ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের গনকমুড়া গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে বরযাত্রীদের টক দই সরবরাহকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত কনের পিতা ইকবাল হোসেন হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে গত শুক্রবার সকাল ১১ টায় গ্রামবাসী মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে গনকমুড়া, বড়টুডা ও কাশিপুর গ্রামের ৫ শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহন করে। মানববন্ধনে মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী জোৎ¯œা বেগম ও দুই মেয়ে কান্নায় ভেংগে পড়েন। দীর্ঘ দুই মাস অতিবাহিত হলেও ইকবাল হোসেন হত্যা মামলার কোনো আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে না পারায় আতংকে তাদের দিন কাটছে। মামলার বাদী জোৎ¯œা বেগম অভিযোগ করেন, আসামীরা অর্থ বিত্তে এলাকার প্রভাবশালী। আসামীরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন।
জোৎ¯œা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার কোনো পুত্র সন্তান নেই। আমরা অত্যন্ত গরীব। মামলার আসামীসহ এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রতিনিয়ত নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। তারা ইকবাল হোসেন হত্যা মামলার আসামীদের দ্রæত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। গনকমুড়া এলাকায় তিন গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার হাজী হরমুজ আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরিদ উদ্দিন মাষ্টার, সহ-সভাপতি আবদুল জাব্বার, একই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মুর্শিদ মিয়া, ইউপি সদস্য শফিউদ্দিন বাবু ও আবু হানিফ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর উপজেলার গনকুমুড়া গ্রামে বিয়ে অনুষ্ঠানে বরযাত্রীদের টক দই সরবরাহ করায় এ ঘটনায় পরদিন বরযাত্রীদের হামলায় কনের পিতা ইকবাল হোসেন মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে বিষ্ণাউড়ি গ্রামের হান্নান সর্দারকে হুকমের আসামী ও এনামুল হককে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ইকবাল হোসেন হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।