মোঃ সোলেমান খান, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা ॥ কসবা পৌরসভার আকবপুর গ্রামে পাহাড় ও জমি কেটে পুকুর তৈরির বিষয়গুলো সরেজমিনে দেখে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিন। গত ৪ সেপ্টেম্বর কসবা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গণহয়রানী অভিযোগ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দৈনিক সমকালে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে এ সমস্ত বিষয়ে গ্রামবাসীর বক্তব্যে সাবেক কাউন্সিলর আবু তাহেরের গণনিপিড়নের নানা চিত্র প্রকাশ পায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল আমিন গত সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখতে আসেন সীমান্তঘেঁষা পাহাড় টিলা বেষ্টিত জনপদ আকবপুর গ্রাম। তিনি অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং গ্রামটি ঘুরে ঘুরে দেখেন।
পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফিরে যাওয়ার পথে এ প্রতিবেদকের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে বলেন; তিনি উভয় পক্ষকে এ সপ্তাহেই নোটিশ করবেন। কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। পরিবেশ নষ্ট করার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন; ২০১৩/১৪ সাল থেকেই পাহাড় কাটা শুরু হয়েছে। এ সমস্ত বিষয়ে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন ছিলো।
উল্লেখ্য সাবেক কাউন্সিলর প্রায় কোটি টাকার পাহাড়ের মাটি বিক্রী করলে গ্রামের সড়ক ভেঙ্গে পুকুরে ধসে পড়েছে। অন্যদিকে বাড়িঘর ভাঙ্গার উপক্রম হয়েছে। এমতাবস্থায় গ্রামের মোছলেম মিয়া ,ফেরদৌসী বেগম , হিরণ মিয়া উপজেলা প্রশাসনসহ পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
ফলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় সরকার দলীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটাচ্ছেন সাবেক কাউন্সিলর আবু তাহের। তবে সাংবাদিকদের সংগে তিনি তা অস্বীকার করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন; তদন্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই তিনি সরেজমিনে এসেছেন। তিনি বলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্্রম ধীরগতিতে সম্পন্ন হয়।