বর্তমান ও আগামীর শিক্ষা

বর্তমান এবং আগামীকে নিয়ে ভাবনা এবং চিন্তায় নিমগ্ন জাতি তথা বিশ্ব। এই চিন্তার ছাপ কিন্তু ভাল এবং মন্দ উভয় দিকেই ধাবিত হচ্ছে। মিডিয়ার কল্যাণে সবই এখন দৃশ্যমান। তবে আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা এই সময়ে এসে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং এর বিনির্মানে নিয়োজিতদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও উত্তরোত্তর মেধার স্বাক্ষর বহন করেই জাতি আজ উজ্জীবিত হচ্ছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের নিরাপত্তায় ডিজিটাল আইন-ই রক্ষাকবজে পরিণত হতে যাচ্ছে। তবে এতে সাবধানতাও অবলম্বন এখন জরুরী হয়ে পড়েছে। মিডিয়ার ক্ষেত্রে নীতি ও আদর্শের এবং জাতির কল্যাণের নিম্মিত্তে সকল কর্মকান্ড অর্বাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করছি আর এই ক্ষেত্রে সরকার এবং প্রশাসন ও মিডিয়ার যৌথ ভুমিকার বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে স্যোসাল মিডিয়া এবং প্রতিষ্ঠীত ও নব প্রকাশিত ও প্রচারিত মিডিয়ার মধ্যে যোগসাজোস এমনকি যৌথ ভুমিকা ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসা যুগের দাবি। কোনভাবেই নেতিবাচক নয় বরং ইতিবাচক ভুমিকা রাখার আশা পোষণ করছি। ভুল সংশোধনের সুযোগ থাকাও বাঞ্চনীয় এমনকি একাধিক ভুলের খেসারত দেয়াও জরুরী হয়ে পড়েছে।
আইন ও আদালত এবং বিচারালয়কে আরো স্বচ্ছ করার তাগিদ অনুধাবন করছি। যেন আগামীর কল্যাণে আইন-আদালত এবং বিচারালয় ও এর অধিভুক্ত জনরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফলপ্রসু প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারে। গত কিছুদিনের বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো আমাদেরকে কষ্ট দেয় যে, আইন-আদালত ও বিচারালয়ের অধিভুক্তজনরা বিভিন্ন প্রবাহে প্রবাহিত হয়ে বক্তব্য, রায় এবং মতামত’র যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা কাম্য বা লক্ষ্যনীয় নয়। তারপরও বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই সমতা বিধানে সাম্যের যোগানে এবং ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সময় এখনই। সকল বিচক্ষনতাকে পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এখন নয় বরং বিনয়ী নম্রতায় এবং ক্ষমতার জৌলূস ও ঔদ্ধত্বকে বিসর্জনের সময় এখন। বিচক্ষণ সম্মানীত আইন মন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের দূরদর্শীতায় ঐ সকল অনৈক্য এবং বিবেদ দূর করে সামনের গতিময়তা স্থীর করে শান্তি, নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা ও স্থিতিশীলতা বিরাজমান রাখবেন। তবে তার আগেও যদি কেউ কেউ এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে কিছু একটা করতে সক্ষম হন তাহলে আমাদের আগামীর জন্য মঙ্গল। সমালোচনা এবং একজন আরেকজনকে ছোট করা অথবা পুলিশি হয়রানি এমনকি ভুল রিপোর্ট বা ক্ষমতার বলে বাহারী রিপোর্ট জমা দেয়াসহ নানান জঞ্জাল এখন ঘীরে রেখেছে আমাদের এই বর্তমানকে। এইসব থেকেই বের হওয়ার এখন সময় তবে সরকার এবং সরকার প্রধানসহ এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার আগেই সংশোধনের প্রচেষ্টা চালানো উচিত। সরকার প্রধানের শত প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতাকে বিনাশ করার কাজে লিপ্তদের এখনই লাগাম টেনে ধরে সতর্কতার সহিত অগ্রসর হতে হবে।
টিকা নিয়ে যে নেতিবাচক প্রচারনা চলছে এমনকি রাজনৈতিক ফায়দা হাছিলের অপচেষ্টা চলছে তার ইতি এখনই টানতে হবে। সরকারের আন্তরিকতা এবং সময়োপযুক্ত অব্যাহত প্রচেষ্টার সাফল্য তুলে ধরতে এবং স্বিকার করতে সময়ের এবং যুগের সময়োচিত দাবি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়ের আরো সচেতন এবং দুরদর্শীজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে নতুবা তার অজ্ঞতার কারনে দল ও সরকারকে ছোট হতে হবে আর হচ্ছেতো বটেই। সংসদে অনেকে গলা ফাটাচ্ছে এবং নিলজ্জ্র্রের মত চুপা করে যাচ্ছে আবার কেউ কেউ সুন্দর ও যুক্তিনির্ভর বাস্তব তুলে ধরেছেন। আমি গর্ব করি এইক্ষেত্রে মাননীয় আইনমন্ত্রী ও জননেত্রী এবং সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার জন্য। হ্যা ইতিহাসের বাকে এখন মিথ্যার ফুলঝুড়ি। আর তা উপরে ফেলে অপসারন করতে হবে। সত্যের নৌকা সাতবার ডুবলেও সাতবারই ভেসে উঠে কিন্তু মিথ্যার নৌকা একবার ডুবলে আর কিন্তু ভেসে উঠতে পারে না। আর সেই সত্যের নৌকাই এখন ইতিহাসকে পূর্ণতা ও সঠিকতা দিয়েছে এবং দিয়ে যাচ্ছে। নৌকায় চড়েই স্বাধীনতা পেয়েছি আর নৌকাই চড়েই আগামীর লক্ষ্যে পৌঁছাব। তবে নৌকাকে আরো সতর্কতার সাহিত এবং স্বচ্ছতার সহিত পরিচালনা ও পরিচর্যা দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে।
স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্কে জড়ানো বোকামী ছাড়া কিছুই নয়; তারপরও বলতে চাই জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক নয় বরং তিনি একটি সাধারণ পাঠক মাত্র। আর এই পাঠক তালিকার তৃতীয় স্থান ছিল মেজর জিয়ার। তবে তিনি লোভি এবং স্বার্থপর ছিলেন যা তার ক্ষমতালোভী ভাষণে প্রকাশিত ছিল; আর পরবর্তীতে তিনি তা প্রমান করেও গেলেন। ২৭শে মার্চ মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর লিখা পাঠানো স্বাধীনতার ইশতেহার বা ঘোষণা যা সর্বপ্রথম শ্রদ্ধেয় হান্নান ভাই পাঠ করেছেন এবং তৎপরবর্তী সময় আরো অনেকেই পাঠ করেছেন আর অনবরত রেকর্ড বেজেই যাচ্ছে; সেই ভাষন পাঠ না করে নিজের নামে পাঠ করে বসেছে যা জনগন সহজে মেনে নেয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় কিন্তু মীর শওকত সাহেব জিয়াকে ডেকে শুধরানোর জন্য এমনকি বঙ্গবন্ধুর পাঠানো ভাষন পাঠ করার জন্য অনুরোধ করেন। তারপর পরিস্থিতির কথা ভেবে মেজর জিয়া ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর লিখা পাঠানো ভাষন হুবহু পাঠ করেন। সেই থেকেই মেজর জিয়া স্বাধীনতার পাঠক আর স্বয়ং ঘোষক এবং লেখক এমনকি জনক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব। তাই এই সত্যের বাইরে আর কোন সত্য নেই। এই সত্যের বাইরে যে মিথ্যা সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালাচ্ছে তা এখন ইতিহাসের কাঠঘরাই দাঁড়িয়ে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। এটাই নিয়তির নির্মম পরিহাস। আরেকটি বিষয় পরিস্কার করা দরকার যে, “পাপ কিন্তু বাপকেও ছাড়ে না”। আর তাই হলো জেনারেল জিয়ার ক্ষেত্রে। তিনি অগনিত মুক্তিযোদ্দা এবং ৫০০ এর অধিক বিভিন্ন বাহিনীর সৈনিক এর জীবন নাশ করেন বিভিন্নভাবে। তিনি একজন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ খুনী আর এর শাস্তি তিনি প্রকৃতির নিয়মে বিশ্বালয় থেকে পেয়েছেন যা কিনা বিশ্ববিবেক প্রত্যক্ষ করেছেন। তবে আমি তখন হাইস্কুল পড়ুয়া এক দুরন্ত যুবক। আমি যখন সংবাদটি শুনি তখন আমার চাচা খুবই খুশি যে সে একদিন ছুটি পাবে। জিয়ার মৃত্যুতে মানুষ যে কতভাবে খুশি হয়েছে তা আর বলার অবকাশ রাখেনি। তবে আমি শুনেছি জিয়াকে ব্রাশ ফায়ার করে ঝাঝরা করে ফেলেছে এমনকি তার লাশ এর অস্তিত্ব নেই। এই খবর চাউর হয়েছে বাংলার আনাচে – কানাচে। যার কোন অস্তিত্ব ছিল না তার লাশ কোথায় পেল? হ্যা রাজনীতির হাতিয়ার এবং ষঢ়যন্ত্রের কষাঘাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মরিয়ারা তখন বাংলার ভাগ্যাকাশ কালোমেঘে ঢেকে দিয়েছে মাঝার নাকটে অঘ্যাত বাক্সবন্ধি অশনি সংকেত মাটিচাপা দিয়ে। আজ সময় হয়েছে সেই অসত্যের প্রমানের এবং ঐ কালো মেঘ দূর করার; তাই নব উদ্যোগে প্রমান করে ঐ জঞ্জালকে চিরতরে নির্মূল করা হউক।
স্কুল কলেজসহ যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সচল রাখার প্রচেষ্টায় সকলের অংশগ্রহন অবিশম্ভাবী হয়ে পড়েছে তাই যার যার অবস্থান থেকে এই সম্ভাবনাময় কাজে সহযোগীতা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সচেতনতা বৃদ্ধি করে ভয়কে জয় করতে হবে আর ফিরিয়ে আনতে হবে সেই আত্মবিশ্বাসকে যা আজ বড়ই প্রয়োজন। সকল কিছুকে পিছনে ফেলে সুন্দর ও স্বচ্ছতাকে নিয়ে সুবুদ্ধির ডাকে সাড়া দেয়ার সময় এখন। আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে এর প্রতিফলন ঘটানো এখন বিশ্বময় একমাত্র দাবি। তাই আগামীর শিক্ষায় গুরুত্ব পাক সৃষ্টিকর্তার অভীপ্রায়। তাই আমরা এই নতুনকে সাজিয়ে তুলি সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ে। সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ের বাইরে সকল কিছুকে বিসর্জন দিতে প্রস্তুত হই আর কঠোর হয়ে ঐসকল বিষয়গুলোকে দমন করি। পরিশেষে বলি সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় এর নিশ্চিত বানী দিয়েই শেষ করতে চায়। “তোমাদের জন্য আমার পরিকল্পনার কথা আমিই জানি; আর তা তোমাদের মঙ্গলের জন্য, অপকারের জন্য নয়; সেই পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই তোমাদের ভবিষ্যতের আশা পূর্ণ হবে।” হ্যা এটিই এখন আমাদের আশা এবং ভবিষ্যতের জন্য একমাত্র পথ। এই পথেই অগ্রসর হওয়ার জন্য সকলকে সবিনয় আহবান জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.