বাহারী রঙ্গে সাজানো আগষ্ট আবারো এলো আমাদের জীবনে। তবে এবারের আগষ্ট একটু ব্যতিক্রম আঙ্গিকে নতুনের আগমনের সুবাতাস নিয়ে এলো। এই আগষ্টকেই আমরা শোকের মাস হিসেবে চিহ্নিত করি। কারণ এই আগষ্টেই বাঙ্গালী হারিয়েছে তাঁর মহা মূল্যবান অমূল্য সম্পদকে। এই আগষ্টেই জন্মেছিল বাঙ্গালীর দ্বীরতœদ্বয়। একজন শেখ কামাল এবং আর একজন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। এই ক্ষেত্রে বলতে হয় পৃথিবীতে যা কিছু মহৎ তার অর্ধেক করিয়াছে নর আর অর্ধেন করিয়াছে নারী। আর সেই নারীদের একজন মহীয়সী হিসেবে চিহ্নিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা। তিনি এই বাংলাদেশ সৃষ্টির পিছনে অর্ধেক অবদান রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির পিতা আর শেখ ফজিলাতুন্নেছা বাঙ্গালী জাতির মাতা। উভয়েরই সমান অবদান রয়েছে এই আজকের বাংলাদেশ রূপদানে এবং দৃশ্যমানতায়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং সংস্কৃতির অঙ্গনকে বিকাশমান রাখতে এমনকি আজকের অবস্থানে আসতেও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ভূমিকা অবিস্মরণীয়।
এই আগষ্টকে তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি। একটি হলো আগষ্টেই জন্মেছিল বাংলার উদীয়মান আকাশের নক্ষত্রগুলো। যাদের আলোয় আজ আমরা উদ্ভাসিত। তাদেরকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ আরো অনেকেই। আবার এই আগষ্টই হলো বেদনার, শোকের এবং ইতিহাসের অন্ধকারের। শেষ দিকে এই আগষ্টেই আবার জন্মনিল নতুন নতুন ইতিহাসের, দিগন্তের এমনকি তারকাদের জ্যোতিময়তার দোলনচলে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের। তবে গর্ব হউক বা আত্মবিশ্বাস বা নতুন কোন শব্দের উদ্ববেরই হউকনা কেন এই আগষ্টেই আবার আমার জন্ম। তাই আগষ্টকে তার বহুরূপীতার জন্য সাধুবাদ জানাই। তবে ইতিহাসের খারাপদিকগুলোর জন্য অনুশোচনায় এবং অনুতাপের প্রেরণায় সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রসস্থ করি। আর পুনরায় ঐ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেইদিকে দৃষ্টিদিয়ে সকল ইতিবাচক কর্মকান্ডে ঝাপিয়ে পড়ি।
এই আগষ্টেই জন্মেছিল ইতিহাসের চেতনার ধারক ও বাহকগন। এই আগষ্টেই জন্মেছিল নারী প্রস্ফুটিত বাগানের বিলাসী। এই আগষ্টেই শত্রু ও মিত্র চেনার বেদনাদায়ক দৃষ্টান্তের জন্ম হয়েছিল। আগষ্টকে কেন্দ্র করে কত কিছুই না হলো এবং এই আগষ্টেই ক্রিকেট পরাশক্তিকে ধুলিসাৎ করে বাঙ্গালী বিরের গর্জন বিশ^ দেখল। আগষ্ট আমাদের জীবনের দর্পনও হতে পারে যদি আমরা চিন্তার বিশালায়তনে স্থান দিয়ে ভাবনা শক্তির ব্যবহারে ইতিবাচক কাজ করতে উদ্যোগি হই। নারি জাতির জাগরণে এবং বিকীরণের উদগীরন হতে পারে আগষ্টের জন্মনেয়া ইতিহাতের স্বাক্ষী এবং রচনায় ভূমিকা পালনকারী সেই টুঙ্গিপাড়ার মা বাবা হারানো শেখ ফজিলাতুন্নেছা। শৈশব থেকেই তিনি তাঁর কৃতকর্মের মাধ্যমে বাঙ্গালী নারী জাগণের মহিমায় অনুঘটকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। যা আজ ইতিহাসে লিপিবদ্ধ এবং দৃষ্টান্ত হিসেবে স্বামী ও স্ত্রীর দাম্পন্তের এক উজ্জল ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ঐ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবন এবং আদর্শকে অনুসরণ এবং অনুকরণ করে নারী স্বত্তার বিকাশ করা যায়। স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য এবং দায়িত্বগুলো সুচারুরূপে ফুটিয়ে তোলা যায়। বিপদে-আপদে পাশে থাকার দৃষ্টান্ত প্রস্ফুটিত করা যায়। পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে স্বামীর পাশে থেকে অথবা অবর্তমানে কিভাবে চালিয়ে নেয়া যায় তার দৃষ্টান্তও ঐ ঐতিহাসিক বহুগুণ ও প্রতিভার অধিকারীনি বেগম মুজিব। আমাদের দেশের অসহায় ও দিশেহারা থেকে উচ্চবিত্তের সকলের নিকট এই আদর্শটুকু জাগ্রত রাখলে পারিবারিক সুখ ও শান্তি থাকবে অফুরন্ত। বিচ্ছেদ এবং বিভেদ ও হতাশা ঘ্রাস করতে পারবে না বলে আমার দৃঢ় বিশ^াস। আর এই জন্যই আল্লাহ বেগম মুজিবকে দিয়ে এই দৃষ্টান্তটুকু রেখেছেন বিশ^বাসীর জন্য। একটু ভেবে দেখবেন কি ভাই ও বোনেরা। একটু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বাহারী ব্যবহারে হতে পারে আপনার জীবনের রক্ষাকবজ এবং একটি গাইডলাইন বা পথ।
এই আগষ্টেই যুবক এবং যুবতীদের পথ চলায় একত্রে এগিয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্ত এবং ক্রিয়া ও কালচার এবং থিয়েটারকে একসঙ্গে ভালবেসে পথচলার পাথেয় এবং সারথী হিসেবে স্বীকৃত শেখ কামাল যিনী বিনয়ী এবং নিলোর্ভ হিসেবী একজন জলন্ত দৃষ্টান্ত। তাঁর মাধ্যমেই ক্রিয়া জগত এখনও উদ্ভাসিত এবং একসঙ্গে সাম্যের পথচলার পথ প্রসস্থ্য করে রেখেছেন। সেই মানুষটির অভাব অপুরনীয় এবং সেই মানুষটির দেখানো ও শেখানো পথেই এখন জাতি। সবই তাদের শৈশবের অর্জন বাবা বঙ্গবন্ধু এবং মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর শিক্ষার দৃষ্টান্তের বহি:প্রকাশ। বাবা মায়ের আদর্শ ধারণ ও লালন করলে যে ইতিবাচক ফল প্রকাশ হয়েছে তাও জাতির মেরুদন্ডকে মজবুত করতে সহায়ক হয়েছে এবং হবে তার দৃষ্টান্ত এই বঙ্গবন্ধু পরিবার। তিনি সৈনিক এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধা সর্বশেষ তিনি একজন শহীদ। এই সেই বহুগুণে গুনান্বিত কামাল যার তুলনা তিনি নিজেই। একটু ভেবে দেখুন এবং শিখুন ও আগামীর কল্যাণে সেই শিক্ষা ব্যবহার করুন। একটি পরিবার ও সমাজ এবং দেশ কিভাবে একত্রিত তা এই পরিবারের দিকে তাকালেই অনুমেয়। তবে একটি আদর্শীক পরিবারের দৃষ্টান্তে এই পরিবারটি অগ্রজ এবং এই পরিবারের কাছ থেকে শিক্ষা নেয়া এখন বৈশ্বিক প্রয়োজনীয় পাঠ্য কলামে স্বীকৃত। কিভাবে একটি পরিবারকে রক্ষা করা যায় এবং কিভাবে একটি দাম্পত্ত্ব জীবনে সফল হওয়া যায়; কিভাবে একটি পরিবারকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা যায়; কিভাবে একটি সংসারকে টিকানো যায় এমনকি কিভাবে সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, রাজনীতি এবং একটি দেশকে সমৃদ্ধ করা যায় এর সবই রয়েছে বঙ্গবন্ধর পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সংস্কৃতিক, ক্রিয়া ও ধর্মীয় জীবনে। তাই এই জীবনের প্রতিটি স্তরেই রয়েছে জ্ঞান ও শিক্ষার বিস্তর উপকরণ যা থেকে আমরা এগিয়ে যেতে পারি কাংঙ্খিত লক্ষ্যে।
ইতিহাসে লিপিবদ্ধ রয়েছে এবং নতুন করে ইতিহাস লিপিবদ্ধ হচ্ছে এই আগষ্টকে নিয়ে। তবে এই আগষ্টের কুশিলব কিন্তু ঐ শেখ পরিবারই। যেমন জন্মেছিল আগষ্টে আবার নেতিবাচক ঘাতকচক্র কেড়ে নিয়েছিল এই আগষ্টেই। তবে তাদের কেড়ে নেয়াতে কিন্তু সবই শেষ হয়ে যায়নি কিন্তু বাংলার ভাগ্যাকাশে হয়েছে অপুরনীয় ক্ষতি। যে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জাতিকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং হবে। তবে তাঁরই কন্যা বা শেখ পরিবারের সদস্যের হাত ধরেই সেই ক্ষতি পুষিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা এবং পথ প্রসস্থ হয়েছে। যা বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। এই বেদনাদায়ক আগষ্টকে নিয়ে ইতিহাসবিদগণ লিখেছেন এবং লিখবেন এমনকি আমিও বিগত বছরগুলোতে লিখেছি তবে এইবার নতুন করে ভাবনায় এনে উপলব্দিতে মিলিয়ে লিখছি। তবে আমার লিখায় কোন যায় আসে না কিন্তু মনের ইচ্ছার বহি:প্রকাশ ঘটে বলে বিশ্বাস করি এবং আমার স্বাধীন মনের স্বাধীন ইচ্ছার প্রয়োগ চর্চায় আনয়ন করি মাত্র। আমাদের সমাজে এবং রাষ্ট্রে এই বিরল দৃষ্টান্ত বহনকারী পরিবারটি নিয়ে ইতিবাচক মূল্যায়নে এগিয়ে গেলে কিই না হবে তার দৃষ্টান্ত খুজতে বাস্তব জীবনে চর্চা এবং প্রয়োগের অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে আমি এবং আপনি ঐ চর্চায় প্রতিযোগী হয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার প্রবল আকাঙ্খা ব্যক্ত করছি। বঙ্গবন্ধু, শেখ কামাল, শেখ হাসিনা, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আমাদের অহংকার এবং আদর্শ। যা জীবনের বাস্তব রূপদান করে সামনে এগিয়ে যাব এবং নীজ নীজ জীবনে সফলতার স্বপ্ন বাস্তব রূপদান করব যা আগামীর কল্যাণে তরে ব্যবহৃত হতে দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
নিন্দুক এবং ঘাতক অপরাধিদের বিচার হয়েছে; রায়ও প্রকারান্তরে কার্যকর হচ্ছে এবং হবে তবে এর পিছনের মূল নকশাকারীদের স্বরূপ উন্মোচন এখনও স্বষ্টভাবে করা হয়নি। তাই ঐ চক্রান্তের মূল নকশাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে শাস্তির আওতায় আনতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হউক। তবে যারা পৃথিবী থেকে চলে গেছেন তাদের ঔরষজাতদের উপর ঐ দায় চাপিয়ে সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সকল প্রকার শান্তির বিধানে আবদ্ধ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হউক। স্বাধীনতা পূর্ব বঙ্গবন্ধু যেমন আমাদের সকলের এখনও স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্য আমাদের সকলের সম্পদে পরিণত হউক। সকলেই মিলে ঐ আদর্শগুলোকে , দৃষ্টান্তগুলোকে, ইতিবাচকভাবে ব্যবহারে মনোযোগী হই। এই বিষয়ে কোন বিভেদে না জড়িয়ে নিজেদেরকে সামনে নিয়ে এগুয়-ই এবং সফলতার সিড়িগুলিকে অতিক্রম করে ঐ উজার করা জীবন উৎসর্গকারীদের অভিপ্রায় ও আকাঙ্খা পরিপূর্ণ করি। ধন্য বাংলা, ধন্য তোমার রূপ ও লাবন্য এবং ধন্য তোমার কৃর্তি তবে সবই ছাপিয়ে যাবে যদি আমরা সকল মতাদর্শের উর্দ্ধে উঠে এসে ঐ আত্মবিসর্জনকারীদের জীবন ও কর্মের এবং চাল চলনের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। তবে ঐ এগিয়ে যাওয়াতে ওদের আর পাওয়ার কিছু নেই বা লাভও হবে না তবে যা হবে তা আমাদের এবং আগামী প্রজন্মের। তাই আসুন ইতিবাচক মনোভাবের বহি:প্রকাশে আমরাও আত্মউৎসর্গীকৃত হই এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ন্যায় নিজেদেরকে গড়ে তুলি। ক্ষমতা এবং অর্থ ও বিত্তে নয় বরং মূল্যবোধে, আত্মমর্যাদায়, ইতিবাচক সকল কর্মকান্ডে এমনকি সার্মের ও সার্বভৌমত্বের সকল ইতিবাচক দৃষ্টান্তে। জয় আমাদের হয়েছে এবং হবেই এটা সুনিশ্চিত আর আমাদের পিছনে ফিরে তাকানোরও প্রয়োজন নেই তবে প্রয়োজন শুধু শিকড়ের সন্ধানে যুক্ত থেকে অতীত কে স্মরণে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার।
১৫ই আগষ্টের আত্ত্বউৎসর্গকারী বীরদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও অন্তরের গভীর থেকে নি;শর্ত ভালবাসা। তাদের স্মরণে আমরা অগ্রসর হচ্ছি আগামীর প্রত্যয়ে তাদেরই দেখানো ও শেখানো পথে। এই আগষ্টই আমাদেরকে পরিস্কার করে পরিচয় করিয়ে দেয় আপন ও পর চিনে নেয়ার। ভাল মন্দ বোঝার মানদন্ডকে জাগ্রত রাখার। তৌরাত কিতাব আসার আগে যেমন ভাল মন্দ বোঝার কোন মানদন্ড ছিল না ঠিক তেমনি রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় এমনকি ইতিবাচক জীবন যাপনে বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর পূর্বেও কোন মানদন্ড ছিল না। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের পরই জাতি খুজে পেয়েছে সেই মানদন্ড। ভাল মন্দ বোঝার, আপন ও পর চিনে নেয়ার। তবে এই আগষ্টেই জাতি ঐক্যবদ্ধ হউক দ্বীতীয়বার আর ঐ সকল ষড়যন্ত্র মাথা উঁচু করে না দাড়াবার প্রত্যয়ে। এখনই প্রতিহত করুন এবং যাদের মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশী বা দরদে গদগদ তাদের প্রতি তিক্ষ্ণ দৃষ্টি নিবন্ধন করুন এবং বাংলার ভাগ্যকাশকে উন্মুক্ত রাখুন। উন্নয়ন ও গতিশীলতাকে সদা জাগ্রত রেখে বিচক্ষণতায় এগিয়ে যান। দেশী বিদেশী চক্রান্ত এখনও থেমে নেই কিন্তু তারপরও আমাদের নিজেদেরকে নিজেরাই রক্ষা করতে হবে তাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রস্তুতি নিয়ে স্ব স্ব কর্মে গভীর দৃষ্টি নিবন্ধন করুন। পূর্বে যে ক্ষতি করেছিল বা যে ক্ষতি হয়েছিল সেই ক্ষতি থেকে শিক্ষা নিয়ে সামন অগ্রসর হউন। আল্লাহ আমাদের সহায় ইনশাআল্লাহ আমরা বিজয়ী হবোই হবো।
লেখক: তাজুল ইসলাম নয়ন; সম্পাদক প্রকাশক, সাপ্তাহিক প্রশান্তি; পরিচালক অপারেশনস্, বেঙ্গল ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লি:, সাবেক বেসিস ষ্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার; সভাপতি বাংলাদেশ ফেসবুক ফেন্ডস্ সোসাইটি।