আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ক ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়েছে। আর তার জেরেই খানিকটা ‘রুষ্ট’ রাশিয়া। সেই ‘রাগ’ ভাঙাতে এবার মস্কোর সঙ্গে ‘টু প্লাস টু’ আলোচনার ‘মেকানিজম’ বানাল ভারত। নভেম্বরেই রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারতের দুই মন্ত্রী। যদিও সম্প্রতি দুদেশের সম্পর্কের বরফটা অনেকটাই গলেছে।
এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরই ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে। নভেম্বরের আলোচনাচক্রে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেকগুলি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত, চীনা আগ্রাসন রুখতে চার দেশকে নিয়ে কোয়াড গড়েছে আমেরিকা। সেই অক্ষে রয়েছে ভারতও। পাশাপাশি, আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে ‘টু প্লাস টু’ আলোচনার ‘মেকানিজম’ বানিয়েছে ভারত। একই আলোচনা চক্র তৈরি হয়েছে আরও দুটি দেশের সঙ্গে। জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। দুটি রাষ্ট্রই আবার আমেরিকার মিত্র রাষ্ট্র। ভারতের এই আমেরিকা ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রকাশ্যেই উষ্মা প্রকাশ করেছিল মস্কো। সেই উষ্মা নিয়ে প্রথমদিকে মাথা ঘামায়নি নয়াদিল্লি
এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালেবান। আর এই জেহাদি গোষ্ঠীর উত্থানে চিন্তা বেড়েছে ভারতের। এমন আবহে নয়াদিল্লির পাশে দরকার মস্কোকে। সেকথা মাথায় রেখেই এবার রাশিয়ার সঙ্গে ‘টু প্লাস টু’ আলোচনার ‘মেকানিজম’ গড়ে তুলছে ভারত। এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের। তবে ভারতের এই পদক্ষেপে ওদিকে আবার আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন যে চটবে, তা বলাই বাহুল্য। নয়াদিল্লি সেই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেয় তার দিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।
এদিকে, আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের থেকে পড়শি দেশগুলো আদৌ সুরক্ষিত কি না, তা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ১০-১১ নভেম্বর একটি সম্মেলনের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। পাকিস্তানের পাশাপাশি, চীন, তুরস্ক, ইরান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানের মতো দেশকেও বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের ডাকা একটি সম্মেলনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মইদ ইউসুফ।