মিডিয়া + জনগণ + সরকার এই তিনে এখন একাকার হয়ে যাচ্ছে। কোনখানে নেই এই তিনের সমন্বয়। তবে আলাদা করে বলতে গেলে দেখা যায় সরকার তাঁর বাহিনী দ্বারা ধৃত সকল অপকর্ম বা কর্মেরই কারিঘর বা এর সঙ্গে জড়িত অথবা কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ঐ কর্ম ঘটানো ব্যক্তি অথবা প্রত্যক্ষ্য নয় পরোক্ষ এমনকি সম্পর্কিত নয় ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কল্পকাহীনি বা বাস্তবতার নিরীখের সত্য কাহিনী অথবা প্রতারণার চতুরঙ্গ প্রকাশিত হয়েছে। দৃশ্যপটে এইসকল দেখে নিজেকে লজ্জ্বিত মনে হচ্ছে। বলা যায় আগুনইনা বেডির লাজ নাই দেখুইনা বেডির লাজ। তবে এই সমাজে সকল নেতিবাচক চক্রান্তের মূলে এখন নারীদের স্থান অগ্রগামী। অবস্থাদৃষ্টে এটাই প্রমানীত হচ্ছে। তবে নারী জাতি মায়ের জাতি হিসেবে সম্মান এবং শ্রদ্ধাবোধ রেখে যারা জড়িত তাদেরই শুধু বর্ননায় আনয়ন করছি। বাস্তবতার নীরিখে এখন মনে হচ্ছে মুল্যবোধের অধপতন ঘটেছে বা অবক্ষয় হয়েছে। তবে যে যাই বলুন না কেন এই মূল্যবোধ কিন্তু মানুষের সৃষ্টি নয় বরং এই মূল্যবোধ খোদা তায়ালার সৃষ্টি। মানুষের সৃষ্ট বা কল্পনাপ্রসূত মূল্যবোধে সময়ের আবর্তনে অধপতন বা অবক্ষয় ঘটে কিন্তু খোদার দেয়া মূল্যবোধে কোন অধপতন বা অবক্ষয় নেই। তবে শয়তান দ্বারা প্ররোচিত হয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্ষলন ঘটে মাত্র কিন্তু একেবারে বিনাশ বা মৃত্যুবরণ করেনি এবং করবেও না।
আসল কথা হলো ইদানিং কি ঘটছে আর কি দেখছি ও শুনছি ভাবতে পারেন! নারীরা কত কি—ই না করে যাচ্ছে এবং খবরের শিরোনাম হচ্ছে। পুরুষ এবং নারী এরা খোদার দৃষ্টিতে সমান আর এই সমান ভাগ এখন সব জায়গাতেই বসিয়ে যাচ্ছে। আসলে কি আল্লাহ এইভাবে প্রকাশিত সমান ভাগের কথা বলেছিলেন! আল্লাহর কালাম পড়ুন এবং বিস্তারিত জেনে আগামীর করণীয় ঠিক করুন। তবে এই করোনাকালীন সময়ের কোন শিক্ষাই যেন আমাদেরকে সচেতন বা ইতিবাচক কাজের দিকে মনোনিবেশ করাতে ব্যর্থ হয়েছে তারই প্রমান এই চলমান আলোচিত কাহিনীগুলো। ঈশিতা, মৌসুমী, ফারিয়া,পরিমণী, রাজ, জীসান এবং হেলেনাগংদের কবলে এখন মানবতা, নৈতিকতা, ঈমান, আমল ও সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মূল্যবোধ। তাদের পদলেহনে বিনাশের পথে আজ খোদায়ী অভীপ্রায়, সরকারের ইচ্ছা ও আকাঙ্খা এবং উন্নয়নের জোয়ার ও গতিময়তা। শুধু কি তারা না আরো আছে বিগত দিনের সেই কর্মোউদ্দিপক দামাল ছেলে-মেয়েরা (যারা আজ শ্রীঘরে বসবাস করছেন)। বর্তমানে যুক্ত হওয়াদের নিয়েও অনেক কল্পকাহীনি রচিত হচ্ছে এবং হবে। তবে সরকারের আন্তরিকতা এবং প্রশাসনের সৎ প্রচেষ্টার বহি:প্রকাশের আগে কি জনগন ও মিডিয়া এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত ছিলেন না? নাকি দৈনিক ও মাসিক এবং বাৎসরিক মাসোহারার উপঢৌকন এর বিনিময়ে উৎসাহ এবং প্রণোদনা যুগিয়ে গিয়েছিলেন? যদিও এখন সবাই সরব দোষ খোজার পিছনে কিন্তু পূর্বে তাদের অবস্থান কোথায় ছিল একটু খতিয়ে দেখবেন কি? যারা আজ জনগণের চোখের সামনে সরব তারাকি একদিনেই এই অবস্থানে এসেছে নাকি দিনে দিনে এসেছে তাও খতিয়ে দেখতে হবে। তবে এদের সঙ্গে কারা কারা জড়িত এবং কাদের প্ররোচনায় এই পর্যন্ত এসেছে অথবা মদদ দাতা, অর্থের যোগান দাতা ও শেলটার (আশ্রয়-প্রশ্রয়) দেয়ার অধিকারীগণ এমনককি ব্যবসায়ীক সঙ্গীগণকেও এই বিচারের আওতায় এনে প্রকাশ্যে জনগণের মানসপটে ভাসমান রাখা প্রয়োজন। কারণ আগামীর কল্যাণে যেন এই ধরনের কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে কেহ আর সাহস, ইচ্ছা এমনকি আশা পোষণ না করে।
যে বা যারাই জড়িত থাকুক তারা ঈমান, আমল ও খোদায়ী (সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত) মূল্যবোধের বিরোধী। দেশ ও দশের বিরোধী, সরকারের বিরোধী, রাষ্ট্রের আইন ও কানুনের বিরোধী, মোট কথা তারা মানব ইতিহাস ও মানবতার শত্রু তাই এদের চিহ্নিত করা জরুরী এবং সেই অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা এখন যুগের দাবী। সাহসী সরকার এবং সাহাসী সৎ বাহিনীগুলোকে নির্ভয়ে সততার সঙ্গে ব্যবহারের উপযুক্ত সময় এখনই। আগামীর কল্যাণ ও সু- নির্মল ইতিবাচক বাংলাদেশ বিনির্মান এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার বিচক্ষণ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে এবং বাস্তবতায় যারা আজো বাধাস্বরূপ কাজ করে যাচ্ছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দিয়ে আগামীর দৃষ্টান্ত রাখা হউক এই অভিপ্রায় এখন জাতির এবং সৃষ্টিকর্তার। বহুল প্রচলিত মিডিয়ায় যাদের নাম এসেছে তাদের ব্যাপারে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হউক। নিরপরাধ কেউ যেন কোন চক্রান্তে না ফেসে যায় সেইদিকে দৃষ্টি দেয়া জরুরী। পাশাপাশি এও বলব; দোষী প্রমানীত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ক্ষেয় করে বা বিভিন্ন টাইটেল বা উপাধিতে ভূপাতিত করা না হউক। বরং প্রত্যেককে স্বসম্মানে আইনের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করে আগামীর করনীয়তে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হউক। রাষ্ট্রের মূলনীতিগুলো এই ক্ষেত্রে প্রতিপালিত হউক। একজন নাগরীকের সাংবিধানিক অধিকার পরিপূর্ণরূপে চরিতার্থ বা বাস্তবায়ীত হউক। কারো ভুলের জন্য রাষ্ট্র এবং সংবিধানের অসম্মান করা না হউক। অসম্মানের নেতিবাচক ইতিহাস আর রচিত না হউক। এই বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টনিবন্ধ আশা করছি। অপরাধিকে বাঁচানোর প্রবণতাই নিরপরাধীকে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্থ্য করা না হউক। ন্যায় পরায়ন সর্বজন গ্রহনযোগ্য সরকারের ভাবমূর্তী সমুজ্জ্বলে স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন।
টিকা নিয়ে এতো মাতামাতি না করে বরং টিকার ব্যবহার বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভুমিকা ও সহযোগীতার হাত প্রসস্থ্য করুন। ডর ও ভয় দেখিয়ে আর কি করার আছে? করোনার মৃত্যুর চেয়ে কি আরো বেশী কোন ভয় জনতার সামনে আছে? যেহেতু এই ভয়কেও তোয়াক্কা করছে না সেইহেতু খুবই সাবধানে যত্নশীল আচরণ ও সেবা অব্যাহত রাখুন। জনঅসন্তোষ সৃষ্টিতে কেউ আর ইন্দন যোগাবেন না এবং কোন রসতও সৃষ্টিতে চেষ্টা করবেন না। বরং জনবান্ধব সরকার হিসেবে পাওয়া স্বীকৃতীকে আরো বয়োবৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রত্যেকের ভুমিকা স্পষ্ট করুন। জনগণের প্রতি সেবার মানুষিকতাকে জাগ্রত রেখে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করুন। স্ব স্ব ধর্মের মর্মবাণীগুলোকে জীবন চলার প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে চর্চা অব্যাহত রাখুন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস ও নির্ভরতা রাখুন এবং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা ও অভিপ্রায় অনুযায়ী অগ্রসর হউন। চিলে কান নিছে রলে কানে হাত না দিয়ে ঐ চিলের পিছনে আর দৌঁড়াবেন না বরং কানে হাত দিয়ে পরখ করে নিন এবং তৎপরবর্তী কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। মনে রাখবেন পরিবার, সমাজ, গোত্র ও রাষ্ট্রকে একত্রিত করে ঐক্যের বন্ধনে যুক্ত হয়ে সকল ইতিবাচক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে এবং বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করুন। একতার কোন বিকল্প নেই। দশের লাঠি একের বোঝা এবং দশে মিলে করি কাজ হারি জেতে নাহি লাজ এই পুরোনো কথাগুলিকে এখন কাজে পরিণত করুন।
সকল প্রতিবন্ধকতায় এখন দরকার ঐক্য এবং ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা। আর আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ মোকাবিলার মাধ্যমে সকল অপশক্তি পরাজিত হবে এবং ফিরে আসবে শান্তি ও নিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তার অভয়ারন্য। পৃথিবী এবং এর অধিবাসীরা এখন শান্তি চায়, নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা চাই তাই সকলে মিলে এই সামষ্টিক অভিপ্রায়কে বাস্তবে রূপায়িত করি। আগমীর কল্যাণে বর্তমানের বিসর্জনকে উৎসর্গকীত করা হউক। ঐক্য এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখায় প্রত্যয়ে স্ব স্ব অবস্থান থেকে অঙ্গিকারাবদ্ধ হওয়া অতিব জরুরী। আর নয় বিবেধ ও ভেদাভেদ বরং সৃষ্টির সেরাজীব আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে আত্মপ্রকাশের পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন ও দৃশ্যমান রাখার কাজ এখণই শুরু হওয়া আবশ্যক। আসুন আমরা সকল ক্ষেত্রে এই উন্নয়ন ও জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখি। জীবন একটি খেলা আর এই খেলায় জয়ী হয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করি। বাংলাদেশ এখন সকল খেলায়ই জয়ী হচ্ছে এবং হবে আর এগিয়েও যাবে উন্নয়নের মহাকাব্য রচনা করে। সেই ক্ষেত্রে আমি আপনি ও আমরা সকলে এই মহাকাব্যের অংশীদারী এক একটি চরিত্র। তাই এই চরিত্রগুলোকে ফুটিয়ে তুলতে এখনই সকল ইতিবাচক কাজে লেগে পড়ি। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবার এই শিক্ষাই আমাদেরকে দিয়ে গেছেন। সারা দেশের এবং পৃথিবীর মানুষগুলি এই একই বানী বা শিক্ষা আমাদেরকে বাতলিয়ে দিচ্ছে। নতুন করে আমাদের আর বাতলানোর প্রয়োজন নেই বরং আঁকড়ে ধরে এগুনোর সময় এখন। আমি এই কারণে বলছি যে, বঙ্গবন্ধুর পরিবার এবং প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখা এমনকি কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত থাকার সুবাধে উদ্ভাসিত সত্যের ইতিহাসের আমিও স্বাক্ষী। দেখা ও শুনা স্বাক্ষীর আলোকেই শ্রদ্ধা, গর্ব, শিক্ষা ও ভালবাসায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে সামনে এগুচ্ছি। জয় হচ্ছে এবং হবেই এটা সুনিশ্চিত। আপনিও এই সুনিশ্চিতের বন্ধনে জড়িয়ে নির্ভয়ে এগিয়ে যাবেন এই প্রত্যাশা আমার।
নেকিবাচকতা ও অবিশ্বাসের দন্ধকে বিসর্জন দেয়ার সময় এখন আর এই কাজে ব্যক্তি ও মিডিয়া একত্রিত হয়ে সরকারকে যুক্ত করে একযোগে এগিয়ে যাওয়াই আমার ও বর্তমান করোনা যুগের দাবী। আমরা এই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগুতে পদক্ষেপ নিয়ে সকল কর্মকান্ড পরিচালিত করি তাহলেই সকল অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করা সহজে রূপ নেবে। আমি পাড়ি, আমি করেছি, আমি করব এই বাক্যে নয় বরং আমরা পেরেছি, করেছি এবং পাবর এই বাক্যের উপর স্থির বিশ্বাস নিয়ে অগ্রসর হই। তাহলেই সকল নেতিবাচকতা বিতারিত হবে আর আমরা আমাদের নতুন এক গন্তর্ব্য নির্ধারন করে স্থীরভাবে দন্ডায়মান থাকতে সক্ষম হবো। আসুন সকলে মিলে বেহেস্তি গন্তব্যের যাত্রা এই পৃথিবী থেকে শুরু করে চিরস্থায়ী প্রস্থানের পথে নিশ্চিত অগ্রসর হই।