কসবায় রুপা-আমন বীজ সংকট , ৩৬০ টাকার বীজ ১০০০ থেকে ১২৫০ টাকা বিক্রী হচ্ছে

কসবা( ব্রাক্ষণবাড়িয়া) সংবাদদাতাঃ ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবায় বীজ ডিলারদের সিন্ডিকেট ব্যবসায় আর্থীক হয়রানীর শিকার হচ্ছে হাজার হাজার কৃষক। উপজেলার ২৫ জন ডিলারদের মধ্যে কেহই সরকারী নীতিমালা অনুসরন করছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে । তিনগুন মূল্য দিয়ে রুপা-আমন ধানের বীজ বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে ডিলারদের কাছ থেকে। কিন্তুু স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা এ সমস্ত বিষয়ে কোনো প্রকার তদারকী করছেন না ।
খোজঁ নিয়ে জানা যায়,সরকার বিএডিসির নির্ধারিত বীজ ডিলারদের বীজ বিক্রীর জন্য মূল্য নির্ধারন করে দিয়েছেন প্রতি ১০ কেজি রুপা-আমন বীজ ৩৬০ টাকা। কিন্তুু এ সকল ডিলারগন ওই বীজ বিক্রী করছেন ১০০০ টাকা থেকে ১২৫০ টাকা পযর্ন্ত। বিএডিসি পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ করলেও ডিলারগন কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কৃষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা । এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করলেও তদারকি করার কেউ নেই। বর্তমানে করোনা মহামারিতে কসবা উপজেলার অধিবাসীদের নাকাল অবস্থা । প্রায় প্রতিটি পরিবারে করোনা ও মৃত্যু হানা দিয়েছে। তার উপর আবার কৃষি উপকরনের অত্যাধিক মূল্য কুষকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের নির্ধারিত বীজ ডিলার সামসুল করিম দুলাল বলেন , আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বীজ সরবরাহ না পাওয়ায় মূহুর্তেই বীজ শেষ হয়ে গেছে। ফলে এক শ্রেণির খুচরা বিক্রেতা চোরাই পথে বিভিন্ন জেলা থেকে এনে অধিক দামে বীজ বিক্রী করেছে । তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর অদূরদর্শীতা ও দুনীতির কারনে এই সংকট তৈরী হয়েছে। কসবা পৌরসভার মোসলেমগনজ্ঞ বাজারের বীজ ডিলার আল-আমিন বলেন , আমার এলাকায় চাহিদা ছিল ১০০০থেকে ১৫০০ বস্তা বীজ। আমি পেয়েছি মাত্র ১৯৬ বস্তা বীজ।
ফলে স্বল্প সময়েই বীজ শেষ হয়ে গেলে কৃষকরা বিপাকে পড়ে যায়। এতে আমার কিছু করার নেই। উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের চারগাছ গ্রামের চাষী জামাল মিয়া জানান, কোনো ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে কি হবে? আপনারা নিউজ করবেন পরে টাকা দিয়েও বীজ সার পাব না। উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের শিকাপুর গ্রামের কৃষক ওসমান গনী বলেন আমি কসবা পৌর শহরের এক ডিলার থেকে ১০ কেজি বিএডিসির ২২ রুপা-আমন ধানের বীজ নিয়েছি ১২৫০ দিয়ে। এই টাকা না দিলে বীজও পেতাম না । অন্যান্য ডিলাররাতো আমাকে পাত্তাই দেয়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগমের দূষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কেউ তাকে অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে শাস্তি পেতে হবে ডিলারদের । উপজেলায় ২৫ জন বীজ ডিলার থাকলেও তিনি জানান মাত্র ১৪ জন বীজ ডিলার আছে এ উপজেলায়। একজন কৃষি কর্মকর্তা হয়েও বিভ্্রান্তিকর তথ্য দেয়ায় সাংবাদিকদের মধ্যে অস্বস্থি সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সার-বীজ বিক্রয় কমিটির সভাপতি মাসুদ-উল আলম জানান, সরকারী বীজ অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় করার সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.