শুরু হয়েছে দিবস পালনে ব্যাতিব্যস্ত জীবন পার করার কঠোর সময়। এই সময়ে এসে দেখা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন দিবসে ক্লান্ত ও দিশেহারা মানবকুল। তবে দিবসটি কার এবং ঐ দিবসের সঙ্গে সম্পর্কইবা কি তা খতিয়ে দেখার কোন সুযোগ থাকছে না বরং দিবসকে কেন্দ্র করেই যেন দিশেহারা মানুষজন। তবে আপনজন বা বন্ধুমহলের ব্যপ্তি এখন বৃদ্ধি পেতে পেতে গননার যন্ত্রের সক্ষমতাও হারিয়ে বসেছে।
ইদানিং দেখেছি স্যোসাল মিডিয়ার কল্যাণে মানুষ বেশী ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ঐ সকল বিষয়ে দৃষ্টিপাত করে। আমার দেখা ও জানা এমনকি অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে, আত্মীয় বা অনাত্মীয় এমনকি পরিচিত বা অপরিচিত অথবা ক্ষমতার আসনে আসীন ব্যক্তিদয়ের নিজ, পিতা-মাতা, ভাই-বোনসহ পরিবারের কারো কারো জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, মিলাদ (মৃত্যু দিবস) সহ সকল বিষয়ে আয়োজন হচ্ছে বাগারম্বরে। অনেকে আবার নিজের বিষয়ে নিজেই জানেন না এমনও হয়েছে পাড়া-পড়শি জেনেছেন অথবা শুভাকাঙ্খিদ্বয় অনুষ্ঠান পালন করেছেন এমনকি শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেছেন। ডিজিটাল কল্যানে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে মিডিয়ায় ভাসমান রেখেছেন। এই যামানায় পদার্পনের পূবেও এই সময়ের মত সামাজিক অনুষ্ঠান পালন হতো এবং মিলাদ অনুষ্ঠান হয়ে আল্লাহর শুকরিয়া এবং পরিবারের কল্যাণে দোয়া কামনা করা হতো। প্রশ্ন হলো কারা করতো ঐসময়:- সন্তানদ্বয় তবে কাছের ও নিকটাত্মিয়রাও করতো যার যার মতো করে। তবে আত্মীয় ও বন্ধমহল এমনকি সমাজের সম্মানীত মুরুব্বী শ্রেণীর মানুষজন এমনকি মুসল্লিসকল উপস্থিত হয়ে স্মৃতিচারণ ও দোয়া কামনা করতো।
এখন কারা কারা করছে ও ঐসকল অনুষ্ঠানের চিত্র ধারন করে সামাজিক যোগাযোগে সয়লাভ করে সামাজিক যোগাযোগে সামাজিক যোগাযোগ যট তৈরী করছে। কেনইবা করছে তার ব্যাখ্যা করা এবং সমাধান পাওয়া খুবই সহজ। কারণ ঐ ব্যক্তিটি বা তাঁর সন্তানদ্বয় কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করছেন আর ঐ অবস্থান আমার আপনার কতটুকু প্রয়োজন এর উপর নির্ভর করেই কিন্তু এই সকল কর্মকান্ড চলমান ও দৃশ্যমান রয়েছে। দরুন ঐ ব্যক্তিটির গুরুত্ব শুরুর পূর্বে কোন ব্যক্তি বা মহল এই ধরণের আয়োজন বা পালণ করা অথবা স্মরণ করা এমনকি বাড়ির ত্রিসিমানায় পা রাখা পর্যন্ত করেননি বরং ব্যক্তিটির ক্ষমতা বা পদায়নের অবস্থান বিবেচনা করে দৃশ্যমান বাস্তবতার নিরিখেই নতুন করে তোয়াজ এবং তোষামোধ বা মন গলানোর বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে বাস্তবে দৃশ্যমান অব্যস্থান তৈরীতে ব্যতিব্যস্ত থাকতে প্রায় সকলকেই দেখা যায়। তবে যারা প্রকৃত-ই মন থেকে পাওয়া না পওয়ার হিসেবের বাইরে থেকে স্মরণ করা এমনকি দোয়া মোনাজাতে স্মৃতিরোমন্থন করে দিনগুজার করছিল সেই মানুষগুলি এখন লজ্জ্বিত হয়ে নি:লিপ্ত থাকতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ তারাও তাদের ছোট পরিসরের আয়োজন এবং স্মরন করা স্মৃতিগুলো যেন ঐ সদ্য জেগে উঠা দরদে ভুইফোর বিস্ফোরণে ম্রীয়মান হয়ে পড়ছে।
আসুন আমরা প্রকৃত স্মরণসভা, মিলাদ-মাহফিল এবং দোয়া খায়েরে মনোনিবেশ করি। সৃষ্টিকর্তার কাছে গোপনে প্রার্থনা করি এবং সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভের সাধনায় মত্ত্ব থাকি। এর বাইরের অন্য সকল কিছুই লোক দেখানো এবং স্বার্থের প্রয়োজনে। তাই নি:স্বার্থ ও বিনিসুতোর মালার বন্দনে আবদ্ধ এবাদত বন্দেগীতে মশগুল থেকে সকলের মঙ্গল কামনায় এবং নিজের পরলৌকিক মঙ্গল সাধনে নিয়োজিত থাকুন। জাগতিক লোভ লালসা থেকে এমনকি লোক দেখানো সকল কর্মকান্ড থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতে সৃষ্টিকর্তার স্মরণাপন্ন হই। তিনি আমাদের সহায়তা করবেন-ই করবেন।