জীবন ও জাতি গঠনে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম; তথ্যমন্ত্রী

প্রশান্তি ডেক্স ॥ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, জীবন ও জাতি গঠনে গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আজ গত শুক্রবার সকালে ইমপ্রেস গ্রুপের কার্যালয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেল আইয়ের সম্প্রচারের ২৩তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ, সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন, সাদী মহম্মদ, চ্যানেল আইয়ের পরিচাল শাইখ সিরাজ প্রমুখ। চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর অনলাইন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। চ্যানেল আইকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জীবন ও জাতি গঠনে কাজের
একটি অন্যতম উদাহরণ চ্যানেল আই। বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ২২ বছর ধরে কাজ করছে চ্যানেল আই এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে আশা করি।’ আইনানুসারে বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী চলমান ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশি টিভি ক্লিনফিড না চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশের চ্যানেলে লগ্নি হয়, যা দেশে লগ্নি হতো। আইন ভঙ্গ করে বিদেশি চ্যানেলে যদি না দেখানো হতো, তবে দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হতো, অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি লাভবান হতো।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ক্লিনফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী-সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগস্ত হচ্ছে। সে কারণেই আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি।’
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে, খসড়া সম্পন্ন হয়েছে। নীতিমালা পাস হলে প্ল্যাটফর্মগুলোকে তা অনুসরণ করতে হবে এবং কোনো ব্যত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এটকো) এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে কমর্রর সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। এ বিষয়ে বিজেসির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি লিখিত বিবৃতি পাঠানো হয়েছে।
বিজেসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০০৬ সালের কেব নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনে এ বিধান থাকলেও এর আগে কখনোই এটি কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। এতে দেশি টেলিভিশন চ্যানেল শিল্পের আর্থিক সংকট কমবে এবং উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সম্প্রচারকর্মীরাও এর সুফল পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.