মোঃ সোলেমান খান , কসবা (ব্রাক্ষণবাড়িয়া) সংবাদদাতা ॥ কসবার বায়েক গ্রামের জোবেদা খাতুনের বয়স একশত বছর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখেছেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বর্ষ থেকে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা দেখেছেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের কথাও ভূলেননি। শুধু ভূলার চেষ্ট্রা করেন একশত বছর পরও কেন বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতা পান না। গত বৃহসপতিবার( ১৯আগষ্ট) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর হলো স্বামী কালা মিয়া মারা গেছেন। শশুর চান মিয়ার পুত্র কালা মিয়াকে দিয়ে বিয়ে করিয়ে এনেছিলেন । স্বামী কালা মিয়া চাউড়া গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার পূর্বে বায়েক গ্রামের কুমিল্লা-ব্রাক্ষণবাড়িয়া বাইপাস সড়কের পাশে বাড়ি করেন। তার রয়েছে ৫ ছেলে ৩ মেয়ে।
বৃদ্ধা জোবেদা খাতুন প্রবাসী ছেলে জাকির মিয়ার সংগে বসবাস করতেন। ওই ছেলে বিদেশে থাকে। স্বামীর দেয়া চার শতক জায়গা ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে চিকিৎসার কথা বলে কৌশলে স্বাক্ষর নিয়ে দলিল করে নেয় ছেলের বউ নাজমা । এরপর ছেলের বউ বের করে দিলে তিনি ছোট মেয়ে জ্যোৎ¯œার সংগে বসবাস করছেন । দলিল বাতিলের মামলা করেছে সকল মেয়েরা। তাই ছেলের বউ নাজমা আমার জাতীয়তা সনদ পত্রটি লুকিয়ে রেখেছেন। স্থানীয় বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার আব্দুল বারেক ওরুফে বারু মিয়া জানান, নাজমাকে বার বার বলেছি জোবেদা খাতুনের জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ডটি দেওয়ার জন্য। সে আমার কথা শুনছে না। ফলে আমি জোবেদা খাতুনকে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের কোন কার্ড করে দিতে পারি নাই।
এ বিষয়ে বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া বলেন-বিষয়টি আমি জানি না । কারো পরিচয় পত্র লুকিয়ে রাখা বে-আইনী। একশত বছরের একজন বৃদ্ধা বাস করে আমাদের ইউনিয়নে তাকে বয়স্ক ভাতা দেয়া হচ্ছে না তা আমার জন্য লজ্জার বিষয়। অভিযুক্ত নাজমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ,জোবেদা খাতুনের জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ডটি কোর্টের উকিলের কাছে আছে । তার স্বামী জাকির মিয়ার নিষেধ আমি যেন আমার শাশুড়িকে এই কার্ড না দিই। নাজমার বক্তব্যের বিষয়ে জোবেদা খাতুন বলেন ,এই মেয়েটি মিথ্যাবাদী। আমার জাতীয় পরিচয় পত্রটি তার ঘরের আলমিরাতেই আছে। সে কাউকে বলে কোর্টে আছে, আবার কাউকে বলে উকিলের কাছে আছে।