সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চায় কোরিয়া

আন্তজার্তিক ডেক্স \ বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘দৃঢ় সম্পর্ক’কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান ঢাকায় ওই দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন। এ ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দিতে চান। তিনি বলেন, ২০২৩ সালে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী বিদ্যমান শক্তিশালী সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশকে এখন সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোকে বৈচিত্র্যময় করতে হবে।’
গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের’ ‘বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। প্রখ্যাত কূটনীতিক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। রাষ্ট্রদূত লি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে উদারতা, বৈচিত্র্য ও প্রজন্ম—এই তিনটি মূল শব্দকে বিবেচনায় নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যাদের অধিকাংশ জনসংখ্যাই বয়সে তরুণ, যারা এ বিষয়গুলোতে মনোযোগ পাওয়ার যোগ্য।’
আলোচক প্যানেলে আরও ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ইয়াংওয়ান কর্পোরেশন এবং কেইপিজেড কর্পোরেশন (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও কিহাক সুং, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও মোহাম্মদী গ্রুপের চেয়ারপারসন ড. রুবানা হক, দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ইফতিখারুল করিম এবং রিসার্চ ফেলো ও বাংলাদেশ সেন্টার ফর টেররিজম রিসার্চের (বিসিটিআর) প্রধান শাফকাত মুনীর।
এনায়েতুল্লাহ খান রাষ্ট্রদূতের কথার সূত্র ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্ক বেশ চমত্কার এবং ভবিষ্যতে আরও উজ্জ্বল হবে। আমি আশা করি, আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর এবং বিস্তৃত হবে। আমি বলব, আমরা বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের একটি কৌশলগত অংশীদারী উপভোগ করব।’
ড. ইফতেখার চৌধুরী বলেন, কোরিয়া এশিয়া অঞ্চলে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। কোরীয় মডেলটি অনুকরণের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ড. দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশের পরও দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারের পূর্ণ সুবিধা নিতে পারেনি এবং পোশাক ও চামড়ার বাইরে পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো বৈচিত্র্য আনতে পারেনি যেটা একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে তার জন্য খুবই বেদনার বিষয়। কিহাক সুং তার বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডের টেক্সটাইল জোন বাংলাদেশে একটি ‘টেক্সটাইল হাব’ হয়ে উঠবে। এটি ব্যবসাকে আরও তরান্বিত করবে। ইফতিখারুল করিম বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন প্রথমেই দ্বিপক্ষীয়, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সার্বভৌমত্ব,পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ওপর জোর দিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়মিত, পর্যায়ক্রমিক দ্বিপক্ষীয় সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সম্পর্ককে লালন ও শক্তিশালী করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.