মাসের শুরু থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবারো শুরু হয়েছে নমুনা সংগ্রহ। সপ্তাহে তিনদিন নেয়া হয় নমুনা। ইদানিং মানুষের মাঝে দেখা যাচেছ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ। উপসর্গ নিয়েই গ্রামাঞ্চলে ঘুরে বেড়াচেছ মানুষ। সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে আতংক তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিতে আসা লোকজননের উপস্থিতি বাড়ছে। স্বাস্থবিধি না মেনে লাইনে দাড়িয়ে লোকজন গ্রহন করছে টিকা ও দিচেছ করোনার নমুনা।
গতকাল স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে গেলে দেখা যায়, টিকা গ্রহনকারীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী নিরাপদ দুরত্ব বজায় না রেখে একে অপরের সাথে ঘেঁষাঘেষি করে দাড়িয়ে আছে টিকা গ্রহনের অপেক্ষায়। অপেক্ষমান লোকজনও একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বসে আছে। অপরদিকে নমুনা দেয়ার সংকির্ণ জায়গাটিতে গিজ গিজ করে দাড়িয়ে আছে নমুনা দেয়ার জন্য মানুষ। এই উপজেলায় যেভাবে সংক্রমন বাড়ছে এরপরেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকজনের ব্যাপক উপস্থিতি এবং নিয়ম না মেনে টিকা দেয়া এবং নমুনা নেয়ার কারনে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশী হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
করোনার টিকা নিতে আসা আকলিমা বেগম বলেন, করোনার টিকা নিতে এসেছি। লোকজনের উপস্থিতি দেখে ভয় হচ্ছে। টিকা নিতে এসে আক্রান্ত হয়ে যাই কিনা। মানুষ নিরাপদ দুরত্বে দাড়াতে অনিহা দেখাচ্ছে।
বাছির মিয়া বলেন; যেখানে নমুনা নেয়া হচ্ছে সেখানে লোকজনের প্রচুর ভীড়। টিকা প্রদান ও নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। নয়তো নমুনা দিতে এসে সংক্রমিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অরুপ পাল বলেন, হঠাৎ করে বেশ কয়েকদিন যাবত টিকা গ্রহনকারী ও নমুনা দিতে আসা লোকজনের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। তাই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ এবং আনসার আরো বাড়িয়ে দেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার থেকে আনসার পুলিশের পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যবিভাগের মাঠকর্মীরাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা গ্রহন এবং নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবেন। তাহলে আর এই সমস্যা থাকবেনা।