প্রয়োজন নির্বাচন করা এখন সময়ের প্রধানতম প্রথম চাহীদার অগ্রজে আর পদক্ষেপ গ্রহন হলো বাস্তবতার এক যুগোপযোগী উর্বর দাবী; যার মাধ্যমে জীবনের গতিপথ কুসুমাস্তির্ণ হয় এবং সকল দিক থেকেই শান্তি ও স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তার পরিপূর্ণতা বাস্তবে দৃশ্যমান হয়। মানুষ এখন প্রয়োজনের দিকে দৌঁড়াবে এবং দৌঁড়াচ্ছে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমাদের রাজনীতিকেরা এই প্রয়োজনকে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টোপথে দৌঁড়াচ্ছে কতিপয় নেতাদ্বয়। বর্তমানে কি প্রয়োজন আর ভবিষ্যতে কি প্রয়োজন এই বিষয়গুলো যেন ভুলে গিয়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনকেই গুরুত্ব দিয়ে রাজনীতির মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এইদিকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, ব্যক্তিগত প্রয়োজনের দিকে এখন আর জনমত এমনকি দলমতও গর্জে উঠেনা; বরং সামষ্টিক প্রয়োজন ও রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনই গুরুত্বের অগ্রজে প্রধান্য পায় আর এর যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই বঙ্গবন্ধর আমল থেকেই। তার প্রমান এবং ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে আজও এবং থাকবে যতদিন এই বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী পৃথিবীর বুকে টিকে থাকবে। হিসেব নিকেশের গড়মিল হলেই ছিটকে যেতে হয় গতিময়তা এবং কক্ষপথ থেকে এরই ধারাবাহিকতা বার বার উকি মেরে ঝকি দিয়ে চেতনা প্রদর্শন করান। তবে এই চেতনায় যারা সাড়া দেন তারাই টিকে যান আর যারা সাড়া নাদিয়ে মনগড়া ইচ্ছা বা ব্যক্তিগত ইচ্ছার বহি:প্রকাশ ঘটাতে চান তারাই আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে।
কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই এই সম্পাদকীয়তে: যেমন ধরুন বিএনপি আজ মরিয়া হয়ে উঠেছে ব্যক্তিগত প্রয়োজন মিটাতে। তবে এই প্রয়োজন কার এবং কিসের জন্য তাও এখন স্পষ্ট নয়; তবে রব উঠেছে চিকিৎসা এবং বিদেশ যাত্রা নিয়ে। তবে আইনের উদ্ধে কেউ নন এই কথাটি বাস্তবে সত্য। তবে এর বাইরেও কিছু একটা হয় যদি গোপন যোগাযোগ এবং চুক্তিটি পাকাপোক্ত হয় উভয়েরই সম্মতিতে এবং সেই সম্মতির বহি:প্রকাশ জনগত প্রত্যক্ষ করে কিন্তু চুক্তিটি সম্পর্কে অন্ধকারেই থাকে। তবে যৌক্তিক বিষয় হলো খালেদা জিয়া যেভাবেই হউক তিনি দন্ডপ্রাপ্ত সাজাভোগকারীনি আর এই সত্যক্যে সকলকেই মেনে নিতে হবে; যারা সত্যকে মিথ্যার আলোকে অস্বিকার করে সরকারের সদয় বিবেচনা ও সহানুভুতি কামনা করছেন তারা বোকার স্বর্গে বসবাস নয় ভুমিষ্টও হননি। তবে আমি বলতে চাই আপনারা সত্যকে মেনে নিয়ে সত্যের আলোকে চেষ্টা চালান। জনগণ নয় বরং সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের মাধ্যমেই এই চিকিৎসা সংকট উত্তরণ সম্ভব। তবে জনগণকে এই অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখাতে বিএনপির প্রতি অনুরোধ, আপনারা নয় বরং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা যার তত্বাবধানে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন সেই মাধ্যম থেকে প্রতিদিন একটি মিডিয়া ব্রিফিং প্রকাশ করা হউক। আর সেই আলোকেই দেশবাসী দোয়া এবং তাঁর পক্ষ হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা প্রার্থনা করুক। তাহলে বিষয়টির স্বচ্ছতা আর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, প্রতিদিনের মুমুর্ষ অবস্থার ছবিও ছাপানো যেতে পারে গ্রহণযোগ্যতা এবং আবেগের জায়গাটুকুই পরিস্কার হয় এবং টনক নড়ে। তবে বর্তমানে যেসকল ছবি প্রকাশ হচ্ছে তাতে সমালোচনা এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের কলরব বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন ছবিতে ম্যাক-আপ ও ভ্যুরুপ্লাগ এইসকল যা একজন মুমুষ্য রোগীর ক্ষেত্রে প্রযোয্য নয়। অপরদিকে সরকারকে গালাগালি এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য ও জনগণের কাছে করজোরে মিনতি যেন হাস্যকর তামাসায় পরিণত হয়েছে মাত্র। যার দয়ায় তিনি এখন মুক্ত এবং যাদের দয়াতেই তিনি আগামী দিনের সুস্থ্য হওয়ার সুযোগে বাধিত হবেন সেই তাদেরকেই বাদ দিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করা বোকামীর তলানীতে নিমজ্জ্বিত হওয়া ছাড়া আর বেশী কিছু নই। সরকার খালেদা জিয়ার খোজ খবর দলের এবং পরিবারের চেয়ে বেশী অবগত তাই নোংরামী ও চালাকী ছেড়ে সঠিক পথে এগিয়ে আসুন এই আহবান করছি।
কোন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতেই যেন এই সময়ের বুদ্ধিজীবিরা হিমসীম খাচ্ছেন। দেখে মায়া হয় ঐ বুদ্ধিজীবিশ্রেণীর জন্য। ঐ বুদ্ধিজীবিদের তালিকায় বেশীরভাগই এখন বিএনপি দলের ছত্রছায়ায় আর যারা বাকী রয়েছেন তারা সুযোগ বুঝে কাজ করেন। যেমন ঝুপ বুঝে কুপ মারা বুদ্ধিজীবিদ্বয়। আসুন বর্তমানের সাথে তাল মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। যুগের চাহিদায় নতুন করে যুক্ত হওয়া কতগুলি বিষয় নিয়ে যেমন সড়ক পথে মৃত্যু আর সড়ক পথের নৈরাজ্য। এই নৈরাজ্যের অবসানকল্পে সরকার এবং সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ একযোগ্যে কায়মনোবাক্যে এগিয়ে আসতে হবে। এই ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সরকারের পরিচালনায় বি আর টি সি অগ্রজে থেকে অনুসরণকারীর ভুমিকায় অবতীর্ণ। তবে মালিকপক্ষকেও ঐ পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে গেলে জনগণের প্রতি ব্যবসায়ীক দায়বদ্ধতার লাগব হবে এবং আগামীর অসন্তোষ সন্তোষে পরিণত হবে। তবে দুর্ঘটনাগুলো কমিয়ে আনার জন্য মালিক, শ্রমিক এবং জনগণের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার যোগসাজস আরো বাড়ানো দরকার। রাস্তায় চলাচলের উপর শিক্ষামূলক প্রচারণার যুগান্তকারী বাস্তব জ্ঞান’র বৃদ্ধির ব্যবস্থায় সোসাল মিডিয়া এবং পাঠ্যপুস্তক এবং মসজিদ, মন্দির, গীর্জায় আলোচার মাধ্যমে জ্ঞান বৃদ্ধিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কারো উপরে একক দোষারূপ করা থেকে বিরত থেকে সামষ্টিকভাবে এই দোষারূপের সংস্কৃতিকে মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। একজনের মৃত্যুতে আরেকজনের ফাঁসিতেই এর শেষ নয় বরং আরো ব্যপ্তি বৃদ্ধি পায় যার প্রমান এই বর্তমান। তবে কিভাবে এর শেষ করা যায় সেইদিকে দৃষ্টিপাত দেয়া এখন সময়ের নতুন দাবি। তবে সৃষ্টিকর্তার প্রতি নির্ভরশীলতা ও বিশ^াসের পরিধি বাড়াতে স্ব স্ব ধর্মের শিক্ষায় জ্ঞান ও বিবেক-বুদ্ধি বৃদ্ধি করতে হবে। আর তখনই সমস্ত বিরাজমান অরাজকতা লাঘবে নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে।
সংসদে গিয়ে গলা ফাটিয়ে বা চেচিয়ে বলা মিথ্যা কিন্তু কোন সমাধান নয় বরং সংসদে সমালোচনা এবং পরামর্শের মাধুয্য বৃদ্ধিতে মনযোগ আকর্ষন করছি। দৃষ্টিনিবন্ধ করতে হবে পারস্পরিক সম্প্রিতির উপর। কারণ আজকে যারা সরকারে আগামীতে তারাও বিরোধী অবস্থানে আসবে এবং আজকে যারা বিরোধী অবস্থানে তারাও আগামীতে সরকারী অবস্থানে আসবে; তাই আগামীর সংসদকে কুসুমাস্তির্ণ এবং পরিস্কার ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তীতে উজ্জ্বল করার পথ প্রসস্থ্য করার এখনই উর্বর সুযোগ। জনগণ এখন আর ঝগড়া ও চেচামিচিকে পছন্দ করেন না বরং সুন্দর ও প্রাঞ্জল ভাষায় যুক্তিনির্ভর পরিচ্ছন্ন এবং গ্রহণযোগ্য আচরণ ও শিক্ষণীয় এমনকি আগামীর কল্যাণের জন্য গ্রহণযোগ্য পরামর্শকে সাধুবাদ জানায়। আরো দেখতে চাই শিক্ষনীয় দৃষ্টান্ত এবং ভুল শুধরিয়ে সামনে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সমূহ প্রচেষ্টাসকল। সাম্য ও ভাতৃত্বের বন্ধনের গতিময়তার সুতিকাঘার হিসেবে সংসদকে প্রাণবন্ত করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রসস্থ করাই হউক বর্তমান এবং আগামীর দাবী। যে সকল সংসদ সংসদে সুন্দর ও মার্জিত এবং শিক্ষনীয় শিষ্টাচার অব্যাহত রেখেছেন তাদেরকে সাধুবাদ জানাই এবং যেসকল সংসদ মিথ্যা এবং কুরুচিপূর্ণ আচরণের এমনকি চেচামেচির কারুকার্যে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছেন তাদেরকে করজোরে মিনতি করছি যেন আগামীর কল্যাণে নিজেদেরকে পরিবর্তন করে পরিবর্ধীত ইতিবাচক কর্মকান্ডে নিয়োজিত রাখেন। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তাঁর ধৈয্য এবং সহ্যগুণের জন্য আর রাষ্ট্রপতি এবং আইন মন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই জ্ঞাননির্ভর ইতিহাসের ধারাবাহিকতা এবং আগামীর করণীয়তে কাজ করার জন্য। এগিয়ে যান এবং যাবেন সকলে একযুগে এই প্রত্যাশা করি এবং সকলকে মহান রাব্বুল আল-আমীনের নিকট জবাবদীহির মনোভাবে পরিপূর্ণ হয়ে মানব সেবায় ও জনকল্যাণে কাজ করার জন্য বিনীত অনুরোধের সহিত মিনতি করি এবং সবিনয়ে করবোজে আবেদন রাখছি।
রাজনীতিবিদদের দরকার সমুদ্রে, জলে ও স্থলে এমনকি আকাশপথের নিরাপত্তায় কাজ করা। তাই প্রয়োজন নির্বাচন ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবী। তাই এই প্রয়োজন নির্বাচনে সময় নিয়ে উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত প্রয়োজন বেঁছে নিয়ে আগামীর কল্যাণে উপযুক্ত পদক্ষেপে অগ্রসর হউন। ক্ষমতা নয় বরং সময় ও সুযোগকে সেবায় পরিণত করুন। নিজের কল্যাণে নয় বরং সামষ্টিক কল্যাণে নিয়োজিত হউন নিবেদিত কর্মীহিসেবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে জ্ঞান-বুদ্ধি ও চেতনায় পরিপূর্ণ করুক এবং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় পরিচালিত করে মানব সেবার মানদন্ডকে সঠিক পথে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাক এই কামনা ও আকাঙ্খা এবং ইচ্ছা পোষণ করি। সৃষ্টিকর্তার দরবারে কায়মনোবাক্যে সকলের জন্য এই মোনাজাত করে শেষ করছি।