তালেবানের পতন ও উত্থান এই দুই-ই এখন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে বিরাজমান। কি কারণে তালেবানদের ধ্বংস করে দিয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা হয়েছিল? আর এখনইবা কি কারনে সেই রাজত্ব ধ্বংস করে তালেবান পূর্নবাসন করা হলো তা বিবেকের স্বচ্ছতায় খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিবেক-কে জাগ্রত হয়ে আয়নায় চুলছেড়া বিশ্লেষণের আহবান জানাচ্ছি। একই সূত্র থেকেই এর উৎপত্তি হয়েছিল আর সেই একই সূত্রে নি:শেষ হয়ে বর্তমান অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর পিছনের কারণ জানলেও হয়ত অজানা–ই রয়ে যাবে। আমাদের স্পষ্ট বিবেকে জর্জরিত হয়ে হিসেব নিকেশ কষতে হচ্ছে ঐ নিরপরাধ জীবনদানকারী মানুষ বা সৃষ্টির সকল কিছুরই জন্য। যারা শুধু স্বীকারে পরিণত হয়েই ক্ষান্ত। সেই উসামা বিন লাদেন থেকে শুরু করে মোল্লা উমর হয়ে আজ পর্যন্ত যারা গত হয়েছে বা স্বীকারে পরিণত হয়েছে তাদের কি অপরাধ ছিল? কেই-বা তাদের অপরাধ নিরূপণ করেছিল? এবং কেনইবা তাদের অপরাধের অপবাধ এটেছিল তাও এখন খতিয়ে দেখতে হবে। এর পিছনের অন্তনীহিত ভাব সম্প্রসারণ এখন জরুরী। বিশ্বে নিরীহ মানুষকে পুজি করে বীরে পরিণত হওয়া বা ইতিহাসে নাম লিখানো কখন বন্ধ হবে বা নতুন এক অভিযাত্রার সুচনা আনয়ন কবে হবে তাও চিন্তায় আনয়ন করে আগামীর ইতিবাচক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সময় ও যুগের প্রধান দাবি।
তালেবান নীরিহ প্রাণ এবং যারা গত সরকারের উন্নয়ন সহযোগী বা কর্মকান্ডে সহযোগীতাকারী এমনকি মেনে নিয়ে দেশ গঠনে মনোনিবেশকারী সেই মানুষগুলো এখন ত্রাহী ত্রাহী অবস্থায়; কে দিবে আশার বানী বা নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা? তারও আগের দিকে যদি তাকাই একই পরিস্থিতি পর্যবসীত হচ্ছে যা সমস্ত যুগের ইতিহাসের সঙ্গে একীভ’ত। তাই এই অনাচার, অন্যায় এবং অনিশ্চয়তার স্বীকারের অবসান ঘটানো কি সম্ভব? নাকি এটাই পৃথিবীর পুজিবাদী অথবা খোদাবিরোধী সংস্কৃতির মূল নকশা বা বানী তাও খতিয়ে দেখতে হবে। বিশ্ব মিডিয়ার মাধ্যমে যা জানা যায় তার আলোকে বিশ্লেষণ করলে খুবই স্পষ্ট যে আগামীর কল্যাণের কোন বীজ বপিত হয়নি এমনকি হওয়ার কোন আশাও উকি দেয়নি বরং মৌলবাদের উত্থানের বীজকে চারায় পরিণত করে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে সেবা শুশ্রসা করা হচ্ছে যা অচীরেই আশে-পাশের দেশের সমৃদ্ধি, শান্তি ও নিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তা বিঘ্নের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে সেই খোদাবিরোধী সমাজের ইচ্ছা ও আকাঙ্খা পূরণে ভুমিকা রাখবে। বর্তমানে যুদ্ধ হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে শয়তানের; তবে শয়তান নিজের করে নেয়া লোকগুলোর সঙ্গে আল্লাহর নামধারী বা আল্লাহতে অন্ধবিশ্বাস স্থাপনকারী এমনকি আল্লাহর নাম নিয়ে নিজের আখের গুছানোতে ব্যতিব্যস্ত মানুষগুলো যে কোন ধর্মের আবরণে বিস্ফোরিত হচ্ছে। তবে সৃষ্টিকর্তার মূলমন্ত্রের দীক্ষা এখনও কেউ নেইনি এবং সেই দিক্ষায় পরিচালিত হয়নি ঐ দলগুলোই আজ মরণোম্মুখ হয়ে বিশৃঙ্খলা আনয়নে মরণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আল্লাহভক্তগণ যে ধর্মেরই হউক না কেন তারা নিজেরা ঐ অবস্থার অবসান কল্পে স্ব স্ব ভ’মিকায় অবস্থান করে খোদার ইচ্ছার বহি:প্রকাশ দৃশ্যমান রাখছে এবং মোনাজাতে মগ্ন থাকছে তবে তার সংখ্যা পৃথিবীতে নগন্য।
লোভ ও ক্ষমতার দখলের পরিণতি কি তা কিন্তু স্পষ্ট দৃশ্যমান। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দিকে তাকালেই সকল অস্পষ্টতা স্পষ্ট হয়ে নিজের বিবেক ও বুদ্দির ফলপ্রসুতা কার্যকর হতে সহায়তা করবে। কি কারণে এবং কাদের কারণে এই সকল হচ্ছে? এর ফলে কি লাভ হচ্ছে আর কারা বেশী উপকৃত হচ্ছে এবং যারা ঐ সকল মানুষদের কামাইএর পুত হিসেবে ব্যবহৃত করছে এবং যারা ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের শেষ পরিণতি কি সবই এখন ভাসমান। ক্ষমতা বেশীদিন স্থায়ী হয়নি এবং হবেও না; তবে খোদার ইচ্ছার বহি:প্রকাশ হলে তা দীর্ঘায়ীত হবে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা বিধানে সাম্যের ধারক ও বাহক হয়ে কাজ করবে এবং মানুষ অসস্তুষ্টির মাঝেও সন্তুষ্টি অর্জন করে দিনাতিপাত করবে। কিন্তু লোভ ও লাভের ক্ষেত্রে পাপের পূর্ণতা পাবে এবং এই পূর্ণতার ফল হবে মৃত্যু এবং অপবাধ ও নেতিবাচাকর দৃষ্টান্তের; তবে তাও ইতিহাসেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিগণিত হবে। আফগান উস্কানি এবং এর বিষবাস্প প্রসারিত হবে, আশে পাশের দেশে আর সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। তবে এই দেশে আফগান উস্কানির কর্ণধারও কানায় কানায় পূর্ণ। এই দেশ থেকে ঐ আফগানদের (তালেবানদের) সহায়তাকল্পে হাজারো প্রাণের জোয়ার প্লাবিত আর উৎসাহ ও দোয়া মোনাজাত এবং অর্থনৈতিক সহযোগীতা দেশের ৬৮হাজার গ্রামের অলীতে গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ধর্মীয় উদ্মাদনা কি এবং কিভাবে মানুষকে এমনকি স্বচ্ছ বিবেক ও জ্ঞান বুদ্ধিকে ধ্বংস করে দেয় তাও এই দেশের মানুষ বার বার দেখেছে। শেষ দেখা ছিল গত ২৬মার্চ (স্বাধীনতা দিবসের) দিনে এবং তৎপরবর্তী সময়ে।
সরকার যতই প্রনোদনা এবং সহযোগীতা করুন না কেন তাতে ঐ লোকদের মন গলেনি এবং গলবেও না। যতই তাদের মূল শিক্ষায় যুক্ত করা হউক বা সনদ দিয়ে স্বীকৃতি দেয়া হউক তারা কিন্তু সরকারের পরিকল্পনায় এক নয় এবং সরকারকে সহযোগীতা করার মানুষিকতায় যুক্ত নয় বরং সুযোগ খুজছে কিভাবে কোন সুযোগে সরকারকে বিতারিত করা যায় এবং মনের গহিনে লুকানো সুপ্ত ইচ্ছা বা বাসনা পরিপূর্ণ করা যায়। জন্ম থেকে যারা ধর্মীয় উম্মাদনায় এবং তালেবানী শিক্ষায় শিক্ষীত হয়ে আসছে; তারা কিন্তু সেই শিক্ষার আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ীত করতে জীবন দিতে প্রস্তুত সেই লাখো ধর্মীয় আবেগী মানুষ আরো মানুষের জীবনে ছাপ ফেলে তাদের দল ও মত এবং পথকে সমর্থন যোগাতে প্রস্তুত করে রেখেছে যা আমাদের বুদ্ধিমান এবং পরিকল্পনাকারীদের অজান্তেই অজানা রয়ে গেল। এই ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ জরুরী: দল এবং সরকারকে সমর্থন করতে গেলে শৈশব+কৌশর ও যৌবনে শরীক হয়ে দলের সকল আদর্শকে লালন-পালন এবং ধারক ও বাহক হয়ে চর্চারত থেকে এগুতে হয় আর তখনই দলের প্রতি এবং দলীয় সরকারের প্রতি বাধ্য থেকে কর্মকান্ড পরিচালিত করতে প্রারঙ্গম। এর বাইরে দলের ভিতর ও বাইরের লোক দ্বারা দলের আনুগত্য এবং বশ্যতা স্বীকারে বিচ্যুতি ঘটেছে এবং ঘটবেই। এটাই স্পষ্ট প্রমানিত সত্য তবে দলগুলো ঐ শিক্ষা থেকে অতিতেও শিক্ষা নেয়নি এবং বর্তমানেও নিচ্ছে বলে প্রতিয়মান হচ্ছে না। দলের নিষ্কিয়তার জন্য দল এবং সরকার দায়ী। দল তাদের কর্মী ও সমর্থকদের সংশোধনের কোন সুযোগ দেয়নি এবং তাদেরকে সুরক্ষাও করেনি। যেমন দলের অনেক কর্মী ও সমর্থক যারা দলকে শুধু দিয়েছে এবং দিবেই কিন্তু নিবে না এবং নিইওনি; সেই মানুষগুলো আজ দলের ও সরকারের কাছ থেকে নির্যাতন ও নিপীড়ন এর স্বিকারে পরিণত হয়েছে এবং মনের কোণে জমানো কষ্টের বোঝাটি বহন করতে না পেড়ে ঘরকুনো হয়ে আছে। ঐ মানুষগুলো দলের প্রয়োজনীয় ভিত্তি বা স্তম্ব কিন্তু বর্তমানে তারা নিজেদেরকে গুটিয়ে নিয়ে বসে আছে। তবে তাদের দ্বারা দলের এমনকি সরকারের কোন ক্ষতি হবে না কিন্তু বিপদে তারা আর আগের মতো গতীময়তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বে না এমনকি দায়িত্ব নিয়ে কাজও করবে না কারণ তাদের অনুভুতি ও উৎসাহ এবং উদ্দিপনায় এখন ভাটা পড়েছে। এর জন্য দায়ী কে?
বাংলাদেশে তালেবান মতাদর্শের সংখ্যা কত তা কিন্তু অজানাই রয়ে গেল কিন্তু আমি বলতে পারি প্রতিটি মাদ্রাসাই ঐ সংখ্যার হিসাব। বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসার পুরোপুরি শিক্ষাই তালেবানি আর হারেজিও তাই। তবে আলীয়া মাদ্রাসার ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে; আর এই ক্ষেত্রে জামাত ও শিবিরের পুরোপুরি সমর্থন রয়েছে ঐ আলিয়া মাদ্রাসায়। কিন্তু সবই রসুন হিসেবেই পরিগণিত এবং ভবিষ্যতে ঐ রসুনের কোয়াগুলো একত্রিত হয়ে বড় ধরণের বিস্ফোরণ ঘটানোর আশংকাকে উড়িয়ে দেয়ার কোন যুক্তি বা উপায় নেই। গত ২৬মার্চ আমি ঐ স্বীকারে পরিণত হয়েছিলাম আর আমি পরখ করেছি ঐ ধর্মীয় লেবাসধারী মাদ্রাসার ছাত্র এমনকি সাধারণ জনগণের মনের ইচ্ছা। তবে মাদ্রাসার ছাত্র এবং শিক্ষক ও সাধারণ জনগণ একযোগে ধর্মীয় উদ্মাদনায় উদ্মাদ হয়েই আমার গাড়িতে ভাংচুর করে এবং বৃদ্ধ মা বাবাকে এমনকি শিশুদেরকে আঘাত করে; যা ঐ কারবালার প্রান্তরের ইতিহাসে যুক্ত হতে দাবি রাখে। ধর্ম কর্ম মানুষকে নম্র করে এবং কোমল হৃদয়ের অধিকারী করে, বিখ্যাত করে এমনকি মানবিক গুনাবলীর চর্চায় দৃষ্টান্তের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়; কিন্তু ঐদিনের এবং তৎপরবর্তী এমনকি পুর্বের ঘটনাবহুল অভিজ্ঞতায় ইতিবাচক কিছুই দেখিনি বরং অন্ধকার আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগের পুনরাবৃত্তিই দেখিছি। শুধু কি আমিই না দেশ এবং বিশ্ববাসীও দেখেছে কিন্তু কি করেছে বা করবে? হ্যা দু;খ প্রকাশ করেছে আর সরকার বিভিন্ন ভাবে দমন করার চেষ্টা করেছে তবে দমন হয়নি এবং জনবিচ্ছিন্নও হয়নি বরং ক্ষোভে ফেটে পড়ার বা বিস্ফোরিত হওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় অপেক্ষা করছে।
এবার সংক্ষিপ্তাকারে বিশ্বনেতা ও ধর্মীয়গুরুদের অবস্থান স্পষ্ট করার পালা। আফগান সরকার পতন বা সকল নেতিবাচক দিকে তাদের মনোভাব কি? মনোভাব স্পষ্ট যে, তারা দু:খ প্রকাশ করবে এবং বিভিন্ন ছুতোয় তাদের দায়িত্ব অন্যের কাঁধে চাপিয়ে দেবে অথবা নিরব থেকে সমর্থন যোগাবে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ঐসকল নেতা বা ধর্মীয়গুরুদের নিরব মদদ ও সমর্থন প্রকারান্তরে ঐ নেতিবাচক কর্মকান্ডের পক্ষেই ছিল এবং অদুর ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। আর আমরা যা কিছু দেখছি তার গভীরেই রয়েছে ঐ আফগান বর্তমান অবস্থা। আর এর জন্য পুর্বে থেকেই পরিকল্পনা করে ছক এটে মিরজাফর’র ভুমিকায় ছিলো বর্তমান বিশ্বনেতারা (ক্ষমতাধররা)। আজও প্রকাশ্যে বিরোধী বা স্বতন্ত্রধারী কিন্তু গোপনে বা অন্তরে ঐ আফগান তালেবান সমর্থক এবং সহযোগী। তবে এই সহযোগীতা বেশীদিনের জন্য নয় বরং অন্য একটি উদ্দ্যেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে আর সেই উদ্দেশ্য হাসিলে সফল হওয়া পর্যন্তই এর স্থায়ীত্ব তবে যদি উদ্দেশ্য হাসিলে এই পরিকল্পনা কাজে না লাগে তাহলে অতি অল্প সময়েই এর অধপনত নিশ্চিত। এটাই বিশ্বের ক্ষমতাধরদের এবং খোদা বিরোধীদের কর্মকান্ডের সফল দৃষ্টান্ত।
তবে আমি আশংকা করছি বিশ্ব মোড়লগণ এখন দৃষ্টি দিয়েছেন বাংলাদেশের দিকে এবং এই দৃষ্টি শুকুনের দৃষ্টির চেয়েও কঠোর। পুর্বেও তারা বহু চেষ্টা করেছে কিন্তু এখন নতুন আঙ্গিকে ফলপ্রসু চেষ্টার ছক কষে এগুচ্ছে এবং এর একধাপ সফলতা আফগানে এবং আরেক ধাপ সফলতা বাংলাদেশে ঘটানোর প্রক্রিয়ায় যুক্ত। তবে তার শতভাগ সফলতায় তারা নিশ্চিত এবং সেই ঘোষণাও কোন কোন ক্ষেত্রে উচ্ছারিত হয়েছে। সাবধান হওয়ার কিছু নেই বরং প্রতিবদ্ধকতার এমনকি প্রতিরোধের শক্ত ভিত তৈরী এবং দৃশ্যমানতা এখন জরুরী; পাশাপাশি দলীয় ঐক্য এবং রাষ্ট্রীয় ঐক্য দরকার। কোন রেষারেষি নয় বরং দল এবং সরকারের ঐক্যের জন্য কাজ করতে হবে। দলীয় কর্মী, সমর্থক এবং নেতা ও রাষ্ট্রের মধ্যে ঐক্যবৃদ্ধিকরণে কাজ করুন। নতুবা বিশৃঙ্খলা এবং বিভেদের সুযোগে ঐ চক্রান্তকারীরা সফলতায় পৌঁছে আফগান আদলে বাংলাদেশের পতাকাকে ব্যবহার করবে। তখন আর কিছুই করার থাকবে না। ঐ শুকুনের দল এই দেশটাকো চেটে-পুটে খেয়ে খোলসটুকু ফেলে নৈরাজ্য এবং বিশৃঙ্খল অবস্থার বিরাজমান রাখবে। ধর্মীয় মৌলবাদীদের এবং মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষীতদের অথবা ঐ মতবাদের বিশ্বাসীদের ইতিবাচক লক্ষে সরকারের অভিপ্রায়ে ফিরিয়ে আনতে কাজ করুন এবং ক্ষমতা ও আইন এবং দমন নিতিদিয়ে মোকাবেলায় সাময়ীক সুবিধা অর্জন হলেও নতুন করে দীর্ঘস্থায়ী স্থায়ী সমাধান ও সুবিধার পথ খুজুন।
সৃষ্টিকর্তার স্মরণাপন্ন হউন এবং তার জ্ঞানে পূর্ণ হউন তারপর সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় বুঝে আগামীর পরিকল্পনা তৈরী করে বাস্তবায়নে নেমে পড়ুন। সময় হয়তো কম কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই বরং তিনিই একমাত্র সমস্ত অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করেছেন তাই তাঁরই স্মরণাপন্ন হউন। দুষ্ট লোকের মিষ্ট কথায় না মিশে বরং তাদের আচরণ এবং মনের গভীরের ইচ্ছা জানুন এমনকি তাদের ফাঁদে না পড়ে বরং তাদের তৈরী ফাঁদে তাদেরকেই ফেলার জন্য আল্লাহর সহায়তা কামনা করুন। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের ন্যায় বাংলাদেশকেও বিনাশ করতে নানা ফন্দি-ফিকির এটেছিল কিন্তু আজও খোদা সেই ফন্দিতে সায় দেয়নি বরং বাংলাদেশকে রক্ষায় সকল সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন। তাই খোদার কাছে আবারো সাহায্য চান এবং নতুন ষড়যন্ত্রের রোষানল থেকে বের হওয়ার পথ সুপ্রসস্থ্য করুন। দলীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই এবং প্রসাশনিক ঐক্যেরও কোন বিকল্প নেই তাই এখন সরকার, দল, জনগণ এবং প্রশাসন একযোগে কাজ করতে হবে নতুবা নতুন নেতিবাচক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। আসুন আমরা আমাদের আগামীর করনীয়তে আল্লাহকে যুক্ত করি এবং সেই আল্লাহর পরিকল্পনার মধ্যদিয়েই আগামীর পথ প্রসস্থ্য করি। আল্লাহ বলেছেন “তোমাদের জন্য আমার পরিকল্পনার কথা আমিই জানি; আর সেই পরিকল্পনা তোমাদের মঙ্গলের জন্য, অপকারের জন্য নয় বরং সেই পরিকল্পনার মধ্যদিয়েই তোমাদের ভবিষ্যতের আশা পুর্ণ হবে”। হ্যা আমরা ঐ পরিকল্পনাই এগুতে চাই। তারপরও বলব আল্লাহর কালামে এও বলেছেন,“ তোমাদের মধ্যে যদি কারো জ্ঞানের অভাব থাকে তাহলে সে যেন আমার কাছে চায় তাহলে আমি তাকে প্রচুর পরিমানে দেব” হ্যা আমরা খোদার জ্ঞান ও পরিকল্পনা নিয়ে আগামীর সকল বিপদ কাটিয়ে এই বাংলাকে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াতে সক্ষম রাখব।