সাভার প্রতিনিধি \ ঢাকার ধামরাইয়ে মসজিদের জমি দখলের প্রতিবাদ করায় মো: রিপন হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক শিক্ষক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ধামরাই থানার কাওয়ালী পাড়া পুলিশ এসে কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। এর আগে গত ১২ নভেম্বর সকালে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের বাঙ্গলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, ধামরাইয়ের চৌহাট ইউনিয়নের বাঙ্গলা গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫) মহিউদ্দিন (৪০) ও সাইফুল ইসলামের ছেলে আল মাহমুদ পলাশ (২০)। ভুক্তভোগী মো: রিপন হোসেন একই গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে।
লিখিত অভিযোগ সূত্র ও ভুক্তভোগী মো: রিপন হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৪-৫ বছর আগে বাঙ্গলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রায় ৪-৫ ফুট জমি দখল করে বাসভবন নির্মান করেন অভিযুক্তরা। পরে গত বছর এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে তাকে সতর্ক করা হলে তিনি বাড়ি সরিয়ে নেবেন অথবা মসজিদের নিরাপত্তা দেয়াল করে দেবেন বলে জানান। তবে দীর্ঘদিনেও কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ঘটনার দিন তাকে তাগিদ দেন ভুক্তভোগী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কাওয়ালীপাড়া জনকল্যাণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
জানতে চাইলে মো: রিপন হোসেন বলেন, ‘মসজিদের জমি দখল নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সে আমার ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে উপর্যুপরি মারধর করতে থাকলে আত্মরক্ষার জন্য আমি পাশের চায়ের দোকান থেকে লাঠির মতো একটা বস্তু দিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করি। পরে আশপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পরেরদিন বহিরাগত লোকজন এসে তারা আমার বাড়িঘর ঘেরাও করে আমাকে খুঁজতে থাকে। তারা বলেছিলো এটা এলাকাগত ভাবে বসে মিটমাট করবে। কিন্তু পরে জানতে পারি তারা আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। পরে আমিও প্রাণভয়ে আইনী ব্যবস্থা নিলাম।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একই এলাকার মুদি দোকানদার মো: নাজিম উদ্দীন (৪২) বলেন, আমি দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পাই মসজিদের জমি দখল নিয়ে তর্কাতর্কি চলছে। একপর্যায়ে তারা ৩ জন মিলে রিপনকে মারধর শুরু করে। পরে আমি এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। সাইফুলের পরিবার এর আগেও এলাকার বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছে। বয়োজ্যেষ্ঠ গুতু ব্যাপারী, টনক আলী ও হানিফ আলীকেও তুচ্ছ বিষয়ে মারধর করেছিলো। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি কল কেটে দেন। এ বিষয়ে ধামরাই থানার কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) রাসেল মোল্লা বলেন, বিষয়টির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছে। তদন্ত শেষে করে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেবো।