ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমন্তবর্তী একটি উপজেলা কসবা পৌরসভা বাংলাদেশের একটি অন্যতম দ্বিতীয় গ্রেডের পৌরসভা। দেশের ৭ম ধাপে নির্বাচনের হাওয়া বইছে অনেক জেলা ও উপজেলায়। তবে এই ধাপে নির্বাচন হতে যাচ্ছে শুধুমাত্র কসবা পৌরসভায়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর পৌরসভার তফসিল ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশন। আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই পৌরসভার নির্বাচন।
আসন্ন এই নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ চলছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন একাধিক প্রার্থী। তৃণমুলে যারা দলীয় মনোনয়ন গ্রহন করেছিলেন তাদের মধ্যে বর্তমান মেয়র মো.এমরান উদ্দিন জুয়েল, সাংবাদিক মো.সোলেমান খান, উপাজেলা যুবলীগ সভাপতি এমএ আজিজ, শ্রমিকলীগ নেতা মো.জামিল ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের মাহবুবুর রহমান। করোনা জনিত কারনে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর কার্যালয় থেকে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রিয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
ফলে ইতোমধ্যে দলীয় কেন্দ্রিয় কার্যালয় থেকে গত শনিবার মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমএ আজিজ এবং গত রবিবার বিকেলে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন পৌরসভার বর্তমান মেয়র মো.এমরান উদ্দিন জুয়েল ও শ্রমিক লীগ নেতা মো. জামিল ও এমজি হাক্কানী। অপরদিকে তৃণমুলের মনোনয়ন পত্র গ্রহন না করে কেন্দ্র থেকে সরাসরি মনোনয়ন পত্র গ্রহন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কসবা উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এমজি হাক্কানী। অন্যন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগামী ৬ অক্টোবরের মধ্যে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে পারে বলে জানা যায়। তবে সাংবাদিক মো.সোলেমান খান এই পরিস্থিতিতে মনোনয়ন পত্র গ্রহন করবেন না বলে জানিয়েছেন। জানা যায়, গত আগষ্ট মাসে করোনায় তার দুই বোন ও এক ভাইয়ের মৃত্যুতে পরিবার ও শুভাকাঙ্খীদের পক্ষ থেকে তাঁকে নির্বাচনে অংশগ্রহনে নিষেধ দেয়া হয়েছে।
এক কথায় পৌর এলাকার নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের মাঝে এখন জানার প্রবল ইচ্ছা কে পাচ্ছেন পৌরসভার মনোনয়ন। সম্ভাব্য প্রার্থীর সমর্থকরা দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন ভোটারদের বাড়ী বাড়ী এবং প্রার্থীরা মসজিদে মসজিদে জিলাপী ও মিষ্টি দিয়ে গত শুক্রবার মিলাদ পড়িয়ে দোয়া চেয়েছেন। এছাড়াও রাস্তার মোড়ে ব্যানার, গাছে গাছে ফেষ্টুন লাগিয়ে, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে, এলাকার খেলাধুলায় অতিথি হয়ে ভোটারদের জানান দিচ্ছেন তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে মাঠে আছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রতি নিজেদের আকৃস্ট করতে এবং এলাকার সাংসদ আইনমন্ত্রীর নজর করতে এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন সম্ভাব্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তবে সকল প্রার্থীরা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করে আইনমন্ত্রী সহ কেন্দ্রিয় নেতাদের কাছে ধর্ণা দিচেছন।