নীতি আর অপরাধ এখন একীভ’ত হয়ে নিরবে কাজ করে যাচ্ছে। নীতি কি এবং কিভাবে নীতিকে রক্ষা করা যায় তা আর ভাবার সময় নেই। সময় এখন নীতি ও অপরাধকে একত্রীকরণের এবং সময়োপযোগী করে ব্যবহার করার। অপরাধ এখন নীতিতে পরিণত হয়েছে। যা পৃথিবী এবং এর অধীনে সকল সৃষ্টির পর ছিল কিন্তু আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা ঐ অপরাধ এবং নীতিকে পৃথক করেছিলেন শরীয়ত দ্বারা। ঐ শরীয়তই এখন ধর্মীয় অনুশাষনে পর্যবসীত হয়েছে। শরীয়ত আসার আগে ভাল এবং মন্দকে পৃথক করার কোন মানদন্ড ছিল না। তাই তুর পাহারে আল্লাহ তায়ালা মূসাকে ১০টি শরিয়ত একটি লিপিবদ্ধ ফলকে দিয়ে পৃথিবীতে বসবাসকারী সৃষ্টির জন্য ন্যায় ও নীতির এমনকি ভাল ও মন্দের পৃথকীকরনের ব্যবস্থা উন্মুক্ত করেছিলেন। কিন্তু ফলকে খচিত শরীয়তদ্বয় মানুষের নৈতিক; পারিবারিক ও সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে শিকড় গেড়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি বা উঠার চেষ্টা করলে অঙ্কুরেই বিনাশ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তা হযরত মূসার মাধ্যমে শরীয়ত পৃথিবীতে নাযিল করেছিলেন আর ঐ শরীয়তের ১০টি নিয়ম বা আইনই এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তবে মানুষের তৈরী শরীয়ত বা আইন এখন পৃথিবীতে সয়লাভ হয়ে আছে। তৌরাত দ্বারা প্রণীত ঐ সৃষ্টিকর্তাপ্রদত্ত শরীয়ত বা আইন এখন পুরোনো বা অচলে পরিণত হয়েছে বা হতে যাচ্ছে কিন্তু কি তাই হওয়ার আর হবে? সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং নিজে ঐ শরীয়ত বা আইনকে পরিপূর্ণতা দিয়েছেন এমনকি পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন।
অপরাধ হচ্ছে এবং হবে তবে ঐ অপরাধের জাগতিক (পৃথিবীতে) শাস্তির বিধানাবলীর আলোকে ব্যবস্থা নেয়া অবিশম্ভাবী হয়ে পড়েছে। তবে যে সকল ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তার আলোকে সংশোধন বা শিক্ষার কোন দৃষ্টান্ত থাকছে না। যদিইবা শিক্ষা এবং দৃষ্টান্ত পরিলক্ষিত হতো তাহলে ঐসকল একই অপরাধ বা অনৈতিকতার প্রতিচ্ছবি বার বার ফুটে উঠত না। আমরা পৃথিবীর বিচারালয়ের যে ব্যবস্থা দেখছি তার পর্যালোচনা করার এখনই সময়। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত শরীয়ত ও আইন বা কাঠামোর আলোকে নেয়া পদক্ষেপ বা বিচারের ব্যবস্থা পুনরায় প্রতিস্থাপিত হওয়ারও প্রয়োজনীয়তা এখন হাতছানি দিচ্ছে। বিভিন্ন ধর্মের আলোকে স্ব স্ব ধর্মের দিক্ষা ও শিক্ষা এখন সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়ে বিরাজমান রাখাই যুগের উর্বর দাবি। মানুষের সিমাবদ্ধতা দিয়ে মানুষ শত চেষ্টা করেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা এমনকি চিরস্থায়ী শান্তির আবরণে পৃথিবীকে এমনকি সৃষ্টির সেরাজীব আশরাফুল মাখলুকাতকে তৃপ্ত করতে পারছে না বা পারবেও না। তবে সৃষ্টিকর্তার দেয়া বিধানের আলোকে এবং পৃথিবীর জ্ঞানের লব্দ অভিজ্ঞতার সংমিশ্রনে নতুনত্ব আনয়ন করে এগুলো আগামীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা; নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা বিধান সুনিশ্চিত হবে। তবে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে এই কাজটুকু সাধন করতে হবে।
কি দেখছি আর কি শুনছি ও পরছি ভাবতে পারছেন কি? একটু ভাবুন এবং আগামীর করণীয় ঠিক করতে সৃষ্টিকর্তার স্মরণাপন্ন হউন। কারণ সৃষ্টিকর্তা আপনাকে এবং আমাকে কিছু বলছে এবং আমাদেরকে ব্যবহার করে তাঁর ইচ্ছার বাস্তবায়ন এবং এর প্রতিফলন ঘটাতে চাচ্ছে। তাই এখনই সময় সৃষ্টিকর্তার আহবানে সাড়া দেয়ার ও সেই অনুযায়ী বিশ্বাস ও নির্ভরতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। আমাদের সঙ্গে কি হচ্ছে এবং চোখের সামনে কি ঘটছে তার আলোকেই দুরদৃষ্টি স্থির করা এখন সময়ের দাবি ও যুগের চাহিদা। নবযুগে পদার্পনের পূর্বে অবশ্যই আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তার স্মরণাপন্ন হতে হবে। কারন অন্যায় ও অপরাধ এর বিভিন্ন শাখা ও প্রশাখায় রং ও ঢংঙ্গে প্রকাশিত হচ্ছে। যার চকচকে ঝলমলে চাকচিক্যে আমরা সৃষ্টিকর্তা বিমুখতায় পর্যবসীত হচ্ছি। ফিরে আসা কঠিন কিন্তু সেই কঠিনকেও দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়ন করা যায় যদিনা আমরা সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় বুজে তাঁরই ইচ্ছায় বিশ্বাস ও নির্ভরতা নিয়ে অগ্রসর হয়। তবে এই সময় এর কোন বিকল্পও নেই। যেহেতু আমরা প্রত্যেকেই সৃষ্টিকর্তার মুখাপেক্ষি হতে হবে এবং সৃষ্টিকর্তার মাধ্যমেই জীবনের চীরসুখে সুখী হতে হবে তাই আর দেরী নয় বরং পৃথিবীর মায়া ও মোহকে প্রত্যাখ্যান করে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়ার কঠিন সপথ গ্রহন করে কার্যকর থেকে বাস্তবতার মুখাপেক্ষি হতে হবে।
আমি প্রতি সপ্তাহেই একটি লিখা সম্পাদকীয়তে উপস্থাপন করি এবং এটি করি বাস্তবতার নিরিখে এবং চারিদিকের ঘটে যাওয়া ঘটনার আলোকে। তবে এই লিখা কারো প্রতি বিদ্ধেশ নয় বরং সকলের প্রতি বিনম্র ও বিনয়ের সঙ্গে মিনতি নির্ভর আকুতি এবং আগামীর নির্ভুল দিকদর্শন মাত্র। কেনাকাটায় অসচ্ছতা, খুনের স্বীকার এবং এর পরিণতি, বিভিন্ন অপরাধের প্রকাশিত শাস্তি, বিভিন্ন বিষয়ে দায়িত্বহীনতার পরিচয়, ব্যাবসায় অবৈধ পথে অগ্রসরমান অন্যায়, বরখাস্ত এবং অনিদিষ্টকাল বন্ধ ঘোষনা, বিজ্ঞানের ভুল যাত্রা ও ভুল শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা (পৃথিবী গোল; আসলে পৃথিবী সমান্তরাল; পৃথিবী গোল নয়)) আরো অনেক কিছু তবে প্রমানসহ হাজির হব)), ব্যক্তি, সামাজিক, রাজনৈতিক, রাষ্ট্রিয় ক্ষতির মানষিকতা, টিকা তেলেছমাতি এবং টিকার ফটো আইডি, হার-জিতে অনিহা, নেতৃত্ব এবং যোগ্যতা, শিক্ষা ব্যবস্থায় সততা এবং ন্যায্যতা ও যুগোপযোগী উদ্ভাবনীর সম্মিলনসহ আরো অনেক যা সকলেরই জানা। এই সকল বিষয়ালোকে আমরা আগামীর দিকদর্শন ঠিক করে নির্দেশনায় যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়ে জাতির কল্যানের তরে বাস্তবায়ন করে দৃশ্যমান রাখতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করি। নীতিকে অপরাধে পরিণত না করি এবং অপরাধকে নীতিতে পরিনত আর না করি। নীতি এবং অপরাধকে দুটি ভিন্ন শব্ধে এবং ভিন্ন অর্থে পৃথক করতে সক্ষম হতে উপযুক্ত হই। নীতি বিসর্জনের রীতিতে নিজেদেরকে আর না জড়ায় এবং অপরাধের শাখা প্রাশাখাই আর নিজেদেরকে যুক্ত না করি বরং ঐ চাকচিক্যের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে এসে নিজেদের প্রয়োজনীয় যোগানের আগামীর উপাদান নির্বাচন করি। নিজেদের জীবন ও কর্মকে মানবতার কল্যাণে উৎসর্গ করি। যে গুণ ও জ্ঞান এবং দান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত তা সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ে-ই ব্যবহার করি। নিজের মনগড়া এবং পৃথিবীর আকর্ষণের তাড়নায় চাকচিক্যের প্ররোচনায় আর গ্যাঁ ভাসিয়ে না দেই।
আমাদের দেশের কল্যাণে সরকার মরিয়া হয়ে নীতিমালা এবং প্রযুক্তি ও পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়নে কঠোরতা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। সবই সুদূর প্রসারী এবং জাতির কলাণে। কিন্তু এই কল্যাণের প্রয়োজনীয়তা এবং এর গভিরতা জাতির জানা প্রয়োজন এবং উপলব্ধি করাও দরকার। আর সেই প্রয়োজনীয়তা জানাতো এখনও দুর্বলতায় পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং আমি বলব গাফিলতি হচ্ছে। যাতে করে জাতি এই উন্নয়ন ও পরিকল্পনায় মনোযোগী না হয়ে অন্যদিকে মনোযোগী হয়ে পড়েছে। স্ব স্ব অবস্থান পাকাপোক্ত করণে এখন অনেকেই মনযোগী তাই উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয়তা এবং করনীয়তে মনযোগ ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে বলতে হচ্ছে যার লাগিয়া করিলাম চুরি সেই ডাকে চোর এই প্রবাদের বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হবে। সরকারের জ্বালানি নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা হচ্ছে এবং হবে তবে ঐ পরিকল্পনায় সূদুরপ্রসারী প্রচ্ছন্ন চিন্তার ছাপ রাখা এখন জরুরী হয়ে পড়েছে। মুল্যবৃদ্ধি মাঝে মাঝে গ্রহনযোগ্য কিন্তু ঘন ঘন বৃদ্ধি হওয়া বেমানান এবং এর রেশ টেনে ধরতে না পারলে হয়তো আগামীর চিত্রে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হতে বেশী সময় লাগবে না। বাঙ্গালি হুজুগে মাতাল (পাগল) এবং যে কোন সময় জ্বলে উঠতে পারে আবার নিভেও যেতে পারে। দরকার শুধু একজন উপযুক্ত আহবানকারীর এবং উপযুক্ত সময়ে চেতনায় উৎসাহদানকারীর। তাই কোনকিছুই দুর্বল ভেবে নিজের অজ্ঞতার মনগড়া ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়ার মানসিকতা দৃশ্যমান না রাখতে অনুরোধ জানাচ্ছি। কারন আমরা চাই টেকসই উন্নয়ন এবং জাতির কল্যাণের তরে সকলকিছুর বহমান অব্যাহত অগ্রযাত্রার চলমান ধারাবাহিকতা। এই ক্ষেত্রে আমি এও বলব নিজেদের জ্ঞান ও বুদ্ধির সঙ্গে সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় এবং জ্ঞান ও বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে। যদি আমরা সৃষ্টিকর্তার জ্ঞান-বুদ্ধি ও অভীপ্রায়কে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আপরাধ এবং নীতি পরিচ্ছন্ন হবে। অপরাধ এবং অপরাধিকে আলাদা করা সহজ হবে এবং নীতি ও নৈতিকতাকে আদর্শ হিসেবে চিহ্নিত করে জীবনের প্রয়োজনীয়তাই ব্যবহার করা কার্যকর হবে।
নীতি ও অপরাধ সমাজ, সংসার এবং রাষ্ট্র থেকে বিতারিত হউক। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত জ্ঞানের ব্যবহারে নীতি সমুজ্জ্বল হউক, অপরাধ ঢাকা পড়ুক। মানুষ ফিরে আসুক সৃষ্টিপূর্ব খোদার পরিকল্পনার বাস্তবায়নস্বরূপতায়। পৃথিবী ফিরে পাক তাঁর স্বকীয়তা এবং নিজস্ব গতি। মানুষ বিচরন করুক আনন্দালোকে এবং খোদার ইচ্ছায় পৃথিবী থেকে বিতাড়িত হউক সকল অনৈতিক নীতি এবং অপরাধবোধ ও অপরাধের সৃষ্টি নীতিগুলো। আর নয় জঞ্জাল ঘেড়া অপরাধ; আর নয় অমঙ্গলের ভেড়াজালে পড়ে করা অপরাধ এবং এই আঙ্গিকেই আপরাধ নীতি। তবে এখনই সময় ঐ সকল পঙ্কিলতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত হওয়ার এবং ফিরে পাওয়া পুণাঙ্গ শান্তি ও স্থিতিশীল জীবনের নিশ্চয়তা আর নিরাপত্তার অভয়ারণ্য। আসুন আমরা আমাদের করণীয়তে সেই তৌরাত এর দশটি শরীয়ত যা খোদার দেয়া আইন হিসেবে সর্বপ্রথম পৃথিবীতে বর্তায়েছিল তাতে মনোনিবেশ করি। তৎপরবর্তী বিধি ও বিধানের সঙ্গে ঐ দশটি আদেশ বা হুকুম অথবা নির্দেশককে যুক্ত করে পুর্ণাঙ্গ বিধানের আলোকে সামনে অগ্রসর হতে চেষ্টা শুরু করি। তাহলেই দৃশ্যমান সকল অপরাধ এবং এর সম্পৃক্ত নীতি বিসর্জন হবে। আগামীর কল্যাণে শুভ হউক আমাদের সকলের ইতিবাচক পথচলা এই কামনায় শুভ এবং নব উদ্যমে নতুনের প্রত্যাশায় অগ্রসর হওয়ার নিমিত্তে সকলকে করজোরে মিনতি জানাচ্ছি।