সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি ॥ সদ্য বিদায়ী তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে জেলা ও উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতির পর জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে তার বিভিন্ন ঘাঁটিতে চালানো হচ্ছে হামলা, বইছে প্রতিবাদের ঝড়, মুছে ফেলা হচ্ছে স্মৃতিচিহ্ন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার ভাটারা স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. মুরাদ হাসানের মনোনীত আবুবক্কর সিদ্দিককে কলেজ থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং যমুনা সার কারখানা জেটিঘাট এলাকা মুরাদের নিয়ন্ত্রিত রাজা মিয়ার বালু উত্তোলন ঘাটে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
জানা যায়, উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করতে আওয়ামী লীগের পদ-পদবিধারী নেতাকর্মীদের তোয়াক্কা না করে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের মুরাদ হাসান সরিষাবাড়ীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার পছেন্দের ব্যক্তিদের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষসহ চরম ক্ষোভ বিরাজ করে আসছিল। ইতোমধ্যে ডা. মুরাদ হাসানের পতনের ঘণ্টা বেজে যাওয়ায় ভাটারা স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুবক্কর সিদ্দিকের প্রত্যাহার দাবিতে অভিভাবক, এলাকার সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। পরে বিক্ষোভকারীরা কলেজের সব কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। অপরদিকে, ডা. মুরাদের নিয়ন্ত্রিত তার পছন্দের লোকদের দিয়ে যমুনা সার কারখানা জেটিঘাট এলাকাসহ উপজেলায় ১০-১৫টি স্থানে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালু বিক্রির ঘাট হিসেবে স্থাপন করেছেন। এসব বালুঘাটের মধ্যে যমুনা সার কারখানা জেটিঘাট এলাকা রাজা মিয়ার বালুর ঘাটে গত বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় মুরাদবিরোধী আওয়ামী লীগ দলীয় সমর্থকরা হামলা চালিয়ে দখলমুক্ত করেছেন।
অপর দিকে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সব পদ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার পর উপজেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে দেয়ালে থাকা তার ছবি মুছে দেয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, মুরাদ হাসান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর জামায়াত-বিএনপির লোক দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি করতেন। দলীয় নেতাকর্মীদের তোয়াক্কা করতেন না মুরাদ হাসান। এলাকার জনগণের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল না। সাধারণ মানুষ তার ওপরক্ষুব্ধ।