গ্যাস বিস্ফোরণে ভাই-বোনের মৃত্যু; আইসিইউতে বাবা-মা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ মুন্সিগঞ্জের চরমুক্তারপুরে আবাসিক ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন ইয়াছিন (৫) ও নোহর (৩) নামে দুই শিশু মারা গেছে। সম্পর্কে তারা আপন ভাই-বোন। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়। এদিকে, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ওই দুই শিশুর বাবা কাউছার ও মা শান্তাও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব খান ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড ইনস্টিটিউট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি (তদন্ত) রাজিব খান বলেন, ‘দগ্ধ দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। শিশুর বাবা কাউছার ও মা শান্তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।’ বিস্ফোরণের বিষয়ে রাজিব খান বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজের কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে। ঘটনার তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইয়াছিন মারা যায়। তার শরীরের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তার বোন নোহর মারা যায় রাত সোয়া ৯টার দিকে। তার শরীরের ৩২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি বলেন, ‘তার বাবা কাওছার ও মা শান্তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। কাওছারের শরীরের ৫৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আর শান্তার শরীরের ৪৮ শতাংশ দগ্ধ। তাদের দুজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক।’
জানা গেছে,গত বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে চরমুক্তারপুর এলাকার স্থানীয় জয়নাল আবেদিনের চারতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ বাড়ির ভাড়াটিয়া কাওছার (৩৬), তার স্ত্রী শান্তা (২৩) এবং তাদের দুই শিশু ইয়াছিন (৫), নোহর (৩) আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। স্থানীয়রা জানান, ভোরে হঠাৎ বিকট শব্দে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘরের থাই গøাসের জানালা ভেঙে যায়। ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যায়। এসময় ঘুমিয়ে ছিলেন দুই শিশু সন্তান নিয়ে কাওছার-শান্তা দম্পতি ঘুমিয়ে ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.