কসবায় যুবদলের আনন্দ মিছিলে পুলিশের বাধা

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ দুই গ্রুপের সংঘর্ষের আশংকায় নবগঠিত যুবদলের আনন্দ মিছিল ছত্রভংগ করে দিয়েছে পুলিশ। গত সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের অনন্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিক সহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। পুলিশের দাবী তাদের অনুমতি ছাড়াই এ আনন্দ মিছিলের নামে জনসমাগমের আয়োজন করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়; সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রহমান সানির বড় ভাই কবির আহাম্মদের অনুসারী যুবদলের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে এককভাবে উপজেলা যুবদল ও পৌর যুবদল নামে দুটি পকেট কমিটি ঘোষনা করা হয়। এ কমিটি বাতিলের দাবীতে এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গত বছরে ঘোষিত যুবদলের কমিটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সংবাদ সম্মেলন ও ঝাড়– মিছিল সহ বিক্ষোভ কর্মসূচী করে ।
গত সোমবার নবগঠিত পৌর যুবদল কমিটির নেতৃত্বে উপজেলার সকল ইউনিয়নের যুবদলের নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রদলের শত শত কর্মী সমর্থকরা আনন্দ মিছিল করতে পৌর শহরতলীর বিনাউটি ইউনিয়নের অনন্তপুর এলাকায় জড়ো হয়। মিছিল নিয়ে পৌর শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে পুরাতন কমিটির লোকজনের সাথে সংঘর্ষের আশংকায় পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। মিছিলে বাধা নিয়ে পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ছত্রভংগ হয়ে গিয়ে যুবদলের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এটিএন নিউজের পুর্বাঞ্চলীয় ব্যুরো প্রধান পীযুষ কান্তি আচার্য্য, সময় টিভির ক্যামেরাম্যান জুয়েলুর রহমান সহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম ইমু নামে এক যুবদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নবগঠিত উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুল হক ভূইয়া দীপু বলেন; উপজেলা যুবদল ও পৌর যুবদল নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ উপজেলার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আনন্দ মিছিল বের করি। পুলিশ বিনা কারনে আমাদের শান্তিপুর্ণ মিছিল পন্ড করে দেয়। পুলিশ আমাদের এক কর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে এবং বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তিনি এঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী করে আটককৃত সিরাজুল ইসলাম ইমুকে ছেড়ে দেয়ার দাবী জানান।
নবগঠিত ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ বলেন; থানা পুলিশের অনুমতি নিয়েই আমারা আনন্দ র‌্যালীর আয়োজন করি। কিন্তু পুলিশ কোনো কারন ছাড়াই আমাদের মিছিলে বাধা দিয়ে আনন্দ র‌্যালী ছত্রভংগ করে দেয়। পূর্ব ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মো.কামাল উদ্দিন বলেন; নবগঠিত উপজেলা যুবদল ও পৌর যুবদল পকেট কমিটির নেতাদের আনন্দ মিছিল নিয়ে পৌরশহরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। প্রতিরোধের মুখে এরা ছত্রভংগ হয়ে পালিয়েছে।
এ বিষয়ে কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন, কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা যুবদল ও পৌর যুবদলের নেতৃবৃন্দ এ আনন্দ র‌্যালীর আয়োজন করে। এছাড়া নতুন কমিটি বাতিলের দাবীতে অপর একটি পক্ষ বিভিন্ন প্রকার প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা নিচ্ছে তাই এলাকার শান্তি শৃংখলা রক্ষায় এবং দুই পক্ষের সংঘর্ষের আশংকায় তাদের মিছিল ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.